স্বর্ণজয়ের আক্ষেপ ঘোচালেন জোকোভিচ

স্বর্ণজয়ের আক্ষেপ ঘোচালেন জোকোভিচ

অনলাইন ডেস্ক

অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মুখোমুখিতে জয়টা এবার অভিজ্ঞতারই হলো। তরুণ কার্লোস আলকারাজকে হতাশার সাগরে ডুবিয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হলেন সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্লামের মালিক নোভাক জোকোভিচ। যে স্বর্ণের পদক এতোদিন গলায় জড়াতে পারেননি জোকোভিচ।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই ক্রীড়াযজ্ঞে জোকোভিচের সেরা সাফল্য ছিল ২০০৮ সালে বেইজিংয়ে ব্রোঞ্জ জয়।

কার্লোস আলকারাজের বিপক্ষে মধুর প্রতিশোধ নিয়ে অলিম্পিকে সোনা জয়ের আক্ষেপ অবশেষে ঘুচালেন সার্বিয়ান এই তারকা।

রোলাঁ গাঁরোর লাল দুর্গে পুরুষ এককের তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ফাইনালে স্প্যানিয়ার্ড তরুণকে সরাসরি ২-০ সেটে (৭-৬, ৭-৬  গেমে) হারিয়ে দেশকে সোনালি সাফল্য উপহার দিলেন ৩৭ বছর বয়সী জোকোভিচ। অলিম্পিকের স্বর্ণ জিতে পূর্ণ করলেন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অনন্য গোল্ডেন স্লামও।

টেনিস ইতিহাসে যে কীর্তি আছে আর মাত্র চারজনের- রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামস, স্টেফি গ্রাফ এবং আন্দ্রে আগাসির।

অভিজাত বিরল সেই ক্লাবের ব্র্যাকেটবন্দী হলেন জোকোভিচও। শুরু থেকে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রথম সেট শেষ হতেই সময় লেগেছে এক ঘণ্টা তেত্রিশ মিনিট।

সমানতালে এগোচ্ছিলেন তারা দুজনই। টাইব্রেকারে অবশ্য জয় হয় অভিজ্ঞতার। সেখানে ৭-৩ এ আলকারাজকে হারিয়ে প্রথম সেট ৭-৬ গেমে জিতে নেন নোভাক জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেটেও কেউ কারো সার্ভ ব্রেক করতে পারছিলেন না। নিজ নিজ সার্ভে জেতায় এই সেটও গড়ায় টাইব্রেকারে (৬-৬)। এবং এবারও তারুণ্যের বিপক্ষে জয় হয় অভিজ্ঞতার। টাইব্রেকারে আবারও জোকোভিচের কাছে ধরাশায়ী আলকারাজ। এবার ৭-২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে উত্সবের জোয়ারে ভাসেন সার্বিয়ান তারকা।

আরও পড়ুন: তৃতীয় স্বর্ণ জয় করে কানাডার ম্যাকিনটশের বিশ্বরেকর্ড

প্যারিসের লাল শুরকির কোর্টে কিছুদিন আগে ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের উত্সব করেছিলেন আলকারাজ। জোকোভিচের বিপক্ষে সর্বশেষ লড়াইয়েও জয়ী নামটি ছিল তার। গতমাসে অল ইংল্যান্ড ক্লাবের ফাইনালে জোকোভিচকে হারিয়ে উইম্বলডন জিতেছিলেন আলকারাজ। মধুর প্রতিশোধ নিয়ে অলিম্পিক এককের স্বর্ণের পদকটা বর্ণীল ট্রফি শোকেসে যোগ করলেন জোকোভিচ।

ফাইনালে উঠেই অবশ্য ইতিহাস গড়েছিলেন আলকারাজ। ১৯৯৮ সালে অলিম্পিকে টেনিস ফেরার পর সবচেয়ে এককের ফাইনালে কমবয়সী খেলোয়াড় স্প্যানিয়ার্ড তরুণ। স্বর্ণ জিতে রেকর্ডটা আরও সমৃদ্ধ করতে পারলেন না তিনি। সবমিলিয়ে এনিয়ে এই দুই তারকা মুখোমুখি হয়েছেন সাতবার। অলিম্পিকের স্বর্ণ জিতে এই দ্বৈরথে ৪-৩ এ এগিয়ে গেলেন জোকোভিচ। আলকারাজকে হারিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন জোকোভিচ।

নিজের পেশাদার জীবনে ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন তিনি। রোববার (৪ আগস্ট) অধরা স্বপ্নপূরণ করেছেন অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে। নোভাক জোকোভিচ জানিয়ে দিলেন, অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়টাই তার কাছে সেরা সাফল্য।

news24bd.tv/SC