স্বাগতিকদের কাছে উড়ে গেল মিশর

স্বাগতিকদের কাছে উড়ে গেল মিশর

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

মাঠে থেকেও দলকে কাঙ্ক্ষিত জয় উপহার দিতে পরলেন না ইনজুরি থেকে ফেরা সালাহ। আর এতেই বিদায় ঘণ্টা বাজলো ফারাও খ্যাত মিসরের। উদ্বোধনী ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করার পর এবার মিশরকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে সবার আগে রাশিয়া বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে পা রাখলো স্বাগতিকরা।

১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনো বিশ্বমঞ্চে এমন কীর্তি দেখালো দলটি।

এই জয়ে ১৯৮৬ সালের আসরের পর প্রথমবারের মতো গ্রুপ পর্ব পার হল দলটি।

ম্যাচের ৬ মিনিটেই সামেদভের ক্রস থেকে ইগনাশেভিচ হেড করলে সেটি তালুবন্দী করেন মিসর গোলকিপার এল শেনাউই। ম্যাচে রাশিয়ানদের মুহুর্মুহু আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মিসর।


মাঝের সময়টা সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি রাশিয়া।

৩৫ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পরেনি মিসর। কিন্তু মহসিনের হেড গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে গেলে গোল বঞ্চিত হয় তারা। ৪২ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে মোহামেদ সালাহর বাকানো শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দু’দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় রাশিয়া। ডি বক্সের ভেতর মিসরের আহমেদ ফাতি আত্মঘাতী গোল করলে পিছিয়ে পড়ে মিসর। বিশ্বকাপে এটি ৫ম আত্মঘাতী গোল।

৬১ মিনিটে মিসরের গোলমুখে আরেকটি পেরেক ঢুকিয়ে দেন প্রথম ম্যাচের জয়ের নায়ক চেরিশভ। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত ক্রসে ডি বক্সের ভেতর দুর্দান্ত শটে গোল করেন চেরিশভ। টুর্নামেন্ট ৩ গোল করে যুগ্নভাবে রোনালদোর সঙ্গে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে উঠে আসলেন তিনি।

এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতে আবারো গোল করে রাশিয়া। ঘরের মাঠে খেলার পুরোপুরি ফায়দা তুলে ৬৪ মিনিটে কুতপভের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় ডি বক্সের ভেতর এক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে ডান পায়ের গোলবার ঘেষা শটে রাশিয়াকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন জিউবা।

তিন গোলে পিছিয়ে থেকে টিকে থাকতে আক্রমণের ধার বাড়ায় মিসর। ৭৩ মিনিটে সালাহকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে রেফারি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত দেন। ভিএআরের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করা হয়। স্পট কিক থেকে বিশ্বকাপে মিসরের হয়ে প্রথম গোলটি করেন মোহামেদ সালাহ। তৃতীয় মিসরীয় ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন সালাহ।

সম্পর্কিত খবর