মেট্রোরেল-২ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় চীন

সংগৃহীত ছবি

মেট্রোরেল-২ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় চীন

অনলাইন ডেস্ক

গাবতলী থেকে সদরঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল-২ প্রকল্পে ঋণ দিতে আগ্রহী চীন। এই প্রকল্পে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হতে পারে। এতে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা অর্থায়ন করতে চায় চীনের এক্সিম ব্যাংক।

বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ইআরডির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশে সফররত চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।

সভা শেষে এ তথ্য জানান ইআরডির কর্মকর্তারা। সভায় নেতৃত্ব দেন ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ।

ইআরডি সূত্রে জানা যায়, সভায় ৯টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল ছাড়াও ভাঙা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পেও চীনের আগ্রহী বেশি।

এই প্রকল্পে ৪১ হাজার কোটি খরচ হবে।

এছাড়া পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু মেরামতে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ পেতে চায় বাংলাদেশ। চীনা ঋণ পেতে রেলের আরো যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।  

এদিকে চীনের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরনের বাণিজ্য সহায়তা কিংবা বাজেট সহায়তা অন্য দেশ বা সংস্থা থেকে নিলে সুদের হার কত, গ্রেস পিরিয়ডসহ মেয়াদ কত বছর, এসব তথ্য জানানো হয়।

ইআরডির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, চীনের মুদ্রা ইউয়ানে ঋণ নিয়ে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের আদলে একটি তহবিল গঠন করা হতে পারে। সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের চীন থেকে আমদানির বিপরীতে ইউয়ানে অর্থ পরিশোধ করা হবে।

ইআরডির একজন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ থেকে ১১ জুলাই চীন সফর করতে পারেন। ওই সফরে রেল ও সড়ক যোগাযোগের প্রকল্পগুলোয় চীনা ঋণের বিষয়টির ঘোষণা আসতে পারে।

গত এক বছরে চীন বাংলাদেশকে নতুন কোনো প্রকল্পে ঋণ দেয়নি। সর্বশেষ, ২০২৩ সালের মে মাসে রাজশাহী ওয়াসার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা ঋণ পাওয়া গিয়েছিল।

২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের পর থেকে গত কয়েক বছরে বাড়তে শুরু করেছে চীনের ঋণ। যেখানে স্বাধীনতার পর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৭০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দিয়েছিল দেশটি। সেখানে গত ১২ বছরে ৬.৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। এছাড়া ১০.২৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। চীন পদ্মা রেল সেতু, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্পে ঋণ দিচ্ছে। গত তিন বছরে দ্বিগুণ হয়েছে চীনের ঋণ ছাড়ের পরিমাণ।

news24bd.tv/DHL

এই রকম আরও টপিক