২০২৪ সাল ছিল বাংলাদেশের হাফেজদের জন্য এক অবিস্মরণীয় বছর। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজরা কোরআনের প্রতি তাদের অঙ্গীকার, গভীর জ্ঞান এবং প্রতিভার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মক্কা থেকে কায়রো, তুরস্ক থেকে ইরান ও সেনেগালপ্রতিটি প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণ এবং বিজয় বাংলাদেশের গৌরবকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। এই বছর আন্তর্জাতিক মঞ্চে ছয়জন বাংলাদেশি হাফেজ শীর্ষ স্থান অর্জন করে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন দেশের মর্যাদা। আসুন, জেনে নিই তাদের অনন্য সাফল্যের গল্প। তুরস্কে শীর্ষে মুয়াজ মাহমুদ তুরস্কে অনুষ্ঠিত নবম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজ মাহমুদ প্রথম স্থান অধিকার করেন। রাজধানীর মিরপুর-১ এর মারকাযু ফয়জিল কোরআন আল ইসলামি মাদ্রাসার এই শিক্ষার্থী ৩০ অক্টোবর তুরস্কের...
বিশ্বে বাংলাদেশের হাফেজদের এক অবিস্মরণীয় বছর
অনলাইন ডেস্ক
সম্পদের সুরক্ষায় প্রয়োজনে লড়াই করা বৈধ
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
ইসলাম ইহকাল ও পরকালের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করেছে। একজন মুমিন শুধু পরকাল নিয়ে পড়ে থাকবে, ইসলাম এটা চায় না। ইসলাম চায় প্রয়োজন অনুসারে ইহকাল ধারণ করে মানুষ পরকালমুখী হোক। ইসলাম কখনো দুনিয়াদারি বাদ দিয়ে শুধু ধর্মকর্ম করার নির্দেশ দেয় না। সমাজে দুর্বল হয়ে কোনো মুসলমান বসবাস করবে, এটা ইসলাম পছন্দ করে না। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, দুর্বল মুমিনের চেয়ে সবল মুমিন শ্রেষ্ঠ এবং আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ আছে..। (মুসলিম, হাদিস : ২৬৬৪) তাই দুনিয়ায় এমনভাবে চলা যাবে না যে জালিম ও প্রভাবশালীরা তার সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। এজন্য নিজের অর্জিত সম্পদের সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক চষ্টো অব্যাহত রাখতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! যদি কেউ আমার সম্পদ ছিনিয়ে নিতে উদ্যত হয় তাহলে...
মুমিনের আত্মমর্যাদাবোধ
আহমাদ মুহাম্মাদ
গায়রত বা আত্মমর্যাদাবোধ মানুষের ব্যক্তিত্বের অন্যতম প্রধান দিক। ইসলাম মানুষকে আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন হতে বলে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মুমিন আত্মসম্মান বোধসম্পন্ন আর আল্লাহ তাদের চেয়ে বেশি আত্মমর্যাদা বোধসম্পন্ন। (মুসলিম, হাদিস : ২৭৬১) গুনাহ করতে করতে গুনাহগারের অন্তর থেকে ইসলামী চেতনায় লালিত আত্মসম্মানবোধ একেবারেই বিনষ্ট হয়ে যায়। যার ঈমান যতই মজবুত, তার এই আত্মমর্যাদাবোধ তত মজবুত। এর বিপরীতে যার ঈমান যত দুর্বল তার আত্মমর্যাদাবোধ তত দুর্বল। এ কারণেই তা পূর্ণাঙ্গরূপে পাওয়া যায় রাসুলদের মধ্যে। এরপর ঈমানের তারতম্য অনুযায়ী অন্যদের মধ্যেও। সাদ বিন উবাদা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি কাউকে আমার স্ত্রীর সঙ্গে ব্যভিচার করতে দেখলে তত্ক্ষণাত্ তার গর্দান উড়িয়ে দেব। এ উক্তি রাসুল (সা.)-এর কানে পেৌঁছতেই তিনি বলেন, তোমরা কি আশ্চর্য হয়েছ সাদের...
হালাল উপার্জন করেও যারা ক্ষতিগ্রস্ত
মুফতি ইবরাহিম সুলতান
সহিহ মুসলিমের এক দীর্ঘ বর্ণনায় নবী (সা.) মুসলমানদের অকল্যাণ ও ক্ষতিকর বস্তু থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) দাঁড়ালেন। অতঃপর লোকদের উদ্দেশে ভাষন দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল, আল্লাহর শপথ! তোমাদের ব্যাপারে আমার কোনো কিছুর আশঙ্কা নেই। তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য যে পার্থিব সেৌন্দর্য ও চাকচিক্যের ব্যবস্থা করে রেখেছেন এ সম্পর্কে তোমাদের ব্যাপারে আমার আশঙ্কা আছে। এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, কল্যাণের পরিণামে কি অকল্যাণও হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (সা.) কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি বলেছিলে? সে বলল, আমি বলেছিলাম, হে আল্লাহর রাসুল! কল্যাণের সঙ্গে কি অকল্যাণ আসবে? রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে লক্ষ্য করে বললেন, কল্যাণ তো অকল্যাণ বয়ে আনে না। তবে কথা হলো, বসন্তকালে যেসব তৃণলতা ও সবুজ ঘাস উত্পন্ন হয় এটা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর