২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে শেষবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল ইংল্যান্ড। তারপরে ২০১০ বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় পৌঁছালেও গেলোবারের ব্রাজিল বিশ্বকাপে গ্রুপ স্টেজ থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। আর সেই অবস্থা থেকে কলম্বিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে মরিয়া ইংল্যান্ড। এদিকে দক্ষিণ আমারিকার দেশটিও শেষ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে।
ফলে তারাও শেষ আটের লড়াইয়ে মরিয়া হয়ে নামবে।গ্যারেথ সাউথগেটের মরিয়া হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গেলো দশ বছরে ইংল্যান্ড কোনও নক আউটে জেতেনি। ফলে এবার সুযোগ রয়েছে।
৪৭ বছর বয়সী এই কোচের আমলে অন্য ইংল্যান্ডকে দেখা যাচ্ছে। তবে কলম্বিয়াসহ সব দলকেই সমীহ করছেন ইংলিশরা। তা সত্ত্বেও মাঠে সেরাটা দিতে মরিয়া থ্রি লায়ন্সরা।
কলম্বিয়া দলের খবর খুব আশাব্যঞ্জক নয়। গেলোবারের গোল্ডেন বুট জয়ী হামেস রদ্রিগেজ ইংল্যান্ড ম্যাচে খেলতে পারবেন কিনা তা জানা নেই। সেনেগালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দলের সবচেয়ে বড় তারকাকে। ফলে হোসে পেকেরম্যানের দলের তুরুপে তাস এই ম্যাচে খেলবেন কিনা ঠিক নেই এখনও। যদিও বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ডকে নিয়ে অভিজ্ঞ পেকেরম্যান আশা ছাড়ছেন না।
যদি কোনও কারণে রদ্রিগেজ খেলতে না পারেন তাহলে অধিনায়ক রাদামেল ফ্যালকাওয়ের পাশে লুইস মুরিয়েলকে খেলতে দেখা যেতে পারে। এদিকে তিউনিশিয়া ম্যাচের জয়ী একাদশ নামাতে চলেছেন ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট। সুখবর হচ্ছে, ডেলে আলি সুস্থ হয়ে দলে ফিরছেন।
আরও পড়ুন: কোয়ার্টারে বেলজিয়ামকে পেল ব্রাজিল
কলম্বিয়া এবছর এখনও পাঁচটি গোল করেছে। তার মধ্যে তিনটি এসেছে সেট পিস থেকে। এদিকে ইংল্যান্ড ডেড বল সিচুয়েশন থেকে মোট ৬টি গোল করেছে। ফলে ফ্রি-কিক ও কর্নারের ক্ষেত্রে দুই দলকেই সতর্ক থাকতে হবে।
ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন একাই পাঁচটি গোল করেছেন। এদিকে ফালকাও, রদ্রিগেজরা জ্বলে উঠলে অন্য কলম্বিয়াকে প্রত্যক্ষ করা যেতেই পারে।
এমনিতে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের রেকর্ড চমৎকার। পাঁচবারের দেখায় ইংল্যান্ড একবারও হারেনি। তিনটি জিতেছে, দুটি ম্যাচ ড্র করেছে। ২০০৫ সালে শেষবার দুই দলের খেলা হয়। কিংবদন্তি মাইকেল ওয়েনের হ্যাটট্রিকে ইংল্যান্ড ৩-২ গোলে জেতে।
১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচে ড্যারেন অ্যান্ডারটন ও ডেভিড বেকহ্যামের গোলে কলম্বিয়াকে ২-০ হারায় ইংল্যান্ড।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)