সাহিত্য তা কোনো সাহিত্যিক রচনা করুন বা নবীর মুখে উচ্চারিত হোক অথবা তা কোনো ঐশ্বরিক গ্রন্থের বর্ণনা হোকশর্ত হলো তা এমনভাবে বলতে হবে যেন তা হূদয়ে রেখাপাত করে। লেখক অনুপম সাহিত্য রচনা করে তৃপ্ত হবে এবং পাঠক তা পাঠ আনন্দ পাবে এবং তা গ্রহণ করে নেবে। কিন্তু বর্তমান যুগের প্রবণতা হলো যতক্ষণ মানুষ প্রগতির কথা না বলবে, পূর্বকার সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে উপহাস না করবে, ধর্ম ও ধর্মীয় গ্রন্থের প্রতি অপবাদ না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত তা সাহিত্য বলে গণ্য হয় না। সাহিত্যের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে বলতে চাই, সাহিত্যের প্রাচীনতম উত্স ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থগুলো। মানুষ সাহিত্যের ধারণাই পেয়েছে ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থ থেকে। আল্লাহ যখন দ্বিন প্রচারের জন্য নবী পাঠালেন, তাদের উন্নত ও মার্জিত ভাষা দিলেন, অর্থবোধকতায় পরিপূর্ণ কিতাব দিলেন তখন মানুষ উত্কর্ষ ভাষা তথা সাহিত্যের ধারণা পেল।...
ভাষা ও সাহিত্য হোক দ্বিন প্রচারের মাধ্যম
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)

মৃত্যুপথের যাত্রীর জন্য করণীয়
আলেমা হাবিবা আক্তার

পৃথিবীতে মানুষের আগমন ক্ষণস্থায়ী। মানুষ তাঁর জীবনযাত্রা শেষ করে পা বাড়ায় অনন্ত জীবনের পথে। মৃত্যু সেই অনন্ত জীবনের দুয়ার খুলে দেয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান এবং তাকে কবরস্থ করেন। এরপর যখন ইচ্ছা তিনি তাকে পুনর্জীবিত করবেন। (সুরা আবাসা, আয়াত : ২১-২২) মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত গুরুত্বপূর্ণ কেন ইসলামের দৃষ্টিতে মানুষের মৃত্যুর পূর্বক্ষণটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা মৃত্যুর সময় ব্যক্তির ভালো-মন্দ পরিণতি প্রকাশিত হয়। পাপীদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, তুমি যদি দেখতে পেতে ফেরেশতারা অবিশ্বাসীদের মুখমণ্ডল ও পিঠে আঘাত করে তাদের প্রাণহরণ করছে এবং বলছে, তোমরা দহনযন্ত্রণা ভোগ কোরো। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৫০) অন্য আয়াতে মুমিনের মৃত্যুর দৃশ্য এভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তাকে বলা হলো, জান্নাতে প্রবেশ কোরো। সে বলে উঠল, হায় আমার সম্প্রদায় যদি জানতে...
চার মাজহাবের পরিচয়
উম্মে আহমাদ ফারজানা

মাজহাব শব্দের অর্থ পথ, পন্থা, তরিকা, মত, দল ও সম্প্রদায়। পারিভাষিক অর্থে মাজহাব হলো, সাহাবায়ের কেরামের ওফাতের পর ইসলামী আইন-কানুন, সামাজিক লেনদেন, কেনা-বেচা, আমল ও ইবাদত সম্পর্কিত মৌলিক বিষয় ছাড়া শাখা-প্রশাখায় ইসলামী আইন বিশারদ ইমামদের বিভিন্ন দালিলিক বিতর্কমূলক মতবাদ। যুগজিজ্ঞাসার জবাবে নতুন উদ্ভূত কোনো সমস্যার ইসলামী সমাধান কোরআন-হাদিস থেকে গবেষণা করে বের করার সময় ইমাম গবেষকদের মধ্যে মতপার্থক্য ঘটেছে। তাই ইসলামী বিধানের বয়ান ও ব্যাখ্যায় একাধিক অভিমত বা মতের ভিন্নতা তৈরি হয়েছে। এভাবে তৈরি হয়েছে নানা মাজহাব। ইসলামী শরিয়ত বিষয়ক বিধি-বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ ইমামদের যে মত, পথ বা মতবাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাকেই মাজহাব বলা হয়। বস্তুত কোরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং হাদিস সম্ভারের মধ্যে কোনটি বেশি প্রামাণ্য; আমলের ক্ষেত্রে...
যে ভালোবাসা সব ভালোবাসার ভিত্তি
সাকের উল্লাহ সাদেক

ভালোবাসা একটি পবিত্র শব্দ। হূদয়ের শিহরণ জাগানিয়া আল্লাহপ্রদত্ত এক অদৃশ্য শক্তি ও পবিত্র অনুভূতি। এটি স্বভাবজাত ও অকৃত্রিম। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ করো: তোমরা ছিলে পরসপর শত্রু আর তিনি তোমাদের হূদয়ে ভালোবাসা সঞ্চার করেন, ফলে তাঁর অনুগ্রহে তোমরা পরসপর ভাই হয়ে গেলে। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১০৩) কোথায় ব্যয়িত হবে এই ভালোবাসাইসলাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার সীমারেখা। ভালোবাসা কাম্য, অবশ্যই কাম্য। ভালোবাসা ছাড়া কোনো মানুষই বাঁচতে পারে না। তবে উক্ত ভালোবাসা হতে হবে আল্লাহর জন্যই। আল্লাহর ভালোবাসা সব ভালোবাসার ভিত্তি। মুমিনরা আল্লাহকে ভালোবাসে। মুমিনরা তো আল্লাহর জন্যই ভালোবাসে। কোরআন বলছে, মুমিনরা আল্লাহকেই সর্বাপেক্ষা বেশি ভালোবাসে। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৫) আল্লাহকে ভালোবাসার অর্থ কীমহান আল্লাহ নিজে রাসুল (সা.)-এর...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর