আজিজের পরিবারে এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে: ইসি সচিব

ইসি সচিব শফিউল আজিম ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ

আজিজের পরিবারে এনআইডি জালিয়াতিতে জড়িতরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে: ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে ফাঁকফোকর রাখতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।  আর এতে কারো সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব শফিউল আজিম।  

বুধবার (২৬ মার্চ) কয়েকটি পৌরসভা নির্বাচন শেষে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।  

সচিব বলেন, প্রথমে কীভাবে ভোটার হয়েছিলেন, কোন কোন তথ্যগুলো এখানে এসেছে, শুরু কীভাবে হলো, কোথায় উলটপালট হলো- তদন্ত কমিটি ডিটেইলস তদন্ত করেছে।

তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে আরও সময় চেয়েছে। আমি মনে করি যে, আরও সময় লাগতে পারে। আমরা আরও বিস্তারিত ও নিখুঁতভাবে তদন্তটা করতে চাই, যাতে কোনো ধরনের ফাঁক-ফোকর না থাকে। আপনাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।
আরও দুই সপ্তাহের সময় চেয়েছে। কারণ উনারা শুরু থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো ডকুমেন্ট জমা দিয়েছিলেন। সবগুলো ডকুমেন্ট যোগাড় করা, পরীক্ষা করা, সোর্সে গিয়ে এগুলো আবার ভেরিফাই করা, আমরা চাচ্ছি বৈজ্ঞানিকভাবে যাতে কোনো ধরনের খুঁত না থাকে। আমরা চাই না, আবার আরেক ধরনের ভুল হোক।

সন্দেহের আওতায় ইসির কর্মকর্তারা আছেন কি না বা যোগসাজশ আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা সবাইকেই সন্দেহ করছি। বিন্দুমাত্র কারও যদি এখানে ইনভলমেন্ট থাকে, আইন অনুযায়ী যে সর্বোচ্চ শাস্তি, তা নিশ্চিত করবো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃতি রিসালদার মোসলেম উদ্দিনে সন্তানদের এনআইডিতে পিতার নাম পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে বিভিন্ন নামে তিনি কিন্তু আত্মগোপনে ছিলেন। বিভিন্ন নাম ধারণ করেছেন বলে আমাদের তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। কোথায় কোথায় তিনি ছিলেন, কী কী কাজে সেই নামগুলো ব্যবহার করেছেন, তার আত্মীয় স্বজনরা এটা কোথায় কোথায় ব্যবহার করেছেন, সব তথ্য নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা এটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। আমরা নিখুঁত ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন উত্থাপন করবো।
news24bd.tv/আইএএম