আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ১৯৭১ সালের যে উদ্দেশ্যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়া, তা একটি দলের ব্যর্থতার জন্য ব্যর্থ হয়েছে বলে এ সময় মন্তব্য করেন আইন উপদেষ্টা। আসিফ নজরুল বলেন, দেশের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযোদ্ধরা। তারই ধারাবাহিকতায় জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেখেছি ছাত্ররা জীবনের মায়া ত্যাগ করে লড়াই করেছে গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অধিকার ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে এই শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এসে তাদের কথা মনে...
দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না: আসিফ নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা। স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এ সময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল। শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাণী দেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭১ সালের ১৪...
বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ ও পথ অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ এবং বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়তে পারলেই তাঁদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সহযোগিতায় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণিজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। রাষ্ট্রপতি জাতির সূর্যসন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং তাঁদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে বলেন, আমি শহীদ পরিবারের শোকসন্তপ্ত...
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে মধ্যরাতে রায়ের বাজারে ভিড়
আজ সেই ১৪ ডিসেম্বর! শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস! ১৯৭১ সালের ঠিক এই দিনে বাঙালি জাতির সূর্য সন্তানদের দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা মিলে হত্যা করে। জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণে মধ্যরাতে রাজধানীর রায়েরবাজারে মোমবাতি প্রজ্বলনের পাশাপাশি পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শনিবার রাত ১২টায় জীতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে এখানে তীব্র জনসমাগমের সৃষ্টি হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তগঙ্গা পেরিয়ে গোটা জাতি যখন উদয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখন বরেণ্য শিক্ষক, বিজ্ঞানী, চিন্তক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বাংলাপিডিয়ার তথ্য বলছে, একাত্তরের ২৫ মার্চ থেকে ১৪...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর