আসিয়ানের সদস্য পদে বাংলাদেশকে সমর্থন মালয়েশিয়ার

সংগৃহীত ছবি

আসিয়ানের সদস্য পদে বাংলাদেশকে সমর্থন মালয়েশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

মালয়েশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সংস্থা (আসিয়ান)-এ যোগদানের জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে।

বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেন, ‘আসিয়ানের অধীনে ১০টি সদস্য দেশ সমমর্যাদা ধারণ করে এবং কেউ একতরফাভাবে সদস্যপদের প্রস্তুাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে না। একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসাবে আমি বলতে পারি, একদিন আপনাদের (বাংলাদেশের) জন্য এ দরজা খুলবে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ক : সমৃদ্ধির দিকে যাত্রা’- শীর্ষক এক বক্তৃতায় হাইকমিশনার একথা জানান।

এ সময় হাইকমিশনার তার বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে মালয়েশিয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। এটি আপনাদের স্বাধীনতা সূচনা থেকেই প্রমাণিত। আমরা আমাদের বাংলাদেশি বন্ধুদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি।

আসিয়ান সদস্যপদ প্রস্তাবের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সাথে আলোচনার কথা উল্লেখ করে হাশিম বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের আবেদনে মালয়েশিয়ার ‘উন্মুক্ত সমর্থনের’ ওপর জোর দেন।

হাশিম বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, প্রযুক্তিগত ও শিল্প সহযোগিতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কূটনীতি ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মতো ক্ষেত্রগুলোতে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের গুরুত্বও তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা উন্নয়নে মূল্যবান পরামর্শ দেন এবং ভবিষ্যতে দু’দেশের মধ্যকার সহযোগিতা আরও গভীর করারও দিকনির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাহ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। হাইকমিশনার হাশিম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস-এর চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইআইএসএস-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।

বক্তৃতার পর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া সম্পর্ককে কীভাবে আরও জোরদার করা যায়- সে বিষয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোভিড মহামারীর কারণে ছেদ পড়া বিআইআইএসএস -এর কান্ট্রি লেকচার সিরিজও পুনরায় সূচিত হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথম চালু হওয়া এই লেকচার সিরিজটির লক্ষ্য- অংশীদার দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের বোঝাপড়া বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণ।

news24bd.tv/DHL