বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে অমর একুশে বইমেলা-২০২৫ প্রাঙ্গণে। যার কারণে বিষাদের ছাপ ছিল লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মাঝে। এক মাস উৎসবমুখর পরিবেশে লেখক, পাঠক ও প্রকাশকদের মাঝে যে মেলবন্ধন ঘটেছিল আগামীকাল শনিবার থেকে তা দেখা যাবে না সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিস্তীর্ণ প্রান্তরে। এখন থেকে স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানটাও খাঁখাঁ করবে। সবকিছু মিলিয়ে বিদায়ের করুণ সুরে বিষাদের ছাপ ছিল মেলাজুড়ে। এ বিষয়ে আবিষ্কার-এর স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হাসান বলেন, বইমেলা হলো বইয়ের উৎসব। আর উৎসবে কখনো লাভ লোকসানের হিসাব চলে না। আনন্দমুখর ও উৎসবে রাঙানো পরিবেশ মিস করব সেটা ভেবেই খারাপ লাগছে। সূচিপত্রের স্বত্বাধিকারী সাঈদ বারী বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত নতুন বাংলাদেশে একটি বৈষম্যহীন ও সুন্দর গোছানো মেলার প্রত্যাশা করেছিলাম, সেটা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার...
বইমেলায় বিদায়ের সুর, কেমন হলো বিকিকিনি
অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরষ্কার-২০২৫ পেলেন তিন কবি
নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার-২০২৫ দেয়া হলো তিন বরেণ্য কবিকে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন মিলনায়তনে এই জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়। কবিতায় এই পুরষ্কার পেলেন কবি মতিন বৈরাগী, শিশু সাহিত্যে ফয়েজ আহমেদ পুরস্কার পেয়েছেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা পুরস্কার দেয়া হয় কবি জুলফিকার হোসেন তারাকে। পুরস্কার প্রদান করেন জুলাই-আগস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান, শহীদ গোলাম নাফিজের বাবা মোঃ গোলাম রহমান, শহীদ আলভীর বাবা মোঃ আবুল হাসান এবং শহীদ ইয়াসিনের মা শিল্পী আক্তার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মোহন রায়হান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন।...
রথো রাফির কবিতা
রথো রাফি

রথো রাফি পরিচয় মানুষ প্রথমে নির্ধারণ করে নিজেদের পরিচয়। এরপর ভিন্ন পরিচয়ের মানুষ আবিস্কার আর সৃষ্টি করে চলে তারা! এরপর একদিন ভিন পরিচয় মানুষদের রক্তপান করে আর উল্লাসে মাতে! অথবা নিজেই ভিন পরিচয়ের মানুষের করুণ ও নীল শিকারে পরিণত হয়! মানুষ প্রথমে সীমা নির্ধারণ করে। তারপর সীমা-অতিক্রমকারীকে খোঁজে ও হত্যা করে। কিংবা সীমার বাইরের সেই সীমা ধ্বংস করে আপন ভুগোল গড়ে নিতে চায় এবং সীমার ভেতরের মানুষগুলোকে ধ্বংস করে চলে দিনরাত কিংবা উপহার দেয় বড়জোর অনুগত দাসের জীবন। আর আপন ভুগোল, মানে, শত্রু ভুগোল থেকেই যায়। দুঃখের আর শোকের সুর বেজে চলে পৃথিবীর বুকে। কখনও থামে না। পরিচয় যেনো চেতনাকে স্পষ্টতা দিতে গিয়ে ধ্বংসও করে চলে প্রতিদিন। স্বস্তির দিগন্ত স্রোতের বিপরীতে যাবে অথচ স্রোতের ধাক্কা সইবে না, তা কী করে হয়! অথচ তোমাকে, দেখো, প্রতিটি আঘাত উপহার...
কমলকলি চৌধুরীর একগুচ্ছ কবিতা
কমলকলি চৌধুরী

আকাশ ছোঁয়ার দিন একদিন আমরা আকাশকে ছুঁয়েছিলাম... ছুঁয়েছিলাম অনেক মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে করে। সালাম-বরকত-রফিক-জব্বার-শফিউর যেদিন নক্ষত্রের পানে তাকিয়ে ফাগুনের অযুত কৃষ্ণচূড়ার রং ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কালো ক্যানভাসে সেদিন আমরা আকাশকে ছুঁয়েছিলাম... ছুঁয়েছিলাম আমাদের বিদীর্ণ চিত্তের বিশালতায়! বরকতের বিশাল বুকে কী ছিলো সেদিন? বাংলার আদিগন্ত আকাশ? সালামের হৃদয় জুড়ে ছিলো কি পদ্মার উত্তুঙ্গ ঢেউ, পাল-তোলা নৌকো আর দুরন্ত যুবার রাখালিয়া বাঁশির সুর! রফিকের বুকে কি ছিলেন দৃপ্ত রবীন্দ্রনাথ! জব্বারের বিঘত বুকে বিদ্রোহী নজরুল? শফিউরের বুক জুড়ে বুঝিবা জসীম উদ্দীন, জীবনানন্দ? কিংবা কপতাক্ষের কবি? তাঁরা সকলে মিলে সেদিন হয়ে উঠেছিলেন -- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি... ঘর একটাই ঘর ছিলো, ছিলে জুবুথুবু দুজনে -- সুখেই তো ছিলে! ছিলো ঝগড়াঝাঁটি -- ভালোবাসা -- খুনসুটি।...