নাটোরের বড়াইগ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে বিলের একটি পুকুরের পাড় থেকে জামাতা আলীফ হোসেনের (২৫) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ (২২ মে) দুপুরে উপজেলার নগর ইউনিয়নের ভরতপুর তালশো গ্রামের একটি বিলের মধ্যে অবস্থিত পুকুরের পাড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত আলীফ উপজেলার জোনাইল আদগ্রাম এলাকার ফয়েজ আলীর ছেলে। তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছে আলীফের পরিবার।
ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলীফের স্ত্রী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ি ও দাদি শ্বাশুড়িকে আটক করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক জেনে ফেলাই হত্যার কারণ হিসেবে দেখছে অনেকেই।
এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর আগে আলীফ হোসেনের সাথে ভরতপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে সোনিয়া আক্তার বেদানার বিয়ে হয়।
বড়াইগ্রাম থানার নব-নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাবাসাদের জন্য স্ত্রীসহ ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়না তদন্তের পর হত্যার সঠিক কারণ জানা যাবে।
নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর