খোলাফায়ে রাশেদিনের শেষ সময় থেকে মুসলিম বিশ্বে বিভিন্ন শ্রেণির বিভ্রান্ত দলের উদ্ভব হয়। তাদের বিভ্রান্তিকর কর্মকাণ্ডের ফলে ঈমানহারা হয়েছে বহু মানুষ। রাসুলুল্লাহ (সা.) ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টির ব্যাপারে বলেন, পরবর্তী প্রত্যেক প্রজন্ম থেকে এই জ্ঞান এমন ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিরা বহন করবে যারা তাকে রক্ষা করবে প্রানি্তক চিন্তাধারীদের বিকৃতি থেকে, পথভ্রষ্টদের জালিয়াতি ও মূর্খদের ব্যাখ্যা থেকে। (মুসনাদে আহমদ) বিভ্রান্তির চার কারণ উল্লিখিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছেন যার মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রানি্ত ও বিকৃতি তৈরি হয়। ১. প্রান্তিকতা : ধর্মীয় বিষয়ে প্রান্তিকতা হলো কোনো বিষয়ে অতি শিথিলতা বা অতি কঠোরতা। উভয় শ্রেণি ইসলামী বিধি-বিধানের ব্যাপারে ভারসাম্য রক্ষা করে না। ইসলাম বিশ্বাস, ইবাদত ও মতাদর্শসহ সব বিষয়ে সব ধরনের...
ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কারণ ও প্রতিকার
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
কাউকে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি
উম্মে আহমাদ ফারজানা
অপবাদ দেওয়া ব্যক্তিগত শত্রুতা ও বিদ্বেষ থেকে হয়ে থাকে। অপবাদের মাধ্যমে সাময়িক নির্দোষ ব্যক্তির চরিত্রে কালিমা লেপন করা হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে এর পরিণতি ভয়াবহ। সৎ-চরিত্রবান নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া সবচেয়ে বড় অপরাধ। মহান আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই যারা সৎ-চরিত্রবান সরলমনা মুমিন নারীদের ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত এবং তাদের জন্য (আখিরাতে) আছে মহাশাস্তি। (সুরা নুর, আয়াত : ২৩) যারা কোনো সৎ ও নির্দোষ নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দেয় তাদের অবশ্যই চারজন সাক্ষীর মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে হবে। চারজন সাক্ষীর মাধ্যমে তা প্রমাণ করতে না পারলে প্রত্যেককে ৮০ করে বেত্রাঘাত করা হবে, কারো ব্যাপারে তাদের সাক্ষ্য আর কখনো গ্রহণ করা হবে না এবং তখন থেকে তাদের পরিচয় হবে ফাসিক। মহান আল্লাহ বলেন, যারা সৎ নারীকে ব্যভিচারের অপবাদ দিল, অথচ চারজন সাক্ষীর...
কোরআন তেলাওয়াত বিষণ্নতা দূর করে
আহমাদ আরিফুল ইসলাম
ডিপ্রেশন মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্লান্তিকর এবং নিঃশেষকারী হতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন এ ধরনের মানসিক অশান্তির মুখোমুখি হই, তাদের জন্য আশা আছে। ইসলাম মুমিনদের ডিপ্রেশন মোকাবিলা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় হাতিয়ার দিয়েছে, যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হলো পবিত্র কোরআন। মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সাথে একটি দৃঢ় এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক মানসিক সুস্থতার দিকে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে আল্লাহর প্রতি অপরিসীম বিশ্বাসের ভিত্তিতে; তার পরিকল্পনা এবং ইচ্ছার ওপর। আল্লাহ তার বিশ্বাসীদের কখনো ত্যাগ করেন না এবং যদি বিশ্বাসী আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) প্রতি পরম বিশ্বাস রাখেন, তবে আল্লাহ তার জন্য যথষ্টে। যদি আপনি নিজেকে ডিপ্রেশনে ডুবে যেতে দেখেন, তবে কোরআন বেশি বেশি...
বিশ্বে বাংলাদেশের হাফেজদের এক অবিস্মরণীয় বছর
অনলাইন ডেস্ক
২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের হাফেজদের জন্য এক অবিস্মরণীয় বছর। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজরা কোরআনের প্রতি তাদের অঙ্গীকার, গভীর জ্ঞান এবং প্রতিভার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মক্কা থেকে কায়রো, তুরস্ক থেকে ইরান ও সেনেগালপ্রতিটি প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ এবং বিজয় বাংলাদেশের গৌরবকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। এই বছর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছয়জন বাংলাদেশি হাফেজ শীর্ষ স্থান অর্জন করে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দেশের মর্যাদা। আসুন, জেনে নিই তাদের অনন্য সাফল্যের গল্প। তুরস্কে শীর্ষে মুয়াজ মাহমুদ তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ প্রথম স্থান অধিকার করেন। রাজধানীর মিরপুর-১ এর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি মাদ্রাসার এই শিক্ষার্থী ৩০ অক্টোবর তুরস্কের...