পেসান্ট্রেন ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যালয়। ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রাম, সামাজিক উন্নয়ন ও শিক্ষার অগ্রযাত্রায় ধর্মীয় এই বিদ্যালয়ের অসামান্য অবদান রয়েছে। পেসান্ট্রেন মূলত একটি আবাসিক মাদরাসা। খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকে ইন্দোনেশিয়া প্রথম ইসলামিক বোর্ডিং স্কুলের সূচনা হয়। জাভানিজ সাহিত্যের অন্যতম মৌলিক কর্ম বাবাদ মেদাকের বর্ণনা থেকে এমনটিই বোঝা যায়। তবে তা হয়ত পেসেন্ট্রেনের বর্তমান অবয়বে ছিল না। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, ওয়ালিসংগের সময় থেকে ইন্দোনেশিয়ায় পেসান্ট্রেনের বিকাশ ঘটে। ওয়ালিসংগ হলো নয় ইসলাম প্রচারকের একটি দল যারা খ্রিস্টীয় ১৫ ও ১৬ শতকে ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ইসলাম প্রচার করেন। ধারণা করা হয়, হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে প্রচলিত মঠগুলোর আদলেই তারা আবাসিক ধর্মীয় বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। উনবিংশ শতাব্দীতে...
ইন্দোনেশিয়ায় স্বদেশপ্রেম ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতীক
আলেমা হাবিবা আক্তার

নামাজে কোরআন তিলাওয়াতের বিশেষ গুরুত্ব

মহাগ্রন্থ আল কোরআন মহান আল্লাহর পবিত্র কালাম। যা মানুষকে আলোকিত করে, ঈমান বৃদ্ধি করে, সঠিক পথের দিশা দেয়। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, যাদের আমি কিতাব দিয়েছি, তারা তা পাঠ করে যথার্থভাবে। তারাই তার প্রতি ঈমান আনে। আর যে তা অস্বীকার করে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২১) এর তিলাওয়াতের ফলে যেমনি মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, তেমনি পাওয়া যায় অফুরন্ত সওয়াব। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলার কিতাবের একটি হরফ যে ব্যক্তি পাঠ করবে তার জন্য এর সাওয়াব আছে। আর সওয়াব হয় তার দশ গুণ হিসেবে। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ, বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯১০) প্রশ্ন হলো, নামাজও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াতও একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কেউ যদি নফল নামাজের মধ্যে দীর্ঘ...
আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ

তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন করা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য কর্তব্য। ইসলামের মূল ও মৌলিক স্তম্ভ কালেমার সারমর্ম হচ্ছে তাওহিদ বা একত্ববাদ। ইসলাম মানুষকে সর্বপ্রথম তাওহিদের প্রতি আহ্বান জানায়। মুমিনের জীবনধারা নিয়ন্ত্রিত হয় একত্ববাদের শিক্ষার আলোকে। আল্লাহর সঙ্গে বিশ্বের সর্বপ্রথম সম্পর্কই তাওহিদ। মহান আল্লাহ ইহলোকিক ও পারলৌকিক জগতে যাবতীয় বিষয়ের কেন্দ্রস্থল। পার্থিব-অপার্থিব জগতে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে হবে, সব সৃষ্টির অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। মানুষের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও আধ্যাত্মিক জীবন থেকে তার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবন পর্যন্ত সর্বত্র গড়ে উঠে এক পূর্ণ সাযুজ্য। জীবনের সর্বক্ষেত্রেই মানুষ হয় এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহর বান্দা, অসংখ্য প্রভুর গোলামির দাবি অগ্রাহ্য করে তার উত্তরণ ঘটে এক...
ফিকাহ সংকলনে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর কর্মপন্থা
উম্মে আহমাদ ফারজানা

ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর ওস্তাদ ছিলেন ইমাম হাম্মাদ (রহ.)। তাঁর ইন্তেকালের পর ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর অন্তরে ফিকাহ সংকলনের চিন্তা উদিত হয়। ততদিনে ইসলামী রাষ্ট্রের পরিসীমা সিন্ধু থেকে সেপন পর্যন্ত, আর আফ্রিকা থেকে এশিয়া মাইনর পর্যন্ত। সঙ্গত কারণে ইবাদত-আমল, সামাজিকতা ও লেনদেনের ক্ষেত্রে দিন দিন এত সমস্যার উদ্ভব হয়েছিল যে একটি বিন্যস্ত আইন বিধি ছাড়া শুধু বর্ণনার ভিভিতে জনসময়ে পর্যালোচনা করে সমাধানের ব্যবস্থা করা সম্ভব ছিল না। তাই ইমাম আবু হানিফা (রহ) এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসেন। তিনি ফিকাহ সংকলনের জন্য ৪০ জন তত্কালীন বিখ্যাত ইসলামী আইনজ্ঞের সমন্বয়ে বোর্ড গঠন করেন। এই ফিকাহ মজলিসে প্রশ্নের আলোকে কোনো মাসআলা উত্থাপন করে সদস্যদের প্রত্যেককে সে বিষয়ে মতামত পেশ করতে বলতেন এবং আলোচ্য বিষয়ে প্রত্যেকের অভিমত পর্যালোচনা করতেন। সদস্যবর্গ তাদের জ্ঞানগর্ব...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর