সুলতানা বিবিয়ানা

শিল্প-সাহিত্য

সালাহ উদ্দিন শুভ্রের গল্প

ডানা মেলে আবু সাঈদ

প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৫:১০

সালাহ উদ্দিন শুভ্র

আবু সাঈদের চোখে আজ চশমা নাই, মাথায় ক্যাপও নাই। ভাঙা চোয়ালের মুখটায় খোঁচা খোঁচা দাড়ি। লম্বা, তামাটে শরীরটাকে দূর থেকে দেখে কেমন যেন লাগল শাকিলের। অনেক কষ্টে ওর কাছে যেতে পেরেছে সে। অসংখ্য ছেলেমেয়ে জড়ো হয়েছে বেগম রোকেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা আজ সংখ্যায় কম। কিন্তু আশপাশের স্কুল-কলেজ থেকে অনেকে এসেছে। তারা সবাই মিলে গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইছে। পুলিশ দিচ্ছে না। সবাই হই চই করছে, তর্ক করছে পুলিশের সঙ্গে। অথচ আবু সাঈদ চুপ। একটা কথাও বলছে না সে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সে শুরু থেকে আছে। তারই কথা বলা উচিত সেখানে, কিন্তু কিছু বলছে না। শাকিল একবার কাছে গিয়ে দাঁড়ালেও কথা বলতে পারে নাই ওর সঙ্গে। ভিড়ের চাপে ক্রমে সে দূরে সরে যায় আবু সাঈদ থেকে। তারপরও চেষ্টা করছিল ওর কাছাকাছি থাকার। তখনই শুরু হয় পুলিশের...

বাকি অংশ পড়ুন

শিল্প-সাহিত্য

কবিতা

যুগে যুগে রহস্যময় ঋতুর চক্র

প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪:৫৭

সাদী কাউকাব

যুগে যুগে রহস্যময় ঋতুর চক্র — সাদী কাউকাব

১. তোমার বেদনাকে তুমি ছাপিয়ে যেতে না পারো যদি আর তোমার বেদনা তোমাকে তবে এ প্রতিবর্ত ক্রিয়ার বিপরীতে মুখোমুখি বসো তুমি ও তোমার বেদনা মিলে যাও পরস্পরে যা কিছু ছুঁড়ে ফেলতে চাও যা কিছু ধরতে চাও জড়িয়ে তা কিছু সমান্তরালে ভাসে লোহিতকণা থেকে পরমাণু ফেলনা নয় কিছুই হারিয়ে যায় না; দুর্ভেদ্য দেয়ালে তুমি ও তোমার বেদনা ঘুরপাক খায় তোমাদের বিযুক্তির অক্ষমতায় পারস্পরিক প্লানেটারি নিয়মে ২. কাউকে কাউকে দেখতে ইচ্ছা করে অনধিকার বা দূরত্বজনিত কারণে পারি না তাদের দিনাতিপাত কর্মব্যস্ত সকাল আকুল করে তাদের রাত তুড়িতে ফুরায়? নাকি যুগে যুগে ঘোরে রহস্যময় ঋতুর চক্র ঋণী করে? তারা কই যায় কী বলে মিশলো বা কার কার সাথে ইতরসম মনে ব্যাকুলতা ভরে ধরে আসে বুক: কুঁইকুঁই কুকুরেও চরে মরার আগে। জ্ঞানত বিশ্বাস করি মরে গিয়ে কবরে ঢুকলেই দেখতে পাবো পরিস্কার দেখতে পাবো একে একে তাদের...

বাকি অংশ পড়ুন

শিল্প-সাহিত্য

রুহুল মাহফুজ জয়ের পাঁচটি কবিতা

প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪:৪৪

রুহুল মাহফুজ জয়

রুহুল মাহফুজ জয়ের তোমার নামের নিচে অপেক্ষা করতাছি বই থেকে পাঁচটি কবিতা । বইয়ের তথ্য: প্রকাশক: বৈভব প্রকাশকাল: নভেম্বর ২০২৪ প্রচ্ছদশিল্পী: রাজীব দত্ত মূল্য: ৩০০ টাকাCaption খুনি কেউ কেউ আছে, নিজেকে খুনি ভেবে ঘুরে বেড়ায়, সুন্দরের দিকে খণ্ড-তর মতন বাঁকা করে গুঁটিয়ে রাখে মন। প্রতিটি মানুষ যেন বাক্যের মাঝে হাইফেন, পুলিশের লোক ভেবে থমকে গিয়ে ভাবে পরের গন্তব্য কী, পূর্ণাঙ্গ বাক্য যেরকম দাঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছায় তেমনি করে বাড়ি ফেরা হবে নাকি গ্রেফতার করে নিয়ে যাবে, ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে অর্ধেক কলেমা পড়ার আগেই মৃত্যু হবে! জানে না অপরাধ কী, কাউরে কোনোদিন ব্যথার দিকে প্ররোচিত করেছিলো কি না, জনারণ্যে কিংবা শুনশান রাস্তায় কখনো একাকি নারীর দিকে যৌনকাতর চোখে তাকিয়েছিলো কি না, কারো অধিকার কেঁড়ে সুখের জীবন চেয়েছিলো কি না, বন্ধু বা ভাইয়ের বুকে ছুরি বসানোর কথা ভেবেছে...

বাকি অংশ পড়ুন

শিল্প-সাহিত্য

জহির রিপনের কবিতা

প্রকাশ: বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ১৪:৩২

জহির রিপন

ও আমার সন্তান ও আমার সন্তান, জানি না ফের আমাদের দেখা হবে কিনা৷ কেননা যে রক্তনদীতে তুই ভেসে গেলি বহু নদী ঘুরেও আমি সেখানে পৌঁছাতে পারব না। ভাবি-- কতটা ভীরু আর কাপুরুষ আজ হলাম এখনও বেঁচে থাকার কথা ভাবছি, অস্ত্রের মুখে যেন মেনেই নিয়েছি খুনী শাসকের এই দেশ। ও আমার সোনামানিক, জানি তোকে ছাড়া কোনোদিন হবে না চড়া রাঙতা পাহাড়ের ওই চূড়ায়। রক্তস্রোতে তুই ভেসে গেলি বলেই জেনেছি জীবন কেবল এডভেঞ্চার নয়, অধিকার আদায়ের সপক্ষে এক দীর্ঘ সংগ্রাম। ভালোবাসবার পরে হাঁটতে হাঁটতে দুনিয়া পার হইতে চাইতেছি। দুনিয়া আটকায়া আছে গুটিকয়েক গলিতে। এই গলি থাইকা ওই গলি, ওই গলি থাইকা সেই গলি আগাইতে পারি না বেশিদূর; আয়তাকারে ঘুরতেছি। অপ্রশস্ত গলির দুই ধারে সারি সারি গাছেদের প্রেম৷ গলি থাইকা গলির মধ্যবর্তী ফাঁকে সাজানো বাড়ি। যেন এইসব বাড়ি পুরোনো মদের বোতল, টালমাটাল। আমার পা দুইটা...

বাকি অংশ পড়ুন

সর্বশেষ

শিল্প-সাহিত্য