আজ ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক চিরকালীন গৌরবময় দিনমহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে, এবং পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হয়। এই দিনটি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয়ের দিন, যা বাঙালি জাতির মুক্তি এবং আত্মমর্যাদার প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত। বিজয়ের পটভূমি: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির ভাষা, সংস্কৃতি এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে, যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের পৈশাচিক সূচনা। লাখ লাখ বাঙালি শহীদ হয়, এবং দেশব্যাপী এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এরপর বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা দেশব্যাপী প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। বিজয়ের মুহূর্ত: ১৬...
মুক্তির কান্না, বিজয়ের হাসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্মৃতিসৌধ সেজেছে অপরূপ সাজে, বিজয় উদযাপনে প্রস্তুত জাতি
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্তিতে, রাত পোহালেই জাতি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধে সমবেত হবে। স্মৃতিসৌধে ব্যাপক সাজসজ্জা করা হয়েছে, এবং পুরো এলাকা এখন আলোকসজ্জায় সজ্জিত। ঢাকার অদূরে সাভারে অবস্থিত এই স্মৃতিসৌধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং দেশ-বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা স্মৃতিসৌধে আসবেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষও শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন, এবং ফুলে ফুলে ভরে উঠবে শহীদ বেদি। গণপূর্ত বিভাগ গত দুই সপ্তাহ ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। পুরো সৌধ এলাকায় বসানো হয়েছে রঙিন বাতি, মূল ফটক থেকে বেদি পর্যন্ত লাল, সবুজ, এবং নীল আলোকবাতিতে সজ্জিত করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধের প্রতিটি ফটক ও স্থাপনায় নানা...
১৯৭১ সালে নিয়াজীর আত্মসমর্পণের সময় ওসমানীর অনুপস্থিতি রহস্যজনক
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের দীর্ঘ নয় মাস ধরে চলা মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্বদানকারী জেনারেল মোহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী কেন পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজিত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজীর আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না তা রহস্যজনক। নিয়াজী আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্রবাহিনীর কমান্ডার জগজিৎ সিং অরোরার কাছে তার অস্ত্র হস্তান্তর করেন এবং ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যার আগে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন। তবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ওসমানীর অনুপস্থিতি কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং এটি নিয়ে এখনও একটি রহস্য রয়ে গেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদেরকে উপেক্ষা করে ভারতীয় কমান্ডারদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে কি না? মুক্তিযুদ্ধ...
বাংলাদেশ-পূর্ব তিমুরের সম্পর্ক ক্রমশ গভীর হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের মধ্যেকার সম্পর্ক ক্রমশ গভীর এবং প্রসারিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমাদের সম্পর্ক ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। আমরা কিছু চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তবে চুক্তির বাইরে, আমরা নিশ্চিত করছি যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে। তিনি বলেন, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট ইতোমধ্যে সব বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীকে তার দেশে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং দুই দেশের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্পর্ককে আরও বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত করেছেন। অধ্যাপক ইউনূস স্মরণ করন যে, যখন তিনি প্রথমবার পূর্ব তিমুর সফর করেছিলেন, তখন তিনি দেখেছিলেন যে বাংলাদেশের অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সেই দেশের গ্রামের দোকানেও...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর