এক পরিপূর্ণ জীবন বিধানের নাম ইসলাম। ইসলাম শান্তি, স্বস্তি ও মানবতার কল্যাণ সুনিশ্চিত করার অনন্য আদর্শ। উগ্রতা, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাস, রাহাজানি কিংবা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ইসলাম সমর্থন করে না। অহমিকা, ক্রোধ, হিংসা, কলহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয় ইসলাম। ইসলামের সাথে উগ্রতার কোনো সম্পর্ক নেই। ইসলাম সীমা লঙ্ঘনকারীদের কখনোই সমর্থন করে না। অথচ আমাদের সমাজে উগ্রতা আজ মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছ। হাটে-মাঠে-ঘাটে যেখানেই যাই সব জায়গায় আজ উগ্রতা আর উচ্ছৃঙ্খলতার ছড়াছড়ি। মাহফিলের নামে উগ্রতা, রাজনীতির নামে উগ্রতা, রাষ্ট্র পরিচালনার নামে উগ্রতা, বিরোধিতার নামে উগ্রতা, প্রতিদ্বন্ধিতার নামে উগ্রতা, প্রতিশোধের নামে উগ্রতা, মতাদর্শ প্রচারের নামে উগ্রতা এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে উগ্রতার বিষবৃক্ষ মাথা চাড়া দিয়ে দাড়িয়ে নেই। কিন্তু কেন এ ধ্বংসাত্মক প্রচেষ্টা? কেন এ...
উগ্রতা ডেকে আনে বিপর্যয়
মাওলানা হাফেজ আল আমিন সরকার
শাবান মাসের গুরুত্ব ও আমল
আলেমা হাবিবা আক্তার
হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসেবে পবিত্র রমজান মাসের আগের মাস শাবান। রমজান মাসের প্রস্তুতিকাল হিসেবে শাবান মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। মহানবী (সা.) এই মাসে অধিক পরিমাণ ইবাদত করতেন। তাতে বরকত লাভের দোয়া করতেন। নিম্নে শাবান মাসে মহানবী (সা.)-এর আমলগুলো তুলে ধরা হলো শাবান মাসে ইবাদতের গুরুত্ব আল্লাহর ইবাদত ও ক্ষমা লাভের জন্য শাবান গুরুত্বপূর্ণ মাস। স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আমল ও নির্দেশনা দ্বারা তা প্রমাণিত। যেমন ১. মধ্য শাবানের রাতে ক্ষমার ঘোষণা : শাবান মাসে আছে আল্লাহর ক্ষমা লাভের বিশেষ সুযোগ। কেননা হাদিসে এসেছে, অর্ধশাবানের রাতে আল্লাহ মানুষকে ক্ষমা করেন। আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ মধ্যশাবানের রাতে আত্মপ্রকাশ করেন (দয়ার প্রকাশ করেন) এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া তাঁর সৃষ্টির সবাইকে ক্ষমা করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৯০) ২....
জুমার দিনে যে মুহূর্তে দোয়া কবুল হয়
মুহাম্মদ তাকরিম
ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ একটি দিন জুমার দিন। এই দিনে এমন গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত রয়েছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায় তা পেয়ে যায়। আবু লুবাবা বিন আবদুল মুনজির (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, জুমার দিন হলো সপ্তাহের দিনগুলোর নেতা এবং তা আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত। ... এ দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, কোনো বান্দা তখন আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন, যদি না সে হারাম জিনিসের প্রার্থনা করে এবং এ দিনই কিয়ামাত সংঘটিত হবে। ... (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪) সময়টা ঠিক কখন, তা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মত পাওয়া যায়। কেউ কেউ দাবি করেন, জুমার দিনের সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টি হলো, জুমার সময় ইমাম সাহেব বসা থেকে নিয়ে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত। আবু মুসা আল আশআরি (রা.) বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ইমামের বসা থেকে নামাজ শেষ...
মিসরের আল আজিজিয়ার পথে-প্রান্তে ইউসুফ (আ.)-এর স্মৃতি
আবরার আবদুল্লাহ
আল আজিজিয়া মিসরের বাদরাশিন জেলার একটি গ্রাম। বাদরাশিনের প্রাচীন নাম মানফ। যেখানে ইউসুফ (আ.) কৈশোর পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করেন। বাদরাশিনেই আজিজে মিসরের প্রাসাদ, বাদশাহর রাজপ্রাসাদ, ইউসুফ (আ.)-এর জেল এবং খাদ্যের গুদাম ঘরগুলো অবস্থান ছিল। মূলত আল আজিজিয়াকে নবীদের ভূমি বলা হয়। কেননা এই ভূমিতে নবী ইবরাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব ও ইউসুফ (আ.) বিচরণ করেছেন। এখানেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন আরবজাতির মা হাজেরা (আ.)। তাই আল আজিজিয়া ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতীক। আল আজিজিয়া বাদরাশিন জেলার চারটি গ্রামের একটি। অন্য গ্রামগুলো হচ্ছে আবু সির, সাক্কারা ও মিত রাহিনাহ। এই গ্রামগুলো অতীতে মানফ বা মেমফিস শহরের অংশ ছিল। মানফ হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীনতম রাজধানী। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০০ অব্দে ফারাউ শাসক মেনেজ মানফের গোড়াপত্তন করেন। মেনেজ মিসরের উচ্চভূমি ও নিম্নভূমিকে একত্র করে প্রথম...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর