একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ৯ মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর (না)পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় মুক্তিযুদ্ধ। সেদিনের বিজয়োল্লাসের কথা আমার মতো প্রবীণদের মানসপটে চিরকাল জ্বলজ্বল করবে, এটাই স্বাভাবিক। এরপর সুখে-দুঃখে কেটে গেছে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসরূপে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিবছরই পালিত হয়। তবে একাত্তর বা একাত্তর-পরবর্তী বছরগুলোর সেই উন্মাদনা আর নেই এই দিবস উদযাপনে। এটাও স্বাভাবিক। কেন স্বাভাবিক? যদি বলি, দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক এখন মুক্তিযুদ্ধ নয়, অহরহ পর্যুদস্ত হচ্ছে আরেক যুদ্ধে। সেটা কী? সেটা জীবনযুদ্ধ। এই মানুষগুলোর কাছে খেয়েদেয়ে কোনোমতে বেঁচে থাকার যে সংগ্রামতার কাছে অন্যসব আনন্দ-উল্লাস বৃথা। অথচ একাত্তর-বাহাত্তরের তুলনায় দেশের সব মানুষের আয় বেড়েছে। গ্রামগঞ্জেও এখন আর আগের মতো খালি গায়ে খালি পায়ে...
পারতে আমাদের হবেই
মোফাজ্জল করিম
পেছনে অনুসরণকারীরা কারা ?
ইব্রাহিম খলিল শাওন
গত ৪ ডিসেম্বর ভার্সিটি থেকে ফিরছিলাম। কিছুটা পথ হেঁটে তারপর বাসায় আসতে হয়। আমি অন্যান্য দিনের মতই হেঁটে আসছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মনে হলো অনেকক্ষণ যাবত একজন লোক আমার পেছন পেছন আসছে। আমি প্রথমে কিছুই মনে করিনি, কারণ রাস্তায় তো কত মানুষই আসা যাওয়া করে। কিন্তু সন্দেহ হলো তখন যখন আমি ফুটপাতের একটা দোকানে একটা জিনিস কিনতে দাঁড়িয়েছি এবং লোকটাও একটু পাশেই দাঁড়িয়েছে। আমি যেই গলিতে বাঁক নিয়ে যাচ্ছি উনিও একই দিকে বারবার মুভ করছে, এবং প্রতিবারই আমার থেকে অল্প কিছু দূরত্ব বজায় রেখে হাঁটছে। ছিনতাইকারী কি-না এটাও মাথাও এসেছিল। কিন্তু লোকটার বেশভূষা কোনভাবেই ছিনতাইকারীর মত না। আইরন করা সাদা একটা শার্ট, চোখে সানগ্লাস এবং হাইটে অনেকটাই লম্বা। উনি কি আসলেই আমাকে ফলো করছেন কিনা এটা পরীক্ষা করার জন্যে আমি চায়ের দোকানে এমনি চা খাওয়ার ভান করে দাঁড়াই। তখন দেখলাম...
সরকারের পাওয়ার স্ট্রাকচারে মেজর পরিবর্তন আসছে !
জিয়া হাসান
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় ঘোষণাকালের সাথে সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন যা অনেকে মিস করেছেন। এই ঘোষণাটা আগামীর দিনের গতি নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে প্রধান ঘটনা এবং যা থেকে বুঝতে পারি যে সরকারের পাওয়ার স্ট্রাকচারে মেজর পরিবর্তন আসছে। প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর জন্য ছয়টি কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত্য গঠন কমিশন গঠিত হবে যারা রাজনৈতিক দল সহ সকল পক্ষের সাথে বসে, যে সকল বিষয়ে ঐক্যমত্য হবে সেগুলোকে চিহ্নিত করবে ও বাস্তবায়নের প্রস্তাব দেবে। এই কমিশনের সভাপতি হবেন প্রফেসর ইউনূস নিজে এবং সহ সভাপতি হবেন অধ্যাপক আলী রিয়াজ। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা সহ সংস্কার, ঐক্যমত্য ও নির্বাচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গুলো নেবে। খেয়াল করে...
খাদের কিনারে রাজনীতি! কোথায় যাচ্ছে দেশ!
গোলাম মাওলা রনি
কোনো রকম ভূমিকা, ভান ভনিতা না করেই শিরোনাম নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক। আজকের বিষয়ের পরিধি অনেক বড়, আমাদের রাজনীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াতের হালহকিকত জড়িত। জাতীয় পার্টিসহ দেশবিদেশের গোয়েন্দাদের অর্থ-হুমকিধমকিতে লম্ফঝম্ফকারী ছোট ছোট রাজনৈতিক দলও ইদানীংকালে অতিমাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সবার ওপরে এখন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের সমন্বয়কদের মতিগতি-কিংস পার্টির গঠন-আগমন ও পরিচালনা নিয়ে নানা রকম তর্কবিতর্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উত্তেজনা, দিল্লি-ঢাকার শীতল সম্পর্ক এবং দুই দেশের জনগণ মিডিয়া-আমলাদের মধ্যকার অস্থিরতা। খাদের কিনারে রাজনীতি! কোথায় যাচ্ছে দেশ!উল্লিখিত সমস্যা ছাড়াও মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির বিজয়, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের পতনজনিত সমস্যাও বাংলাদেশের রাজনীতির হিসাবকে জটিল করে দিয়েছে। আমেরিকায়...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর