গত ৪ ডিসেম্বর ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম। কিছুটা পথ হেঁটে তারপর বাসায় আসতে হয়। আমি অন্যান্য দিনের মতই হেঁটে আসছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মনে হলো অনেকক্ষণ যাবত একজন লোক আমার পেছন পেছন আসছে। আমি প্রথমে কিছুই মনে করিনি, কারণ রাস্তায় তো কত মানুষই আসা যাওয়া করে। কিন্তু সন্দেহ হলো তখন যখন আমি ফুটপাতের একটা দোকানে একটা জিনিস কিনতে দাঁড়িয়েছি এবং লোকটাও একটু পাশেই দাঁড়িয়েছে। আমি যেই গলিতে বাঁক নিয়ে যাচ্ছি উনিও একই দিকে বারবার মুভ করছে, এবং প্রতিবারই আমার থেকে অল্প কিছু দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছে। ছিনতাইকারী কি-না এটাও মাথাও এসেছিল। কিন্তু লোকটার বেশভূষা কোনভাবেই ছিনতাইকারীর মত না। আইরন করা সাদা একটা শার্ট, চোখে সানগ্লাস এবং হাইটে অনেকটাই লম্বা। উনি কি আসলেই আমাকে ফলো করছেন কিনা এটা পরীক্ষা করার জন্যে আমি চায়ের দোকানে এমনি চা খাওয়ার ভান করে দাঁড়াই। তখন দেখলাম...
পেছনে অনুসরণকারীরা কারা ?
ইব্রাহিম খলিল শাওন
সরকারের পাওয়ার স্ট্রাকচারে মেজর পরিবর্তন আসছে !
জিয়া হাসান
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় ঘোষণাকালের সাথে সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন যা অনেকে মিস করেছেন। এই ঘোষণাটা আগামীর দিনের গতি নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে প্রধান ঘটনা এবং যা থেকে বুঝতে পারি যে সরকারের পাওয়ার স্ট্রাকচারে মেজর পরিবর্তন আসছে। প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর জন্য ছয়টি কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত্য গঠন কমিশন গঠিত হবে যারা রাজনৈতিক দল সহ সকল পক্ষের সাথে বসে, যে সকল বিষয়ে ঐক্যমত্য হবে সেগুলোকে চিহ্নিত করবে ও বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেবে। এই কমিশনের সভাপতি হবেন প্রফেসর ইউনূস নিজে এবং সহ সভাপতি হবেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা সহ সংস্কার, ঐক্যমত্য ও নির্বাচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গুলো নেবে। খেয়াল করে...
খাদের কিনারে রাজনীতি! কোথায় যাচ্ছে দেশ!
গোলাম মাওলা রনি
কোনো রকম ভূমিকা, ভান ভনিতা না করেই শিরোনাম নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। আজকের বিষয়ের পরিধি অনেক বড়, আমাদের রাজনীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াতের হালহকিকত জড়িত। জাতীয় পার্টিসহ দেশবিদেশের গোয়েন্দাদের অর্থ-হুমকিধমকিতে লম্ফঝম্ফকারী ছোট ছোট রাজনৈতিক দলও ইদানীংকালে অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সবার ওপরে এখন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সমন্বয়কদের মতিগতি-কিংস পার্টির গঠন-আগমন ও পরিচালনা নিয়ে নানা রকম তর্কবিতর্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা, দিল্লি-ঢাকার শীতল সম্পর্ক এবং দুই দেশের জনগণ মিডিয়া-আমলাদের মধ্যকার অস্থিরতা। খাদের কিনারে রাজনীতি! কোথায় যাচ্ছে দেশ!উল্লিখিত সমস্যা ছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির বিজয়, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনজনিত সমস্যাও বাংলাদেশের রাজনীতির হিসাবকে জটিল করে দিয়েছে। আমেরিকায়...
নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার রসায়ন
গাজীউল হাসান খান
এই বিশাল দিগন্তের কোনো প্রান্তেই অকারণে মেঘ জমে ওঠে না। এর পেছনেও অনেক কার্যকারণ নিহিত থাকে। প্রায় এক বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সম্প্রতি এক দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। এর আগে গত বছর নভেম্বরে দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে একটি দ্বিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সফরটি অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে আয়োজিত হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। ভারত সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের অত্যন্ত পরীক্ষিত ও নির্ভরযোগ্য বন্ধু বাংলাদেশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আকস্মিক পতনে তারা বিস্ময়াভিভূত। ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্রসচিবের মতে, দুই দেশের দিগন্তে কিছু কালো মেঘ জমে উঠেছে। এর কারণ কী? এই কালো মেঘ কি হঠাৎ করেই জমে উঠল? এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক সংবাদ বিশ্লেষকরা মোটেও কোনো ধন্দে পড়েননি। তাদের মতে, বাংলাদেশ ও...