আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে নিম্নমুখী অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) তেলের দাম ছিল পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য অর্থনৈতিক মন্দায় তেলের চাহিদা কমতে পারে, এমন আশঙ্কায় দাম কমছে। খবর রয়টার্সের।
বার্তা সংস্থাটির খবর অনুসারে, গত বৃহস্পতিবার ব্রেন্ট ক্রুডের (অপরিশোধিত) দাম ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৪ দশমিক ১২ ডলার, যা ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে হয়েছিল ৮৮ দশমিক ৫৪ ডলার, যা ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বনিম্ন।
করোনা মহামারির সময়ে তেলের দামের ঐতিহাসিক পতনের পর চলতি বছরের শুরুর দিকে দাম হঠাৎ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার হয়। এর পেছনে করোনাকালীন ধাক্কা সামলে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারনে বৃহৎ জ্বালানি সরবরাহকারী রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ছিল বলে মনে করা হয়।
লন্ডনভিত্তিক ফোরেক্স কোম্পানি ’ওয়ান্দার’ জ্যেষ্ঠ বাজার বিশ্লেষক ক্রেগ এরলাম বলেছেন, তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৯০ ডলারের নিচে নেমে যাওয়ার বাস্তবিক সম্ভাবনা রয়েছে। এটি নির্ভর করবে বাজার কতটা চাপের মধ্যে থাকবে এবং তা থেকে নিস্তারের সুযোগ কতটা এর ওপর।
এছাড়া সুদের হার বৃদ্ধিতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম মন্থর এবং জ্বালানির চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও তীব্র হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার বাড়িয়েছে ও সম্ভাব্য মন্দার বিষয়ে সতর্ক করেছে।
news24bd.tv/আজিজ
