থাইল্যান্ডে থানাত থাংতেওয়ান নামের এক যুবকের অণ্ডকোষে কামড় দিয়েছে অজগর সাপ। প্রাকৃতিক কাজ সারতে বাথরুমের কমোডে বসতেই এমন ঘটনা ঘটে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন থানাত। পরে অবশ্য টয়লেট ব্রাশ দিয়ে পিটিয়ে সাপটিকে হত্যা করেছেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) ওই ঘটনার ছবি প্রকাশ করেছেন থানাত। ছবিতে দেখা যায়, ১২ ফুটের ওই সাপ বাথরুমের মেঝেতে পড়ে আছে।
থানত বলেন, ‘কমোডে বসার কিছুক্ষণ পর অনুভব করি, কিছু একটা আমার অণ্ডকোষে কামড় দিয়েছে।
এরপর থানাত একটি টয়লেট ব্রাশ দিয়ে সাপের মাথায় আঘাত করতে থাকেন। যতক্ষণ না সাপটি মরে, তিনি সাপটির মাথায় আঘাত করতেই থাকেন।
থানাতের বাবা টিটেনাস টিকা নিতে দ্রুত হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, সেলাই লাগবে না। ক্ষতটি গভীর নয়। আশা করি, এটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যাবে।
থানাত আরও বলেন, ‘আমি এখন ভালো আছি। আমি ভাগ্যবান, এটি কোনো বিষধর সাপ ছিল না। কোবরা বা অন্যকোনো সাপ হলে মরে যেতাম। তবে ঘটনার পর থেকে আমি এখনো ওই টয়লেটে যাইনি। ’
থাইল্যান্ডে এর আগেও এমন বহুবার টয়লেটে অজগর সাপের আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৬ সালে চাচোয়েংসাও প্রদেশে একটি স্কোয়াট টয়লেটে এক ব্যক্তিকে ১০ ফুট লম্বা অজগর কামড় দিয়েছিল। সেসময় ওই ব্যক্তির চিৎকার শুনে তার স্ত্রী এগিয়ে আসে। তিনি এসে দেখেন, তার স্বামীর অণ্ডকোষে একটি সাপ কামড় দিয়েছে। অতঃপর তার স্বামী অজগরের কামড় থেকে রক্ষা পায়।
এছাড়াও ২০২০ সালে সামুত প্রাকান প্রদেশে টয়লেটে এক গৃহবধূকে অজগর কামড় দিয়েছিল। সেসময় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা সাপটিকে অবমুক্ত করে।
উল্লেখ্য, রেটিকুলেটেড অজগর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে পাওয়া যায়। সাপের এই প্রজাতিটি বন, জলাভূমি, খাল এমনকি শহরেও বাস করে। এই প্রজাতিটি বিশ্বের বৃহত্তম সাপগুলোর মধ্যে একটি। এরা মানুষ, বিড়াল, কুকুর, পাখি, ইঁদুর এবং অন্যান্য সাপ খেতে পারে।
সূত্র: দ্য ডেইলি মেইল
news24bd.tv/JP