ব্যাংক লুটের অভিযোগে আলোচনার তুঙ্গে এস আলম গ্রুপের একটি গাড়িতে চড়ে গত বুধবার চট্টগ্রামে নিজ এলাকায় সংবর্ধনা নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচার হওয়ার পর তোপের মুখে পড়েছেন সালাহউদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে আজ সোমবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেছেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘ওই দিন আমি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলাম।
তিনি বলেন, ‘এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর আমি খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করলাম। আমি কার গাড়িতে চড়লাম।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘একটা ছোট ভাই গেছে, আমি তার গাড়িতে উঠছি। কিন্তু আমি যদি জানতাম, এই গাড়িটি ওই গ্রুপের, আমি অবশ্যই উঠতাম না। তারপরও আমার এই অসাবধানতার জন্য যদি দেশেবাসীর মনে কষ্ট দিয়ে থাকি বা অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে থাকি; সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ’
জানা যায়, গত বুধবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দর হয়ে দলের নেতাকর্মীদের গাড়িবহরের সঙ্গে পেকুয়ায় পৌঁছান সালাউদ্দিন। কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদের গাড়িবহর পেকুয়ায় পৌঁছানোর বিভিন্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ রকম একটি ভিডিওতে দেখা যায়, যে গাড়িতে (জিপ) চড়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজার থেকে পেকুয়ায় আসেন, সেটির নম্বর চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১৫৩৩। এটি মিতসুবিশির স্টেশন ওয়াগন ব্র্যান্ডের জিপ। তিনি সামনে সিটে বসে হাত নেড়ে আশপাশের লোকজনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিববহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায়, সালাহউদ্দিন আহমেদকে বহন করা গাড়িটি (চট্ট মেট্রো ঘ-১১-১৫৩৩) এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন। এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে এটি ২০১০ সালে নিবন্ধন করা। ঠিকানা লেখা আছে এস আলম ভবন, চট্টগ্রাম নগরের আছদগঞ্জ। এটি এস আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয়।
বিআরটিএ চট্টগ্রামের উপপরিচালক আইনুল হুদা গাড়িটি এস আলম গ্রুপের নামে নিবন্ধন করা বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১৪ জুন কক্সবাজারে জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন। ৬২ দিন পর ওই বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন।
news24bd.tv/আইএএম
