ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় দেড় হাজার ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও উপড়ে ফেলা হয়। এসব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের বেশির ভাগই ছিল শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীনতাসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক।
বুধবার (২১ আগস্ট) ইসলামাবাদে ন্যাশনাল ইয়ুথ কনভেনশনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, ‘যিনি পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি অবশেষে তার করুণ পরিণতি ভোগ করেছেন। ’
শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রসঙ্গে শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘যিনি খারাপ কাজ করবেন তার ফল ঘুরেফিরে তার ওপরই আসবে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দেওয়া এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানান দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে, তারা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এ দেশে গণহত্যার জন্য লজ্জিত নয়।
বিবৃতিতে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসন অবসানের পর পাকিস্তানিদের দুঃশাসন, শোষণে অতিষ্ট ছিল এদেশের আপামর জনতা। এসময় তাদের মুক্তির দূত হিসেবে আবির্ভূত হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির স্বপ্নে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেন, হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। ’
news24bd.tv/JP