‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সেদিনই প্রথম সরাসরি দেখা হয়’

সংগৃহীত ছবি

‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে আমির ডা. শফিকুর রহমান

‘সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সেদিনই প্রথম সরাসরি দেখা হয়’

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত টকশো ‘ঠিকানা’য় খালেদ মুহিউদ্দীন’ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।  
এ সাক্ষাৎকারে ডা. শফিকুর রহমান প্রায় সব প্রশ্নেরই উত্তর খোলামেলাভাবে দিয়েছেন। পরিস্কার করেছেন নিজেদের দলের অবস্থান । তারা আদর্শিকভাবে কী চান আর রাজনৈতিকভাবে কৌশলগত কারণে কী করেন সেসবও স্পষ্ট করেছেন।

 
বাংলাদেশে ইসলামের আদর্শ সামনে রেখে শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, আরও কিছু রাজনৈতিক দল সক্রিয়। তাদের কারও কারও সঙ্গে জামায়াতের বিরোধও আছে, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কোন দলটিকে প্রকৃত ইসলামভিত্তিক দল হিসেবে গ্রহণ করবে- খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘একটি পরিবারে একাধিক সদস্য থাকেন। তাদের সবার মত এক হয় না। তারপরও পরিবার চলে।
পরিবার ভেঙে যায় না। মতের ভিন্নতা থাকবে, এটাও সৌন্দর্য। ভিন্নতা যখন থাকে, তখন বৈচিত্র্য চিন্তা করার সুযোগ থাকে। ’ তিনি দাবি করেন, এমন ভিন্নতা সকল ধর্মেই থাকে। তবে যারা সত্যিকারের ইসলামের অনুসারী, তারা এক কোরআন মানেন, এক আল্লাহ মানেন, এক রাসুল মানেন- এই তিন জায়গায় কোনো দ্বিমত নেই। বাকি জায়গায় একটু এদিক-সেদিক হতেই পারে’।
সেনাপ্রধান কখন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন- এ প্রসঙ্গে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট দুপুরে ফোন আসে সেনাবাহিনী থেকে। এর আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সেদিনই প্রথম সরাসরি দেখা হয়, দাবি করেন জামায়াত প্রধান।  
একটি ‘নিষিদ্ধ’ সংগঠনের নেতাকে সেনানিবাসে যেতে বলা হচ্ছে, বিষয়টি তো ফাঁদও হতে পারত, এমন শঙ্কা ছিল কি না- জানতে চাইলে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আমি মনে করিনি। সরকার হঠাৎ করে পয়লা আগস্ট আমাদের যখন নিষিদ্ধ করে, আমরা সেটা গ্রহণ করিনি, সঙ্গে সঙ্গে বর্জন করি। সবাই আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের সকলে নিন্দা করেছে। কারণ এটা ছিল ইস্যু ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কৌশল। এটা কেউ গ্রহণ করেনি। কাজেই সেনাপ্রধানের দাওয়াত আমরা অস্বাভাবিক মনে করিনি। ’ 
রাজনীতির পথে চলতে কখনো আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন, আবার কখনো বিএনপির সঙ্গে জোট করে সরকার পরিচালনায় অংশগ্রহণ- এ ক্ষেত্রে জামায়াতের অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি সম্পর্কে দলটির আমির বলেন, ‘যখন দেশে কোনো ধরনের ফ্যাসিজম এসেছে, যখন অন্যায় করেছে সরকার, তখন আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। একই সুরে যারা প্রতিবাদ করেছে, সংগত কারণেই তাদের সঙ্গে আমাদের বিষয়টি মিলে গেছে। আমরা চারদলীয় জোট করেছিলাম, যেটা পরে ২০ দলীয জোটে রূপান্তরিত হয়েছিল। তবে এখন আমরা কোনো জোটে নেই। ’
‘জোটে আমরা গিয়েছি রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে, আদর্শিক কোনো ঐক্য ছিল না। ’ যোগ করেন তিনি।
সম্প্রতি আক্রমণের শিকার হওয়া নির্দিষ্ট কোনো মাজার, নির্দিষ্ট কোনো দরবারের বিষয়ে না বললেও সামগ্রিকভাবে এসব ভাঙার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ‘নীতিগত প্রতিবাদ’ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বলে জানান তিনি।  

ভিডিও লিংক:https://www.youtube.com/watch?v=TOLqOR3PjAI

news24bd.tv/ডিডি

সম্পর্কিত খবর