সুরার শুরুতে কোরআনের কসম করে বলা হয়েছে যে, মহানবী (সা.) অবশ্যই আল্লাহর রাসুল। তিনি সঠিক পথে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁকে পাঠানো হয়েছে এমন একটি সম্প্রদায়কে ঈমানের দাওয়াত দেওয়ার জন্য যাদের পূর্বসূরিদের সতর্ক করা হয়নি। এরপর মক্কার কাফিরদের ঈমান না আনার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, তাদের অন্তর তালাবদ্ধ। পরে কিয়ামত সম্পর্কে বিভিন্ন বর্ণনা আনা হয়েছে। কিয়ামতের দিন জাহান্নামবাসীদের পৃথক করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জান্নাতবাসীদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এরপর বলা হয়েছে যে, মহানবী (সা.) কবি নন, বরং তিনি স্পষ্ট কোরআনের মাধ্যমে সতর্ককারী। গাছ থেকে আগুন সৃষ্টির তত্ত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. আলেমদের কাজ পৌঁছে দেওয়া। (আয়াত : ১৬-১৭) ২. মানুষ নিজের অমঙ্গল নিজে ডেকে আনে। (আয়াত : ১৯) ৩. মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ কোরো। (আয়াত :...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা, পর্ব ২৩
সুরা ইয়াসিন

ইসলামে নারী-পুরুষের ইতিকাফ
শরিফ আহমাদ

ইতিকাফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আত্মশুদ্ধি, ইবাদতের প্রতি একাগ্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। ইতিকাফ সুপ্রাচীন ইবাদত হওয়ায় যুগে যুগে এর আমল হয়েছে। ইতেকাফ করার জন্য মসজিদকে পবিত্র রাখা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আর আমি (আল্লাহ) ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিলাম যে তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী, রুকু ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫) ইতিকাফ সংক্রান্ত জরুরি কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো ইতিকাফের শর্ত ইতেকাফের প্রধান শর্ত তিনটি এক. ইতিকাফের নিয়ত করতে হবে। দুই. এমন মসজিদে ইতেকাফ হতে হবে যেখানে নামাজের জামাত হয়। জুমার জামাত হোক বা না হোক। তিন. মহিলাদের ক্ষেত্রে হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র হতে হবে। (আহকামে জিন্দেগী, পৃষ্ঠা : ২৫৭) ইতিকাফের প্রকার ইতিকাফ তিন প্রকারএক. ওয়াজিব। এটা হলো মান্নতের...
ইসলামে জাকাতের মাহাত্ম্য ও সমকালীন প্রয়োগ
আসআদ শাহীন

নামাজের পর জাকাত ইসলামের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। পবিত্র কোরআনে ৩২ স্থানে নামাজ ও জাকাত ফরজ হওয়ার কথা বলা হয়েছে। (রদ্দুল মুহতার, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা : ২০২) জাকাতের গুরুত্ব বুঝতে এটিই অনুমেয় যে মহানবী (সা.)-এর ইন্তেকালের পর আরব বিশ্বের সর্বত্র বিদ্রোহ শুরু হয়, যা ইসলামী রাষ্ট্রকে সবচেয়ে নাজুক পরিস্থিতি এবং সংকটাপন্ন ধ্বংসের মুখে ফেলে দেয়। এর নেপথ্যে ছিল জাকাত অস্বীকারকারীরা। তত্কালীন সময়ে এটি ছিল সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইসলামী ইতিহাসের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে (Critical juncture) আবু বকর সিদ্দিক (রা.) অধিকাংশ সাহাবির পরামর্শক্রমে) ঘোষণা করেন যে যারা নামাজ ও জাকাতের মধ্যে যেকোনো পার্থক্য এবং বৈষম্য সৃষ্টি করবে, আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ করব। অতঃপর আমিরুল মুমিনিন আবু বকর সিদ্দিক (রা.) জাকাত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে জিহাদ করেন এবং তাদের বিদ্রোহ সম্পূর্ণরূপে চূর্ণ...
ইসলামী আইনে মব জাস্টিসের কোনো সুযোগ নেই
নুর মোহাম্মদ

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মব জাস্টিসের প্রবণতা দেখা দেয়। যা কখনও পরিকল্পিত আবার কখনও অপরিকল্পিত। পরিকল্পিত এ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, পূর্বেই ঘোষণা দিয়ে কারও উপর আক্রমণ করে বসা। আর অপরিকল্পিত এ বিবেচনায় যে কোথাও সন্দেহভাজন কাউকে পাওয়া গেল অথবা কাউকে অপরাধী মনে হলো অথবা প্রকৃতপক্ষেই অপরাধী- ফলে প্রথমে দুয়েক জন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল, সন্তোষজনক না হলে তাকে মারধর করে কিংবা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মব তৈরি করে। অতঃপর দেখা যায় আরও কিছু লোক জড়ো হয়ে এক পর্যায়ে সবাই মারধর করতে থাকে। কোনো কোনো সময় পরিস্থিতির শিকার উক্ত ব্যক্তি মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রকৃত ঘটনা বুঝে ওঠার আগেই অনেকে এতে জড়িত হয় এবং মনে করে উক্ত ব্যক্তি যেহেতু অপরাধী, তাই তাকে শায়েস্তা করার অধিকার তাদের রয়েছে! প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের মব জাস্টিস প্রচলিত ও ইসলামী আইনের কোথাও অনুমতি দেয়া হয়নি।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর