অবশেষে জানা গেল ড. ইউনূসের ডাকে মঞ্চে উঠে পড়া সেই ‘অনুপ্রবেশকারীর’ পরিচয়

অবশেষে জানা গেল ড. ইউনূসের ডাকে মঞ্চে উঠে পড়া সেই ‘অনুপ্রবেশকারীর’ পরিচয়

অনলাইন ডেস্ক

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ‘ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ লিডারস স্টেজ’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি তিনি তার বিশেষ সহকারী এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহফুজ আলমসহ দুইজনকে স্টেজে ডেকে নেন।

তবে সেই দুজনের মধ্যে একজনকে নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। মূলত, তিনি ছাত্র আন্দোলন কিংবা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কেউ না হওয়ায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

তিনি মূলত কে, ওঠে সেই প্রশ্নও। মাহফুজ আলম তো সরাসরি তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে।

অনেক আলোচনা-সমালোচনার পর অবশেষে জানা গেল সেই অনুপ্রবেশকারীর নাম। জানা গেছে, ওই তরুণের নাম জাহিন রোহান রাজিন।

তিনি হাইড্রোকো প্লাস’র প্রতিষ্ঠাতা।

আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের ডাকে স্টেজে অনুপ্রবেশকারী, যা বলছেন মাহফুজ আলম

সিজিআই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে জাহিন বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম সিজিআই ফেলো হিসেবে। ড. ইউনূস ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে যখন ডাকলেন, তখন আমি দর্শক সারিতে ছিলাম। পাশে ছিলেন দুই বিদেশি ভদ্রলোক। তারা আমাকে বললেন, তুমি বাংলাদেশি তরুণ, তুমিও যাও। তাই আমি কিছু না ভেবেই স্টেজে উঠে গিয়েছি। ’

তিনি ‍আরও বলেন, ‘২০২১ সালের ইউনূস অ্যান্ড ইয়ুথ ফেলো আমি। আমার প্রতিষ্ঠান হাইড্রোকো প্লাসের কাজ এগিয়ে নিতে আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছিলাম। নিউইয়র্কে সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানে তিনি আসবেন শুনে খুশি হয়েছিলাম এ কারণে যে, তার কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ হবে। ’

এর আগে, জাহিনকে নিয়ে ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মাহফুজ লেখেন, সিজিআইয়ের অনুষ্ঠানের ওই ব্যক্তি অনুপ্রবেশকারী এবং অসৎ লোক। তার এ অনুপ্রবেশ নাশকতার অংশ। ওই ব্যক্তি নিজস্ব ক্ষমতাবলে সিজিআই ইভেন্টে যোগ দিয়েছেন। আমরাসহ ডেলিগেটরা তার উপস্থিতি ও উদ্দেশ্য জানতাম না। এমনকি সে ডেলিগেটদের কারও সঙ্গে যোগাযোগও করেনি।

ওই ব্যক্তির মঞ্চে ওঠা নিয়ে মাহফুজ লেখেন, স্যার (ড. ইউনূস) আমাদের মঞ্চে ডাকলে হুড়মুড় করে আমাদের আগে মঞ্চের দিকে দৌড়ে আসেন ওই ব্যক্তি। আমি তাকে মঞ্চে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করতে পারিনি, যদিও আমি সন্দেহজনক ছিলাম। এছাড়া বিশ্বনেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে আমি অসহায় ছিলাম। এটি ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর অন্তর্ঘাতের একটি পূর্ব-পরিকল্পিত কাজ।

আরও পড়ুন: বিশ্বমঞ্চে মাহফুজকে বিপ্লবের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচয় করালেন ড. ইউনূস

আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের নেতারা, সমন্বয়কারী ও যোদ্ধাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা জানিয়ে মাহফুজ লেখেন, আমরা তার অনুপ্রবেশ রোধ করতে পারিনি। আমরা আগামী দিনে গণঅভ্যুত্থান এর প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে খুব সতর্ক থাকবো।

জানা গেছে, ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের হাতের বাঁ পাশে থাকা ওই ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সাবেক এক সংসদ সদস্যের ভাতিজা। এছাড়া ম্যানহাটনে একইদিনে হওয়া ‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’-এর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক থাকা আজিজ আহম্মেদকেও ড. ইউনূসের সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা যায়।

news24bd.tv/SHS

এই বিভাগের পাঠকপ্রিয়