কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কোরবানিতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের শিক্ষা এবং আল্লাহর ভালোবাসায় নিজের সব চাহিদা কোরবানি (ত্যাগ) করার শিক্ষা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, হে রাসুল! আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ বিশ্বজাহানের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য উৎসর্গিত (সুরা আনআম: ১৬২)। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন- আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন (সুরা কাউসার: ২)। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি ঋণগ্রস্ত থাকেন, তাহলে তার জন্য আগে ঋণ পরিশোধ করা জরুরি। কারণ শেষ বিচারের দিন হাদিস অনুযায়ী, পাওনাদারকে নিজের নেকি দিয়ে দিতে হবে নতুবা পাওনাদারের গুনাহ কাঁধে নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। এছাড়াও আব্দুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যদি কোন ব্যক্তির মধ্যে গড়িমসি (দেবো-দিচ্ছি) করার অভ্যাস...
ঋণ থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে কি?
অনলাইন ডেস্ক

কত টাকা হলে কোরবানি বাধ্যতামূলক?
অনলাইন ডেস্ক

কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছেতোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে নামাজ আদায় করো ও পশু কোরবানি করো। (সুরা : কাউসার, আয়াত : ২) কোরবানির রক্ত প্রবাহিত করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না উহার (জন্তুর) গোশত এবং রক্ত, বরং পৌঁছায় তোমাদের তাকওয়া। (সুরা : হজ, আয়াত : ৩৭) আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকার পরও কোরবানি করে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছে না আসে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১২৩) রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহতাআলার নিকট কোরবানির দিন মানবজাতির কোরবানি অপেক্ষা অধিকতর পছন্দনীয় কোনো আমল নেই। বিচারদিনে কোরবানির পশুকে তার শিং, পশম ও খুরসহ উপস্থিত করা হবে। পশুর রক্ত জমিনে পড়ার পূর্বেই আল্লাহর কাছে তা বিশেষ মর্যাদায় পৌঁছে যায়, সুতরাং তোমরা...
‘কবুল’ বলা ছাড়াও যেসব শব্দ উচ্চারণে বিয়ে হয়ে যায়
অনলাইন ডেস্ক

বিয়ের মাধ্যমে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈধ ও পবিত্র সম্পর্ক স্থাপন হয়। এই সম্পর্কের মাধ্যমে একজন মানুষ ধর্মীয় বিধান পালনের নিকটবর্তী হয় এবং তার জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়। এক হাদিসে রাসূল সা.বলেছেন যে ব্যক্তি বিয়ে করল সে তার অর্ধেক ইমান (দ্বীন) পূর্ণ করে ফেলল। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (বায়হাকি, শুআবুল ইমান) অপর হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, হে যুবক সকল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে করলে দৃষ্টিকে নিচু রাখা যায় এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করা যায়। আর যে ব্যক্তি বিয়ের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না সে যেন রোজা রাখতে থাকে। কারণ রোজা তার খাহেশকে কমিয়ে দেবে (বুখারি, মুসলিম)। ফিকহে হানাফির দৃষ্টিতে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার জন্য ইজাব...
কোরআনের আলোকে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব নিরসনের উপায়
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা

স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব মহান আল্লাহর কাছে অতি জঘন্য আর শয়তানের অতি পছন্দের বিষয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সর্বদা ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও সমঝোতা একান্ত কাম্য। অপরদিকে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাক-হালাল কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট। স্বামী-স্ত্রীর পরস্পরে ভুল বুঝা-বুঝি বা একে অপরকে অসম্মান করার চূড়ান্ত পর্যায়ে বিবাহবিচ্ছেদ বা তালাকের ঘটনা ঘটে। এছাড়া পরকীয়া, স্ত্রীর উচ্চ বিলাসিতা ও স্বামীর আচরণেও অনেক সময় বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়। এ জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কখনো কোনো দ্বন্দ্ব তৈরি হলে প্রথমেই তা মিটিয়ে ফেলা উচিত। স্ত্রীদের পক্ষ থেকে স্বামীর অবাধ্যতা বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের ঝামেলা হলে সংশোধনের জন্য চারটি ধাপ রয়েছে। কোনটিতেই কাজ না হলে পঞ্চম ধাপে বিবাহ-বিচ্ছেদ বা তালাকের প্রসঙ্গ আসে। সেটি ঘৃণিত কাজ। আন্তরিক হলে প্রথম চারটি ধাপেই সমাধান হয়ে যাবে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর