ইমাম আবু হানিফা ফিকাহ শাস্ত্রের উন্নয়ন ও এটাকে সার্বজনীন করার জন্য একটি ছাত্র সমিতি গঠন করেন। মোট ৪০ জন মেধাবী ছাত্র মূল সমিতির সদস্য ছিলেন। এই সভায় কোনো একটি বিষয়কে আলোচনার জন্য দেওয়া হতো। আলোচিত হওয়ার পর গৃহীত সিদ্ধান্ত লিখা হতো। এভাবে হানাফি ফিকাহ প্রতিষ্ঠিত হয়। হানাফি ফিকাহ অল্পদিনের মধ্যে বিস্তার লাভ করে। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ইন্তেকালের পর আব্বাসীয় শাসক হারুন আল রশিদ হানাফি ফিকাহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করেন। পরবর্তীকালে সেলজুক, গজনভি, মিসরের আইয়ুবি, মামলুক শাসক এবং উপমহাদেশের স্বাধীন মুসলমান ও মোগল শাসকরা হানাফি ফিকাহ মোতাবিক শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনা করতেন। বর্তমান বিশ্বের মুসলিম জনগণের প্রায় অর্ধাংশ হানাফি ফিকাহর অনুসারী। তুরস্ক, পূর্ব ইউরোপীয় দেশ, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক, মিসর, মধ্য এশিয়া, আফগানিস্তান, বার্মা প্রভৃতি...
হানাফি মাজহাব ও ইমাম আবু হানিফা (রহ.)
মো. রাকিবুল ইসলাম

কোরআনে বর্ণিত আর রাস-এর অধিবাসী যারা
আবরার আবদুল্লাহ

পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলোর একটি আসহাবুর রাস। আল্লাহর অবাধ্য হওয়ার কারণে আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। মহান আল্লাহ বলেন, আমি ধ্বংস করেছিলাম আদ, সামুদ ও রাস-এর অধিবাসীকে এবং তাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কেও। আমি তাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলাম, আর তাদের সবাইকেই আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিলাম। (সুরা ফোরকান, আয়াত : ৩৮-৩৯) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, তাদের আগেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নুহের সম্প্রদায়, রাস্স ও সামুদ সম্প্রদায়, আদ ফিরাউন ও লুত সম্প্রদায় এবং আয়কার অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায়; তারা সবাই রাসুলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, ফলে তাদের ওপর আমার শাস্তি আপতিত হয়েছে। (সুরা কাফ, আয়াত : ১২-১৪) আসহাবুর রাসেসর পরিচয় পবিত্র কোরআনে রাসেসর অধিবাসীদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই বর্ণনা করা হয়নি। শুধু এতটুকু বলা...
মুমিনের জীবনে ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনির তাৎপর্য
শায়খ আলী তানতাবি (রহ.)

আমার ইচ্ছা হয় ধর্ম মন্ত্রণালয় একজন জাগ্রত হৃদয় ও সুললীত কণ্ঠের অধিকারী মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেবে এবং দামেশকের চারদিকে এমন লাউডস্পিকার লাগাবে যাতে আজানের শব্দ দূর-দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যেন শহরের সব পাড়া-মহল্লা একত্রে জেগে ওঠে। আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মানুষের বোধ ও সুমতি ফিরে আসে। আল্লাহু আকবার এমন সুমধুর তারানা (ধর্মীয় সংগীত) যার সমতুল্য কোনো তারানা আসমান থেকে জমিনে আসেনি এবং জমিনবাসী অনুরূপ কোনো সমধুর শব্দগুচ্ছ শোনেনি। আল্লাহু আকবার সৈনিকদের বজ্রধ্বনি এবং সুফিদের আত্মার খোরাক ও পবিত্র সুধা। আল্লাহু আকবার সত্যের এমন অনিন্দ্য ধ্বনি যা মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনোত্সর্গকারী সাহাবিরা সর্বত্র উচ্চারণ করেছেন। চাই তারা সমুদ্রের গভীরে থাকুক, অন্ধকার গুহায় থাকুক অথবা তারা সু-উচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় থাকুক। তারা যে কোনো ভয়কে জয় ও অসাধ্যকে সাধন করতে আল্লাহু...
মহানবী (সা.)-এর সময়ে ভূমিব্যবস্থা
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

মহানবী (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন তখন তিনি ইহুদিদের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি সমপাদন করেন। এসবের অন্যতম হলো, কেউ কারো বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্য করবে না; বরং তিনি কোনো শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে তারা তাঁকেই সাহায্য করবে। ভূমিব্যবস্থা নিয়েও সেই সময়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ দেখা যায়। হিজরতের পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে মদিনা এবং এর আশেপাশের সব জমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অধীনে চলে আসে। নিম্নে মহানবী (সা.)-এর সময়ে ভূমিব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হলো বনু কায়নুকার ভূসমপত্তি : মহানবী (সা.) যখন মদিনায় হিজরত করেন তখন বনু কায়নুকা, বনু নজির ও বনি কুরায়জা নামে তিন সমপ্রদায়ের ইহুদি মদিনায় বসবাস করত। তারা সবাই মদিনা সনদে স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তারা সনদের শর্ত ভঙ্গ করে মহানবী (সা.) ও মুসলিমদের সর্বনাশের জন্য মক্কার কাফেরদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এছাড়াও তাদের সুদভিত্তিক...