ইসলামের দৃষ্টিতে গণক বা জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে ভাগ্য নির্ণয় করা, তাদের হাত দেখানো, তাদের থেকে ভবিষ্যতের বিপদাপদ কিংবা সফলতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নিষিদ্ধ। কারণ, ভবিষ্যতের খবর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। অন্য কারো পক্ষে তা জানা সম্ভবও না। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহর কাছেই কিয়ামতের জ্ঞান আছে। তিনিই বৃষ্টিবর্ষণ করেন। গর্ভাশয়ে যা থাকে, তা তিনি জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত। (সুরা লুকমান, আয়াত : ৩৪) ভবিষ্যৎ অদৃশ্য। অদৃশ্যের খবর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, বলুন (হে নবী), আকাশ ও পৃথিবীতে আল্লাহ ছাড়া কেউ অদৃশ্যের খবর জানে না। তারা জানে না যে তারা কখন পুনরুজ্জীবিত হবে। (সুরা নামল, আয়াত : ৬৫) অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, তাঁর...
জ্যোতিষীকে হাত দেখানো নিয়ে ইসলাম কী বলে?
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
মানবকল্যাণে ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
প্রভুত্ব, প্রতিপালন ও ইবাদতের ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ্ অনন্য ও একচ্ছত্র। সুরা নাসে অত্যন্ত সুন্দর, সাবলীল ও সংক্ষিপ্তভাবে প্রসঙ্গটি ফুটে ওঠেছে রাব্বিন নাস (মানুষের পালনকর্তা), মালিকিন নাস (মানুষের অধিপতি), ইলাহিন্ নাস (মানুষের মাবুদ)। এ জন্যই ইসলাম মানবকল্যাণ, বিশ্বশান্তির সব তত্ত্ব ও পদক্ষেপকে কোরআন সুন্নাহের মানদণ্ডে মূল্যায়ন ও অনুমোদন দেয় অথবা নিষিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যান করে। এ দৃষ্টিভঙ্গিতেই ইসলামে বৃহত্তর মানবিক বিষয় ও তত্ত্ব ব্যাখ্যার অবকাশ রয়েছে। যেমন : দারিদ্র্য বিমোচন বৈষম্যমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম সুদবিহীন ও যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতির দিক নির্দেশনা দেয়। অন্যদিকে বৈরী পরিবেশ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব মানুষের কাম্যস্থিতি ও উন্নয়নের পথে অন্যতম অন্তরায়। যাকাত ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো, সমাজের অনগ্রসর মানুষের সামর্থ্যকে take off level এ পৌছে দেওয়া,...
ঈমান গ্রহণে অগ্রগামী বরকতময় কাফেলা
আলেমা হাবিবা আক্তার
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ সেসব সাহাবির প্রশংসা করেছেন যারা ঈমান গ্রহণে অগ্রগামী ছিলেন। ইরশাদ হয়েছে, মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি প্রসন্ন এবং তারা তাতে সন্তুষ্ট এবং তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এটা মহাসাফল্য। (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০০) সিরাত গবেষক ও ঐতিহাসিকরা মোটামুটি একমত যে সর্বপ্রথম ঈমান গ্রহণকারী ব্যক্তিরা ছিলেন মহানবী (সা.)-এর পরিবার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিরা। আর এটা খুবই স্বাভাবিক যে, যাঁরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ছিলেন তিনি সর্বপ্রথম তাঁদের কাছেই ইসলামের দাওয়াত পেশ করেছিলেন। এ দলের মধ্যে ছিলেন পরিবারের লোকজন, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধব। কোনো...
নম্রতা ও কোমলতা আল্লাহর বিশেষ রহমত
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
কোমলতা ও নম্রতা মানবচরিত্রের অন্যতম সুন্দর ও মহত্ গুণ। এ দুটি গুণ মানুষকে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করে। কোমলতা ও নম্রতার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ইসলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে কল্যাণ থেকেও বঞ্চিত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৯২) সাহাবায়ে কেরাম পারস্পরিক সহানুভূতিশীল ছিলেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তাদের এ গুণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তাঁর সঙ্গে যারা আছে তারা কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। (সুরা ফাতহ, আয়াত : ২৯) কোমলতা ও নম্রতা আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় গুণ। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ কোমল ও নম্র। তিনি কোমলতা ও নম্রতা পছন্দ করেন। আর তিনি নম্রতার কারণে যা দান করেন, তা কঠোরতা কিংবা অন্যকোনো কারণে দান করেন না। (সহিহ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর