লজ্জার সঙ্গে ঈমানের সম্পর্ক

ধর্ম-জীবন

ইতিহাসে মুসলিম ও অমুসলিম সম্পর্ক

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২২:৩৩

ড. ইকবাল কবীর মোহন

ধর্মবিশ্বাসের কারণে ইসলামে কাউকে নিপীড়ন করার ইতিহাস নেই। বরং সব ধর্মের লোকদের ইসলামী রাষ্ট্রে নিরাপত্তার গ্যারাণ্টি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহর নবী (সা) মদিনায় যে রাষ্ট্র কায়েম করেছিলেন সেখানে সব সংখ্যালঘুর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল। সংখ্যলঘু ও অমুসলিমদের অধিকার সম্পর্কে আল্লাহ তাআলানিজেই বলেছেন : দ্বিনের ব্যাপারে যারা (অমুসলিম) তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদের নিজ দেশ থেকে বহিষ্কার করেনি, তাদের (অমুসলিম) প্রতি মহানবুভবতা প্রদর্শন এবং ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ নিষেধ করেননি। (সুরা মুমতাহিনা, আয়াত : ৮) অমুসলিমদের ব্যাপারে মহানবী (সা.)-এর বাণীগুলোর প্রতি চোখ বুলালে আমরা এক অসাধারণ চিত্র দেখতে পাই। মহানবী (সা) বলেছেন : যে ব্যক্তি নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত কোনো লোককে হত্যা করে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৯১৪) ইসলামের...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

ইসলামী বিধানের স্তর নির্ধারক কিছু পরিভাষা

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২২:২৫

ফরজ: যা অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত এবং যা আল্লাহর পক্ষ থেকে সুনিশ্চিতরূপে করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে ফরজ বলা হয়। যেমনকালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, জিহাদ, ইলমে দ্বিন শিক্ষা করা, সত্য কথা বলা ইত্যাদি। ফরজ দুই প্রকার১. ফরজে আইন : যে কাজ প্রত্যেক বালেগ বুদ্ধিমান নর-নারীর ওপর সমানভাবে ফরজ। যেমন পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ, আবশ্যক পরিমাণ ইলমে দ্বিন শিক্ষা করা ইত্যাদি। ২. ফরজে কেফায়া : যে কাজ কিছু মানুষ পালন করলে সবাই গোনাহ থেকে বেঁচে যায়; কিন্তু কেউ পালন না করলে সবাই ফরজ তরকের জন্য পাপী হয়ে যায়। যেমনজানাজার নামাজ পড়া, মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফন করা, আবশ্যক পরিমাণ অপেক্ষা অতিরিক্ত ইলমে দ্বিন শিক্ষা করা ইত্যাদি। ওয়াজিব : ওয়াজিব কাজ ফরজের মতো অবশ্য করণীয়। তবে পার্থক্য এতটুকু যে কেউ ফরজ অস্বীকার করলে কাফের হয়ে যায়, কিন্তু ওয়াজিব অস্বীকার করলে কাফের হয় না, তবে ফাসেক হয়ে...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

অপরাধ দমনে কঠোরতার বিকল্প নেই

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২২:১২

মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ

শান্তির সমাজ বিনির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেই অপরাধ দমনে ইসলামের অবস্থান কঠোরতম : আল্লাহর বিধান কার্যকরকরণে তাদের প্রতি দয়া যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে, তোমরা যদি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাসী হও। (সুরা নুর, আয়াত : ০২) খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামালে, হত্যাকাণ্ডের অপরাধে বেদুইন যুবকের মৃত্যুদণ্ড হয়। যুবক জামিন প্রার্থনা করে। জামিনদার হলেন সাহাবি আবুজর গিফারি (রা.)। শর্ত হলো, যুবক না ফিরলে মৃত্যুদণ্ড হবে সাহাবির! ঘটনাক্রমে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা। মদিনায় থমথমে অবস্থা। নিষ্পাপ সাহাবি বিনা দোষে দণ্ডিত হবেন! জল্লাদ প্রস্তুত! যুবকের ফিরে আসা দেখে; সবাই হতবাক! খলিফা বলেন, তুমি জানো তোমার মৃত্যুদণ্ড; তারপরও ফিরে এলে? যুবক বলল, আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলমান সাহায্য করতে গিয়ে নিজেই বিপদে পড়ল...! এটাই ইসলামের শ্বাশত সাধুতা।...

বাকি অংশ পড়ুন

ধর্ম-জীবন

মোঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২২:০৯

মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম

মোঘল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ — প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ

বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা থেকে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে খন্দকার টোলা এলাকায় অবস্থিত প্রাচীন খেরুয়া মসজিদ। মসজিদটিতে মোঘল ও সুলতানি আমলের ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠে। বগুড়া বাংলার উত্তর দিকে অবস্থিত হওয়ায় এর গুরুত্ব শের শাহ (শাসনকাল : ১৫৪০-১৫৪৫, প্রকৃত নাম ফরিদ) অনুধাবন করতে পারেন। এটিকে তিনি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। ধারণা করা হয়, শহরটি তিনি তাঁর নামানুসারে করতে চেয়েছিলেন; কিন্তু তিনি তার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। সম্রাট আকবর যখন বাংলায় তাঁর ক্ষমতা সুসংহত করতে শুরু করেন, তখন বাংলার বারো ভূঁইয়ারা এবং মোঘল বিদ্রোহীরা শেরপুরকে তাঁদের আশ্রয়স্থল হিসেবে খুঁজে পায়। এই সময়ে তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের উদ্দেশ্যে খেরুয়া মসজিদ গড়ে উঠে। মসজিদের ওপরে কুলুঙ্গতে খোদাইকৃত শিলালিপি থেকে জানা যায়, ১৫৮২ সালের ২০...

বাকি অংশ পড়ুন

সর্বশেষ