নাটোরে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নিহত ওসমান গণি

নাটোরে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত

নাসিম উদ্দীন • নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের বড়াইগ্রামে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ওসমান গণি (৩৮) নামে এক মাদক বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুই র‌্যাব সদস্য। কাল রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বাহিমালি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়।

নিহত ওসমান বনপাড়া পৌর এলাকার গুরুমশইল গ্রামের মৃত মনসুর আলীর ছেলে।

আহতরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনজুর আহমেদ ও কনস্টেবল এনামুল হক।

বন্দুকযুদ্ধের পর ৪১০গ্রাম হেরোইন, একটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগজিন এবং গুলির খালি খোসা উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৫ সিপিসি-২ নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, বাহিমালি এলাকায় রাস্তার ওপর টর্চের আলো এবং কিছু লোকের আনাগোনা দেখতে পায় র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র‌্যাবের টহল দল ওই স্থানের দিকে অগ্রসর হয়।

 

এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কিছু লোক দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদেরকে আত্মমর্পণের নির্দেশ দিলে তারা টহল দলকে লক্ষ্য করে অতর্কিত গুলি বর্ষণ শুরু করে। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় মাদক ব্যবসায়ী দলের ৩-৪ জন সদস্য পালিয়ে যায় এবং গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একজন পড়ে থাকে।  

পরে তাকে দ্রুত বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশের মাধ্যমে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।  

মেজর শিবলী মোস্তফা আরও জানান, ওসমান গণির বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বিভিন্ন থানায় মাদক ও চাঁদাবাজ সহ ৫ টি মামলা রয়েছে এবং সে নাটোরের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ছিল।  

এদিকে, বন্দুকযুদ্ধে ওসমানের নিহতের বিষয়টি মানতে নারাজ তার পরিবার। ওসমান গণির ভাই শাহিন শেখ জানান, মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব সদস্যরা তার ভাইকে মোটর সাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার খোঁজে র‌্যাব, ডিবি কার্যালয় ও থানায় সন্ধান করা হলে ওসমান গণিকে আটক বা তুলে আনার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন।  

পরিবারের দাবি, গেল ৬ মাস ধরে মাদক ব্যবসার সাথে ওসমানের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল না। র‌্যাব তাকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে।

নাসিম/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর
 

সম্পর্কিত খবর