আসআদ ইবনে জুরারাহ (রা.) নবুয়তের একাদশ বছর (প্রথম বাইআতের এক বছর আগে) মিনার আকাবায় খাজরাজের কয়েকজন মানুষকে নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। (উসদুল গাবাহ ১/৮৬) ইসলাম গ্রহণের পর তিনি পরবর্তী দুই বছরে মিনার আকাবায় অনুষ্ঠিত প্রথম ও দ্বিতীয় বাইআতে শরিক থাকেন। দ্বিতীয় (শেষ) বাইআতে সর্বপ্রথম তিনিই রাসুল (সা.)-এর হাতে হাত রাখেন। ওই বাইআতে রাসুল (সা.) তাঁকে তাঁর গোত্র বনু নাজ্জারের নাকিব (জিম্মাদার) নিযুক্ত করেন। তার পাশাপাশি অন্যান্য গোত্রের ১২ নাকিবের প্রধান (নাকিবুন নুকাবা)ও ঘোষণা করেন। তাঁর ইন্তেকালের পর রাসুল (সা.) বনু নাজ্জার গোত্রের লোকজন নতুন নাকিব চাইলে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, আমিই তোমাদের নাকিব। (সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩/১৮৬) প্রথম বাইআতে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মদিনায় প্রেরিত রাসুল (সা.)-এর বিশেষ প্রতিনিধি ও দাঈ মুসআব ইবনে উমাইর (রা.) তাঁরই মেহমান হন এবং তাঁর সার্বিক...
মদিনায় সর্বপ্রথম জুমার খতিব নিযুক্ত হয়েছেন যে সাহাবি
আহমাদ রাইদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
‘হুজুর’ শব্দের অর্থ ও ব্যবহার
মাইমুনা আক্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমাদের দেশে সাধারণত আলেম-ওলামাদের সম্মান করে হুজুর বলে সম্বোধন করা হয়। তবে বেশির ভাগ মানুষই হুজুর শব্দের সঠিক অর্থ জানে না। এর ফলে আবার এই শব্দ নিয়ে ভুল ধারণাও ছড়ানো হয়। কিছু মানুষ মনে করে, হুজুর শব্দটি শুধু আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-এর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অন্য কারো ক্ষেত্রে এই শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। এই ধারণা থেকে তারা বলে, হুজুর একজন! ফলে তারা কোনো আলেমকে হুজুর বলে সম্বোধন করাকে সমর্থন করে না।মূলত হুজুর শব্দের অর্থ হলো, উপস্থিতি, জনাব ইত্যাদি । (ফরহাঙ্গে জাদিদ, পৃ: ৩৭৯) মানুষকে সম্মান করে যেমন স্যার সম্বোধন করা হয়। তেমনি আলেমদের ক্ষেত্রে হুজুর শব্দ ব্যবহার করে। দুটো শব্দের অর্থ একই। তাই আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) ছাড়া আর কাউকে হুজুর বলা যাবে না এ ধারণাটি ভুল। এর পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। (জামিউল ফাতাওয়া : ১/৫৪৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১২/১৭১) অনেক...
সন্তানের ধর্মীয় শিক্ষায় মা-বাবার করনীয়
মুফতি আব্দুল্লাহ আল ফুআদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বান্দার প্রতি আল্লাহর নেয়ামত ও অনুগ্রহের অন্যতম একটি বস্তু হলো সন্তান। আল্লাহর এই বিশেষ অনুগ্রহ কতটা অমূল্য ও কাঙ্খিত তা কেবল নিঃসন্তান দম্পতিরা অনুভব করতে পারে। সন্তান শুধু নেয়ামত নয় এটি আল্লাহ প্রদত্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত। সন্তান প্রতিপালনে আল্লাহর কোন হুকুম লংঘন করলে কিংবা সন্তানের ভরণপোষণসহ তার ঈমান ও ইসলাম শিক্ষার ব্যাপারে যত্নশীল না হলে এই আমানতের খেয়ানত হয়। মূলত এর মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাকে পরীক্ষা করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, তোমাদের সম্পদ ও তোমাদের সন্তান-সন্ততি তোমাদের জন্য এক পরীক্ষা। আর মহা পুরস্কার রয়েছে আল্লাহরই কাছে। (সুরা আনফাল, আয়াত : ২৮) এই আমানত ও দায়িত্ব যথাযথ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কারণ সন্তানের ঈমান-আকিদা, আমল-আখলাক ও জীবন যাপনের প্রতিটি বিচ্যুতির বিষয়ে প্রত্যেক মা-বাবাকে পরকালে...
নবীজির কাব্যযোদ্ধা হাসসান ইবনে সাবিত (রা.)
মাইমুনা আক্তার
মদিনার খাযরাজ গোত্রের বনু নাজ্জার শাখার সন্তান হাসসনা (রা.)। তিনি ছিলেন রাসুল (সা.)-এর বিশেষ কবি সাহাবি এবং মুসলিম-কবিদের প্রধান। কাব্যরচনার মাধ্যমে তিনি রাসুল (সা.) এর বিরুদ্ধে কাফিরদের রচিত কবিতার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতেন। (সিয়ারু আলামিন নুবালা : ২/৫১২৫১৩পৃ.)। বয়সের দিক থেকে হযরত হাসসান রাসুল (সা.) এর থেকে ৭/৮ বছর বড়। হযরত হাসসান (রা.)-এর একটি বর্ণনা দ্বারা তাই প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, আমার জন্মভূমি মদিনায়। তখন আমার বয়স ৭/৮ বছর। যা শুনি, তা বুঝি। হঠাৎ এক ইহুদিকে দেখলাম। সে মদিনার একটা টিলার উপর দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে ইহুদি লোকজনকে ডাক দিল। মুহূর্তের মধ্যে বেশ কিছু লোক জড়ো হলো। বলল, কী ব্যাপার, কী হয়েছে? সে বলল, আজ রাত আহমাদ নামের নক্ষত্রটি উদয় হয়েছে, যিনি শীঘ্রই নবী হয়ে আত্মপ্রকাশ করবেন। (তাহযীবুল কামাল : ৬/১৯, তাহযীবু তাহযীব : ২/২৪৮)। হাসসান (রা.) কোনো যুদ্ধে অংশগ্রহণ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর