কয়েক বছর আগে সাগর ইসলামের দাদি মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি সাগর ইসলামের মায়ের কাছে এক গলার হার, একজোড়া কানের দুল ও একটি আংটি দিয়ে বলেন, এগুলো তুমি সাগরের বউকে দেবে। এই গহনাগুলো আমি আমার নাতির বউয়ের জন্য দিয়ে গেলাম। বিষয়টি পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জানে। সম্প্রতি সাগর ইসলামের মাও মারা গেছেন। অন্যদিকে সাগর এখনো অবিবাহিত রয়ে গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পর পরিবারের কোনো কোনো সদস্য দাবি করছেন, যেহেতু দাদি গহনাগুলো মায়ের হাতে দিয়ে গেছেন এবং মা তোমার বউকে দেওয়ার আগেই মারা গেছেন। তাই এগুলোতে আমাদের অধিকার আছে এবং উত্তরাধিকার সম্পত্তির হিসাবে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সাগর ইসলামের প্রশ্ন হলো, উল্লিখিত অবস্থায় গহনার ওপর মায়ের অন্য সন্তানদের কোনো অধিকার আছে কি না? প্রাজ্ঞ আলেমদের বলেন, উপহার ও দান যার উদ্দেশ্যে করা হয় সেই তার মালিক। চাই তা সরাসরি...
জিজ্ঞাসা: কারো জন্য রেখে যাওয়া গহনার বিধান
অনলাইন ডেস্ক
![জিজ্ঞাসা: কারো জন্য রেখে যাওয়া গহনার বিধান](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/11/1739212322-d515dc95be25e9e1402d10e15171dc23.jpg?w=1920&q=100)
শয়তান যেভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
![শয়তান যেভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করে](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/11/1739212053-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু। তার কাজই হলো, আদম সন্তানকে বিভ্রান্ত করা, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করা। তাদের বিরুদ্ধে সর্বদা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকা। এ কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে সে বহু ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে, নিম্নে সেগুলোর কয়েকটি সংক্ষেপে লেখা হলো। অপরাধকে সুশোভিত করে উপস্থাপন করে: শয়তান মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য অপরাধমূলক কাজগুলোকে সুশোভিত করে প্রদর্শন করে। ফলে মানুষ খুব উৎসাহ নিয়ে পাপের সাগরে সাঁতরাতে পছন্দ করে। আল্লাহর পথে আহ্বানকারীদের অপছন্দ করে আর শয়তানকে প্রকৃত অভিভাবক মনে করে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, আল্লাহর শপথ, আমি তোমার আগে বহু জাতির নিকট রাসুল প্রেরণ করেছি। অতঃপর শয়তান তাদের জন্য তাদের কর্মকে শোভিত করেছে। তাই আজ সে তাদের অভিভাবক। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাসিত। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৬৩) আড়ালে থেকে...
দুপুরে হালকা বিশ্রাম নেওয়ার অভাবনীয় সুফল
আসআদ শাহীন
![দুপুরে হালকা বিশ্রাম নেওয়ার অভাবনীয় সুফল](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/11/1739211467-d792b8b490aef953d009f0fbd3211c80.jpg?w=1920&q=100)
দুপুরে কিছু সময় বিশ্রাম নেওয়াকে আরবিতে কায়লুলাহ বলা হয় । যদি রাতের সময় যথষ্টে পরিমাণে ঘুম না হয় বা কোনো কারণে রাতের ঘুম পূর্ণ না হয়, তবে দুপুরে কিছু সময় ঘুমানো উচিত। এটি ইসলামী শিক্ষা ও প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নাহর অংশ। সাহাবায়ে কেরামের আমল থেকেও জানা যায় যে তারা দুপুরে কায়লুলাহ (দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রাম) করতেন। সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত : আমরা নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতাম, এরপর কায়লুলাহ (দ্বিপ্রাহরিক বিশ্রাম) করতাম। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৯৪১) একাধিক হাদিসে দুপুরে ঘুমানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবীজি (সা.) বলেছেন : দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমাও, কারণ শয়তান কায়লুলাহ করে না। (মুজামুল আওসাত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ১৩, হাদিস : ২৮) আরেকটি হাদিসে বলা হয়েছে, দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমালে রাতের ঘুম পূর্ণ করার পাশাপাশি তাহাজ্জুদের জন্য ওঠা সহজ হয়। (সুনানে...
ঘুমের আগে করবেন যে আমল
অনলাইন ডেস্ক
![ঘুমের আগে করবেন যে আমল](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/09/1739129292-9fdca5b61f0fd817f3e90a02777b8d0f.jpg?w=1920&q=100)
মুসলিমদের জানা প্রয়োজন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমের আগে কী করতেন। কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমালে তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। ঘুমের আগে নবীজি (স.)-এর ৫টি আমল তুলে ধরা হলো। দোয়া পড়া রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি শোয়ার পর আল্লাহর নাম নেয় না, তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে লাঞ্ছনা নেমে আসবে। (আবু দাউদ ৪৮৫৬) হাদিস শরিফে ঘুমানোর আগে কয়েকটি দোয়া বর্ণিত হয়েছে। সব দোয়া পড়তে না পারলেও ছোট এই দোয়াটি পড়া যায়:আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহ্ইয়া, অর্থাৎ হে আল্লাহ, তোমার নামে আমি শয়ন করছি এবং তোমারই দয়ায় আমি পুনরায় জাগব। সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে শরীরে ফুঁ দেওয়া হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন বিছানায় যেতেন, তখন দুই হাত একত্র করে তাতে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর