পৃথিবী জুড়েই কমে শিশুর জন্মহার। শিশুর ক্রমহ্রাসমান জন্মহার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিশুর জন্মহার কমে যাওয়ার পেছনে যেসব কারণ বিজ্ঞানীরা চিহ্নিত করেছেন তার মধ্যে সামাজিক বন্ধ্যাত্ব অন্যতম। সামাজিক বন্ধ্যাত্ব হলো এমন কিছু সামাজিক কারণ যা শারীরিক সক্ষমতা থাকার পরও নারী-পুরুষকে সন্তান গ্রহণে অনাগ্রহী করে তোলে। নিম্নে কোরআন-হাদিসের আলোকে এমন কিছু কারণের প্রতিকার তুলে ধরা হলো। সামাজিক বন্ধ্যাত্বের কারণ ও প্রতিকার সমাজ ও প্রজনন বিজ্ঞানীরা সামাজিক বন্ধ্যাত্বের পেছনে যেসব কারণ তুলে ধরেছেন তার কয়েকটি হলো ১. আর্থিক অক্ষমতা: পারিবারিক আয়ের পরিমাণ কম হওয়ায় বর্তমানে বহু মানুষ সন্তান গ্রহণে অনাগ্রহী হয়। ইসলাম মানুষের এমন চিন্তাকে প্রত্যাখ্যান করে। কোরআনের নির্দেশ হলো আর্থিক অসচ্ছলতা বা দারিদ্র্যের ভয়ে ভ্রুণ হত্যা...
সামাজিক বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে ইসলামের নির্দেশনা
মুফতি আতাউর রহমান
পাপ থেকে বেঁচে থাকতে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে
আহমাদ মুহাম্মাদ
পাপ থেকে বেঁচে থাকা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। তাই এই কষ্টসাধ্য বিষয়ের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশা নিয়ে চেষ্টা করলে সফলতা অনিবার্য। তবে এজন্য কষ্ট করতে হবে এবং গোনাহ পরিত্যাগের ব্যাপারে আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে আল্লাহর সাহায্যও মিলবে। আল্লাহ বলেন, আর যারা আমাদের রাস্তায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়, আমরা অবশ্যই তাদের আমাদের রাস্তা সমূহের দিকে পরিচালিত করব। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্কর্মশীলদের সাথে থাকেন। (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬৯) সুতরাং কুপ্রবৃত্তি যাতে গোনাহে লিপ্ত করাতে না পারে সেজন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীরা! তোমরা ধৈর্যধারণ কর ও ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং সদা প্রস্তুত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ২০০) পাপ বর্জনে ধৈর্যের সাথে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে...
একজন জান্নাতি সাহাবির ব্যাপারে অপবাদ ও তার পরিণতি
হেদায়াতুল্লাহ বিন হাবিব
প্রখ্যাত সাহাবি সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)। মহানবী (সা.)-এর খুবই প্রিয় একজন সাহাবি। তাঁর সবচেয়ে মর্যাদার বিষয় তিনি আশারায়ে মুবাশশারা তথা দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জন সাহাবির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইসলামের শুরু যুগে ১৭ বছর বয়সে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। কেউ কেউ তাঁকে ইসলামের ১৭ তম ব্যক্তি হিসেবেও অভিহিত করেন। ৬৪৬ ও ৬৫১ হিজরি সালে তাকে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে চীনে পাঠানো হয়। ধারণা করা হয়নৌ রুটে চীন যাওয়ার পথে তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে থেমেছিলেন। এসময় বাংলা অঞ্চলকে ইসলামের সাথে পরিচয় করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকাও রেখেছিলেন। প্রবল ধারণামতে, তিনি ৬৪৮ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের লালমনিরহাটে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেলেন, যা স্থানীয়ভাবে আবু আক্কাস মসজিদ নামে পরিচিত। চীনা মুসলিমদের মতে, চীনের ক্যান্টন বন্দরে তাঁর কবর। তবে আরবদের মতে তাঁর কবর আরবেই...
মুমিনের অনুভূতিতে শীতকাল
আসআদ শাহীন
এই বিশাল সৃষ্টিজগতের অস্তিত্ব এবং এর অন্তর্গত পরিবর্তনশীল দৃশ্যপটমেঘের গর্জন ও বৃষ্টির ঝরঝর, ঝড়ের তাণ্ডব, কোথাও তীব্র রৌদ্রের দহন আবার কখনো সেই রৌদ্রের মাঝেই বৃষ্টির নরম ছোঁয়া, নদীর শুকিয়ে যাওয়া, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, দিন-রাতের লুকোচুরি, মাস-বছরের ক্রমবিন্যাস ও এর পরিবর্তমান প্রভাবসবকিছুই আল্লাহ তাআলার অস্তিত্বের জ্বলন্ত প্রমাণ। এই জগত্ তাঁর আদেশের দাস, আর প্রতিটি সৃষ্টিই তাঁর সিদ্ধান্তে অবিচলভাবে কার্যকর। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন : আমি সব কিছু সৃষ্টি করেছি নির্ধারিত পরিমাপে। (সুরা আল কামার, আয়াত : ৪৯) ঋতুর পরিবর্তন আল্লাহ তাআলার অপার মহিমা ও অসীম ক্ষমতার নিদর্শন। কখনো তপ্ত গ্রীষ্ম, যার দাহক লু যেন জ্বলন্ত শিখার মতো, যা বরফ পর্যন্ত গলিয়ে দেয়; আবার কখনো হিমশীতল শীত, যা প্রবাহিত জলকেও কঠিন বরফে রূপান্তরিত করে। কখনো প্রকৃতি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর