সাম্প্রতিক সময়ে বহুল আলোচিত বিষয় হলো, আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে ঘটে যাওয়া বিভীষিকাময় দাবানল। মূলত এই দাবানল বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ আল্লাহর একটি নিদর্শন, যা তিনি তার বান্দাদের সতর্ক করার জন্য পাঠিয়ে থাকেন। আল্লাহ কখনো কখনো নিদর্শন দেন শুধু মাত্র ভয় দেখানোর জন্য। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তার তাৎপর্য বোঝে না। আকাশ ও পৃথিবীর কত নিদর্শন তাদের সামনে থেকে চলে যায়, অথচ তারা তা উপেক্ষা করে। এসব নিদর্শন বা শাস্তি মানুষদের পাপাচারের দরুন আরো বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : যখন প্রবল কম্পনে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পড়বে, ফলে তা পর্যবসিত হবে উত্ক্ষপ্তি ধূলিকণায়। (সুরা আল ওয়াকিয়া, আয়াত : ৪-৬) সুরা ওয়াকিয়ার এই নিদর্শন আমাদের এক বিস্ময়কর বর্ণনার দিকে ইঙ্গিত করে, যা কিয়ামতের মহাপ্রলয়ের এক আভাস দেয়।...
দাবানল ও আগ্নেয়গিরি আল্লাহর সতর্কবার্তা
মুফতি মানযুর সিদ্দিক
মানুষ সবচেয়ে বেশি জাহান্নামে যাবে যে দুই কারণে
অনলাইন ডেস্ক
ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম। (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭) ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার হলের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম। (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭) অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যারা ঈমান এনেছে এবং নেক কাজ করেছে তাদের সুসংবাদ দাও, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতসমূহ, যার তলদেশ দিয়ে...
নবীজির দুঃখের বছর প্রশান্তির মিরাজ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরবি মেরাজ শব্দের অর্থ হলো ঊর্ধ্বগমন। লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী উপমহাদেশে শবে মেরাজ হিসাবে পরিচিত। এই রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.) ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। মেরাজের পটভূমি সম্পর্কে সিরাত বিশেষজ্ঞরা বলেন, জন্মের আগেই বাবাকে হারান প্রিয় নবীজি (সা.)। ৬ বছর বয়সে হারানা মাকে। ৮ বছর বয়সে দাদার ইনে্তকালের পর শিশু নবীর দায়িত্ব নেন পিতৃতুল্য চাচা আবু তালেব। আট বছর থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত দীর্ঘ ৪৮ বছর ছায়ার মতো নবীজির সঙ্গে ছিলেন চাচা আবু তালেব। কুরাইশরা যখন নবীজির ওপর চরম অত্যাচার শুরু করেছে তখনও চাচা আবু তালেব তাকে ছেড়ে যাননি। নবুয়তের দশম বর্ষের রজব মাসে আবু তালেব মারা য়ান। এই দুঃখ নবীজি হূদয় চেৌচির করে দেয়। এর ঠিক তিন দিন পর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজাও (রা.) ইনে্তকাল করেন। কষ্টের পর কষ্টের ঢেউ নবীজির হূদয়ে আছড়ে পড়ে। এ...
ঐতিহাসিক মেরাজের উপহার
মুফতি ইবরাহিম সুলতান
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী হিজরতের এক বা দেড় বছর আগে নবীজির মিরাজ সংঘটিত হয়। ঐতিহাসিক মিরাজে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর সান্নিধ্যে ডেকে নিয়ে উম্মতে মুহাম্দিকে পুরস্কারস্বরূপ কয়েকটি বস্তু প্রদান করেন। নিম্নে ধারাবাহিকভাবে তা উল্লেখ করা হলো। ১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ। তবে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফজিলতের দিক দিয়ে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের সমান। এ বিষয়ে হাদিসের কিতাবে দীর্ঘ একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। যাতে প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত নামাজের বিধান লাভ এবং মুসা (আ.)-এর পরামর্শে একাধিক আবেদনের প্রেক্ষিতে তা কমে পাঁচ ওয়াক্ত হওয়ার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। (মুসলিম, হাদিস :৩০০) ২. সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত। এ আয়াতগুলোতে উম্মতে মুহাম্মদির প্রতি আল্লাহর অশেষ রহমত ও অনুগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে মিরাজ রজনীতে সিদরতুল মুনতাহা পর্যন্ত...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর