বিবাহ ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান, যা শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং ব্যক্তি ও সমাজকে নৈতিক ও শারীরিকভাবে সুরক্ষা দেয়। এটি মানবজীবনের এমন একটি পবিত্র সম্পর্ক, যা ভালোবাসা, করুণা এবং দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিয়ের গুরুত্ব কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন : তাঁর (আল্লাহর) অন্যতম নিদর্শন হলো, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের মাধ্যমে শান্তি লাভ করো এবং তিনি তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও করুণা সৃষ্টি করেছেন। (সুরা রুম, আয়াত : ২১) বিবাহকে রাসুলুল্লাহ (সা.) দ্বিনের অর্ধেক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন : যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করে, তখন সে তার দ্বিনের অর্ধেক পূর্ণ করে। বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে। (মুসতাদরাক হাকিম : ২৬৮০) বিয়ের মাধ্যমে মানুষ পাপাচার থেকে...
বিবাহ চরিত্র রক্ষার রক্ষাকবচ
মো. যোবায়েরুল ইসলাম
আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাহসূফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (রহ.)
প্রফেসর সৈয়দ সফিউল গনি চৌধুরী
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আলমে আরওয়ায় (রুহানি জগতে) সমস্ত মানবাত্মাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আলাসতু বি রাব্বিকুম? অর্থাত্ আমি কি তোমাদের প্রভু নই? সকল মানবাত্মা সমন্বরে জবাব দিলকালুবালা অর্থাত্ হ্যাঁ, আপনিই আমাদের প্রভু। কিন্তু পৃথিবীতে আগমনের পর মানবজাতি আল্লাহর কাছে দেওয়া ওয়াদা ভুলে গিয়ে বিপদগামী হতে লাগল। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ বিপদগামী মানব জাতিকে সেরাতুল মোস্তাকিমের পথে পরিচালিত করার জন্য আদম (আ.) থেকে ঈসা (আ.) পর্যন্ত যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, এবং প্রত্যেক জাতির জন্য পথ প্রদর্শক পাঠিয়েছি। (সুরা : রাদ, আয়াত : ৭) অবশেষে আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-কে রাহমাতাল্লিল আলামিন হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেন। আল্লাহপাক তাঁকে দুটি অপুর্ব নেয়ামত নবুয়ত ও বেলায়ত প্রদানের...
আর্থিক সংকট থেকে বাঁচার উপায়
আলেমা হাবিবা আক্তার
মুমিন তার আর্থিক ভবিষ্যতরে ব্যাপারে উদাসীন হবে না, বরং সে মিতব্যয় ও মধ্যপন্থার সঙ্গে এমনভাবে জীবনযাপন করবে যেন ভবিষ্যতে তাকে সংকটে পড়তে না হয়। মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহকে ভয় কোরো; প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক আগামীকালের জন্য সে কী অগ্রিম পাঠিয়েছে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় কোরো। তোমরা যা কোরো আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত। (সুরা হাশর,আয়াত : ১৮) সাদ (রা.)-কে অসুস্থ অবস্থায় দেখতে যান মহানবী (সা.)। তখন তিনি তাঁকে বলেন, তোমার পরিবার-পরিজনকে যদি তুমি সম্পদশালী রেখে যাও অথবা বলেছেন স্বাচ্ছন্দ্যে রেখে যাও, তাহলে তা তাদের মানুষের কাছে হাতপাতা অবস্থায় রেখে যাওয়ার তুলনায় উত্তম। আর এ কথা বলতে বলতে তিনি নিজ হাত দিয়ে ইশারা করেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪১০৭) আর্থিক অনটনের ব্যাপারে সতর্কতা কাম্য মহানবী (সা.) ভবিষ্যত দারিদ্র্যের ব্যাপারে সতর্ক করে বলেছেন, দারিদ্র্য...
খান জাহান আলী (রহ.)-এর ইবাদতখানা
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা
খান জাহান আলী (রহ.) ছিলেন বৃহত্তর খুলনা-যশোর অঞ্চলের প্রভাবশালী শাসক ও সুফিসাধক। তিনি খ্রিস্টীয় ১৫ শতকে এই অঞ্চল শাসন করেন। তাঁর উপাধি ছিল উলুগ খান ও খান-ই-আজম। প্রথমে খান জাহান আলী (রহ.) দিল্লির তুগলক সুলতানদের অধীনে আমির (প্রশাসক) হিসেবে এই অঞ্চলে আসেন। পরবর্তী ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতানদের পক্ষ থেকে অত্র অঞ্চলের জায়গির লাভ করেন। তবে শাসনকাজে যে অনেকটা স্বাধীনতা ভোগ করতেন তা তার কর্মপরিধিতে অনুমান করা যায়। তাঁর শাসনাধীন অঞ্চলকে খলিফাতাবাদ বলা হতো। খলিফাতাবাদের সীমানা সুন্দর বন থেকে নড়াইলের উত্তরের নলদি পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। খান জাহান আলী (রহ.)-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুর্গম সুন্দরবন অঞ্চল বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। তাঁর হাত ধরে এই অঞ্চলের বহু অবকাঠামো গড়ে উঠে। যার মধ্যে শহর, মসজিদ, মাদরাসা, সরাইখানা, সড়ক, মহাসড়ক, সেতু ও মিষ্টি পানির দিঘি অন্যতম। ষাটগম্বুজ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর