শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, শাশুড়িসহ আটক ৩

প্রতীকী ছবি

শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, শাশুড়িসহ আটক ৩

অনলাইন ডেস্ক

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে ঝগড়ার পর মো. ফরিদ মিয়া (২৭) নামে এক ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শাশুড়িসহ তিনজনকে আটক করেছে কলমাকান্দা থানার পুলিশ।  

শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সীমান্ত এলাকার খারনৈ ইউনিয়নের বামনগাও গ্রামে এ ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। পরে ফরিদ মিয়াকে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়।  

পুলিশ খবর পেয়ে ঝগড়ার লিপ্ত হওয়া শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৪৫), শ্যালিকা উম্মে কুলসুম (১৮) ও কুলসুমের স্বামী সায়েদ আলীকে (২৫) আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

নিহত মো. ফরিদ মিয়া ওই গ্রামের মৃত হাশেম মিয়ার ছেলে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদ মিয়া পাশের এলাকার ফাতেমা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু জীবিকার জন্য কুমিল্লা একটি ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। কাজ করা সময়ে শাশুড়ি আনোয়ারাকে একটি সোলার প্যানেল লাগিয়ে দেন।

 

এদিকে বাড়ি এসে জানতে পারেন তার স্ত্রী সাত মাস বয়সী ছেলে সন্তান নিয়ে অন্য একজনের সাথে ঢাকায় চলে গেছে। যে কারণে শুক্রকার সকালে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে নিজের দেয়া সোলার প্যানেল নিয়ে আসতে চাইলে তারা বাধা দেয়। এ নিয়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে ফরিদ অসুস্থ বোধ করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

এ ঘটনায় তার স্বজনরা শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের উপর অভিযোগ করেন। পুলিশ সাথে সাথেই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।  

কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক জানান, আমরা খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করি। ঝগড়ার পরে হাসপাতালে গেলে তার মৃত্যু হয়। তবে শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বোঝা যাবে স্ট্রোক নাকি অন্য কিছু। তিনজনকেই আটক করেছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

শুনেছি তার নিজের দেয়া সোলার নিয়ে আসার সময় ঝগড়া হয়েছে। স্ত্রী যেহেতু সন্তানকে নিয়ে চলে গেছে তাই তার জিনিস নিয়ে আসছিলো। তখন বাধা দেওয়ায় বাকবিতণ্ডা হয়।

news24bd.tv/কেআই