কোরআনের অসংখ্য মুজিজার মধ্যে অন্যতম একটি বিস্ময় লুকিয়ে রয়েছে দুটি শব্দের শিল্পসম্মত ব্যবহারে: নাসাবা (স্থাপন করা) এবং আলক্বা (নিক্ষেপ করা)। যদিও এই দুটি শব্দ একসূত্রে গাঁথা, তবে তাদের অর্থ ও প্রয়োগের মাঝে সূক্ষ্ম পার্থক্য এক অনন্য সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এই শব্দ দুটি বিশেষভাবে ব্যবহূত হয়েছে পাহাড়ের সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনের জন্য। কোরআনে বলা হয়েছে : আর পাহাড়ের দিকে তাকাও, কিভাবে সেগুলো স্থাপন করা হয়েছে। (সুরা আল-গাশিয়া, আয়াত : ১৯) অন্য আরেক জায়গায় এসেছে : তিনি পৃথিবীতে সুদৃঢ় পাহাড় স্থাপন করেছেন, যাতে পৃথিবী তোমাদের নিয়ে নড়ে না যায়। (সুরা আন-নাহল, আয়াত : ১৫) কোরআনের শব্দসমূহের গভীরতা ও আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে তার তুলনা করলে বোঝা যায়, প্রতিটি শব্দ কতটা পরিপূর্ণ অর্থবোধক ও প্রাসঙ্গিক। ভূতত্ত্বের আলোকে, পাহাড়সমূহ গঠন প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে তিনটি শ্রেণিতে...
কোরআন ও বিজ্ঞানের বয়ানে পাহাড়ের গঠনশৈলী
আসআদ শাহীন
![কোরআন ও বিজ্ঞানের বয়ানে পাহাড়ের গঠনশৈলী](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/05/1738698818-7f0e2f7c91b4cfb8f1cd20b5153dab97.jpg?w=1920&q=100)
অসৎ সঙ্গ থেকে বাঁচার উপায়
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
![অসৎ সঙ্গ থেকে বাঁচার উপায়](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/05/1738698606-a71a952f36eaf19a42e3bcf4a1fa1f02.jpg?w=1920&q=100)
সুপথ গ্রহণে অসৎ সঙ্গ একটি বাঁধা। অসৎ মানুষ তাদের সঙ্গীকে সৎ হওয়ার সুযোগ দিতে চায় না। সঙ্গীদের কেউ সুপথে চলতে চাইলে অসৎ মানুষ নানাভাবে প্রতি বন্ধকতা তৈরি করে। যেমন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা, অতীত পাপের কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া, আল্লাহর ক্ষমা লাভের ব্যাপারে হতাশ করা, পার্থিব সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো ইত্যাদি। যারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন তাদের প্রতি পরামর্শ হলো আপনি আপনার ইচ্ছার ওপর অটল থাকুন, ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। অচিরেই আল্লাহ আপনার জন্য রাস্তা খুলে দেবেন। মহান আল্লাহ বলেন, অতঃপর তুমি কোনো সংকল্প করলে আল্লাহর ওপর নির্ভর করবে। যারা নির্ভর করে আল্লাহ তাদেরকে ভালোবাসেন। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১৫৯) অন্য আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, যারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত...
বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনতা ও সফরের বিধান
উম্মে আহমাদ ফারজানা
![বেগানা নারীর সঙ্গে নির্জনতা ও সফরের বিধান](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/05/1738698128-6191b1e31932e3ad1e0f4d4eea9276be.jpg?w=1920&q=100)
সমাজের পর্দাহীনতার সয়লাবের একটি উপমা হলো গায়র মাহরাম তথা বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হওয়া। ইসলাম একে হারাম ঘোষণা করেছে। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যাদের স্বামী উপস্থিত নেই, সেসব নারীদের কাছে তোমরা যেয়ো না। কেননা তোমাদের সবার মাঝেই শয়তান (প্রবাহিত) রক্তের শিরায় বিচরণ করে। আমরা বললাম, আপনার মধ্যেও কি? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমার মধ্যেও। কিন্তু আমাকে আল্লাহ তাআলা সাহায্য করেছেন, তাই আমি নিরাপদ। (তিরমিজি, হাদিস : ১১৭২) রাসুলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন কখনো কোনো নারীর সঙ্গে নির্জনে সাক্ষাৎ না করে যতক্ষণ না ওই মেয়ের কোনো মাহরাম তার সাথে থাকে। কারণ সে সময় তৃতীয় জন থাকে শয়তান। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৬৫) বর্তমানে নারী-পুরুষের নির্জনতাকে অনেকে পাপই মনে করে না। দেবর-ভাবী, শালী-দুলাভাই,...
হাদিসে বিভিন্ন অর্থে দ্বীন শব্দের ব্যবহার
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
![হাদিসে বিভিন্ন অর্থে দ্বীন শব্দের ব্যবহার](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/05/1738697285-356af004b52bc32783a89ba7e6ce93dd.jpg?w=1920&q=100)
দ্বীন ইসলামে বহুল ব্যবহূত একটি শব্দ। পবিত্র কোরআনে একাধিক অর্থে এই শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। পাশাপাশি হাদিসেও বিভিন্ন অর্থে দ্বীন শব্দটির ব্যবহার দেখা যায়। এখানে ১০টি অর্থে দ্বীন শব্দের ব্যবহার দেখানো হলো এক : বাধ্য, পরাভূত ও কর্তৃত্ব : যেমন রাসুল (সা.)-এর বাণী : বুদ্ধিমান সে ব্যক্তি, যে তার নফসকে পরাভূত বা বাধ্য করেছে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করেছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৯) দুই : বিচার করা ও মীমাংসা করা : যেমন জনৈক ব্যক্তিকে আলী (রা.) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, নবী করিম (সা.)-এর পর তিনি এ উম্মতের সবচেয়ে বড় বিচারক ছিলেন। (লিসানুল আরব, ১৩ম খণ্ড, পৃ. ১৬৯) তিন : দাসত্ব করা, কারো বশীভূত হওয়া এবং কারো নির্দেশাধীন হওয়া : যেমন রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি কুরাইশকে এমন এক বাক্যের অনুবর্তী করতে চাই, তারা তা স্বীকার করে নিলে সমগ্র আরব তাদের বশীভূত হবে এবং অনারবরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত