ঈমানদারের কর্তব্য হলো, প্রথমত নিজের জীবনকে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত করা। পাশাপাশি নিজের পরিবার, সমাজ ও প্রতিবেশীদের হিদায়াতের পথে পরিচালিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা। বিশেষত, নিজের পরিবার ও অধীন লোকেরা যাতে জান্নাতের পথে চলতে পারে, পরিবারপ্রধানের উচিত সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি নিবদ্ধ করা। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, হে ঈমানদাররা, তোমরা নিজেদের ও তোমাদের পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো (জাহান্নামের) আগুন থেকে, যার ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর...। (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬) বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো শিশুর ওপর রোজা রাখা ফরজ নয়। তবে শিশুর শারীরিক দুর্বলতা বা খুব বেশি কষ্ট না হলে ছোটবেলা থেকেই রোজার জন্য অনুশীলন করানো যায়। শিশুদের রোজার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে : রুবাই বিনতে মুআব্বিজ (রা.) বলেন, আশুরার সকালে আল্লাহর রাসুল (সা.)...
শিশুদের রোজা ও রমজান
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
নিজস্ব প্রতিবেদক

রোজা ভেঙে ফেলা যাবে যেসব কারণে
অনলাইন ডেস্ক

রমজান মাসে রোজা রাখা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। তবে কিছু নির্দিষ্ট কারণের কারণে ইসলাম রোজা ভেঙে ফেলার অনুমতি দিয়েছে। নিচে সেসব কারণ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো ১. অসুস্থতা: যদি কেউ এমন অসুস্থ হন যে, রোজা রাখলে তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যেতে পারে বা জীবন সংকটের মুখে পড়তে পারে, তাহলে তিনি রোজা ভেঙে ফেলতে পারেন। তবে সুস্থ হওয়ার পর তা কাযা করতে হবে। ২. সফর (মুসাফির হলে): যদি কেউ মুসাফির (প্রায় ৮১ কিলোমিটার বা তার বেশি ভ্রমণকারী) হন এবং রোজা রাখা তার জন্য কষ্টদায়ক হয়, তাহলে তিনি রোজা ভেঙে খেতে পারেন। তবে পরে সেই রোজার কাযা আদায় করতে হবে। ৩. গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা: যদি কোনো নারী গর্ভবতী হন বা সন্তানকে দুধ খাওয়ান এবং রোজার কারণে নিজের বা শিশুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তিনি রোজা ভেঙে খেতে পারেন। পরবর্তীতে কাযা আদায় করতে হবে। ৪. মাসিক ও...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব ১২
সুরা বনি ইসরাইল
নিজস্ব প্রতিবেদক

আলোচ্য সুরার শুরুতে মহানবী (সা.)-এর ঐতিহাসিক মিরাজের বর্ণনা এসেছে। ই সুরায় বনি ইসরাঈলের ঔদ্ধত্য ও পাপাচার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামের সামাজিক শিষ্টাচার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মাতা-পিতার আনুগত্য করতে বলা হয়েছে। তাঁদের জন্য দোয়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উফ বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। এতে হত্যা ও ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এই সুরায় মানব মর্যাদা উন্নীত করে তাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মানবচরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। মহানবী (সা.)-কে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুসা (সা.)-এর শরিয়তের সারমর্ম তুলে ধরা হয়েছে এবং কোরআনকে অল্প অল্প করে নাজিল করার তাত্পর্য বর্ণনা করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. ইসরা ও মিরাজ উভয়টি অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত। তাই কোনো প্রকার ব্যাখ্যা...
রমজানে দান-সদকা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

রমজান হলো সবর ও মুয়াসাতের মাস। সবর মানে ধৈর্য আর মুয়াসাত মানে সহানুভূতি। গরিব-দুঃখি ও অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে থাকে। রোজার মাধ্যমে রোজাদারের সে উপলব্ধির সুযোগ হয়। অন্যের দুঃখ-কষ্ট বোঝার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সহানুভূতি প্রকাশের পথ উন্মুক্ত হয়। তার আলোকে রমজানে অপরিহার্য ও সাধারণ; সব ধরনের দান-সদকার ক্ষেত্রে উদার হতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনিতেও সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরো বেশি সুপ্রসারিত হতো। ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরো বেশি সুপ্রসারিত হতো যখন জিবরাঈল (আ.) তাঁর সাথে সাক্ষাত্ করতেন। রমজানের প্রতি রাতে জিবরাঈল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতেন। রাসুল (সা.) জিবরাঈল (আ.)-এর সাথে কোরআন মজিদ পুনরাবৃত্তি করতেন। আর রাসুল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর