আমি আরিম ফাহাদ। আমি ঢাকার বংশালে থাকি। আমি কলেজে পড়ি। আমার নানু আজানের সময় কথা বললে রাগ করেন এবং প্রায় আমাদের বলেন, আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যায়। কথাটি কি ঠিক? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, আজানের সময় কথা বলা নিন্দনীয় এবং সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ। আজানের সময় তার জবাব দেওয়া এবং আজান শেষে দরুদ ও দোয়া পাঠ করাই নিয়ম। তবে আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যাবে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়। যিনি বলেন আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যাবে, তিনি সম্ভবত হাদিস হিসেবে প্রচলিত একটি কথার ওপর ভিত্তি করেই তা বলে থাকেন। যাতে বলা হয়েছেযে ব্যক্তি আজানের সময় কথা বলে তার ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আল্লামা সাগানি (রহ.) বলেছেন, এটি হাদিস নয়, বরং একটি জাল বা বানোয়াট বক্তব্য। (রিসালাতুল মাওদুয়াত, পৃষ্ঠা ১২) আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম হলো মুয়াজ্জিন যে শব্দ উচ্চারণ করবে শ্রোতাও সে শব্দ উচ্চারণ করবে।...
আজানের সময় কথা বললে ঈমান নষ্ট হয়?
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (রহ.)
মুফতী মানজুর হোসাইন খন্দকার
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী (রহ.) ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী এক ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ। ইসলামের এই অকুতোভয় বীর ১৯১৩ সালে সিলেটের জকিগঞ্জের ফুলতলী গ্রামে সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সুলতানে সিলেট বাবা শাহজালালের (রহ.) অন্যতম সাথী বাবা শাহ কামালের (রহ.) বংশধর। যদিও তার নাম আবদুল লিতিফ ফুলতলী তবে ভক্ত-মুরিদদের কাছে তিনি সাহেব কেবলাহ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। আল্লামা ফুলতলী (রহ.) ছিলেন বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। চল্লিশের দশকে উপমহাদেশের মুসলমানদের মধ্যে নব জাগরণের জোয়ার সৃষ্টি হয়। আল্লামা ফুলতলী (রহ.) সেখানেও প্রথম সাড়া দেওয়া ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। মুসলিম ভারতের যুগ সন্ধিক্ষণে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দে যোগদানের মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যে কটি সংগঠন মূখ্য...
বান্দার হক নষ্ট করার পরিণতি
মাইমুনা আক্তার
আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে যে হকের ব্যাপারে উদাসীন থাকি, তা হলো বান্দার হক। অথচ কোরআন-হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, যেসব গুনাহ বান্দার হকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, বান্দার সঙ্গে সেই বিষয়ে সুরাহা না করা পর্যন্ত মহান আল্লাহ সে পাপ ক্ষমা করবেন না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোনো বিষয়ে জুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোনো দিনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোনো সত্কর্ম না থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ তা তার কাছ থেকে নেওয়া হবে আর তার কোনো সত্কর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ থেকে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ২৪৪৯) এই হাদিসটিতে নবীজি (সা.) তাঁর উম্মতদের বান্দার হকের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বান্দার হক এতটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি...
সংবাদ প্রচারে ইসলামের সতর্কবার্তা
মো. যোবায়েরুল ইসলাম
ইসলামের দৃষ্টিতে সংবাদ প্রচার একটি অত্যন্ত দায়িত্বশীল কাজ। সঠিক ও যাচাই করা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, সুবিচার এবং ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য। ইসলামে মিথ্যা, অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্যকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা সংবাদ প্রচারে সতর্কতার নির্দেশ দিয়েছেন। সঠিক সংবাদ যাচাইয়ের নির্দেশনা মহান আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেনহে ঈমানদাররা! যদি কোনো তোমাদের কাছে কোনো সংবাদ নিয়ে আসে, তবে তা যাচাই করে দেখো, যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না করে বসো এবং পরে তোমাদের নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হতে না হয়। (সুরা হুজুরাত, আয়াত : ৬) এই আয়াতটি সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে একটি স্পষ্ট নীতিমালা প্রদান করে। সংবাদ পরিবেশনের আগে তার সত্যতা যাচাই করা অপরিহার্য। কারণ মিথ্যা বা অসম্পূর্ণ সংবাদ মানুষকে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর