ইসলাম সৌন্দর্যের ধর্ম। ইসলাম মানুষকে জীবনের প্রতিটি স্তরে সৌন্দর্য ধারণ ও লালনের শিক্ষা দেয়। ইসলাম বলে, মুমিন তার বোধ, বিশ্বাস, আচরণ, কথা, কাজ ও জীবনযাপনে কদর্য পরিহার করবে এবং সৌন্দর্য অর্জন করবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ সুন্দরতম, তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫১) হাদিস বিশারদরা বলেন, এটি একটি ব্যাপকার্থক হাদিস। যা মুমিনকে সমগ্র জীবনে সৌন্দর্য ধারণে উত্সাহিত করে। যতক্ষণ না তা মানুষের অহঙ্কার ও অহমিকার কারণ হয়। সুফিবাদের পরিচয় সুফিবাদের পরিচয় নির্ধারণে মনীষীরা ভিন্ন ভিন্ন মতামত প্রদান করেছেন। যার মূলকথা হলো, আত্মিক পরিশুদ্ধি, দুনিয়া বিমুখতা ও ইবাদতে মগ্ন হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি লাভের সাধনা। আল্লামা কুশাইরি (রহ.) বলেন, তাসাউফ হলো মানবীয় গুণাবলীর ওপর দ্বিনি গুণাবলীকে প্রাধান্য দেওয়ার অনুশীলন। (আর রিসালা,...
ইসলামী শিল্পকলায় সুফিবাদের প্রভাব
আতাউর রহমান খসরু
ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে নবীজী (স.) যেভাবে শক্তিশালী সমাজ গড়ে তোলেন
আসআদ শাহীন
নবী করিম (সা.)-এর অসাধারণ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার প্রথম বড় পরীক্ষা মদিনায় অনুষ্ঠিত হয়। তিনি অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে নিরাপত্তার এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ বের করেন। মদিনায় এসে তিনি সমাজ এবং নাগরিক জীবনের পুনর্গঠনে মনোনিবেশ করেন। এখানে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। (ইনসানে কামেল, পৃষ্ঠা : ৩৬৬) তাঁর সব প্রচেষ্টার একমাত্র লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা এবং মানুষকে আল্লাহর বিধানের প্রতি সমর্পিত করা। (আহদে নববী মেঁ নিজামে হুকমিরানি, পৃষ্ঠা: ২৯৫) মদিনায় আসার পর দ্বিতীয় প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল মুসলমানদের পুনর্বাসন এবং সমাজে তাদের সংহতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা। মদিনার আনসাররা ছিল একটি শক্তিশালী স্থানীয়...
সহমর্মিতা ও সহযোগিতা ইসলামের মানবিক বার্তা
জাওয়াদ তাহের
সহমর্মিতা ও সহযোগিতা মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ককে মজবুত করে এবং সমাজে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তোলে। এটি টেকসই সমাজের জন্য একটি দৃঢ় এবং শক্তিশালী ভিত্তি উপস্থাপন করে। এটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ইসলামি আদর্শের প্রতিফলন। সহমর্মিতা মানুষকে অন্যের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করতে শেখায় এবং সহযোগিতা সেই দুঃখ দূর করতে সাহায্য করে। এ দুটি গুণ ইসলামের মূল নীতিগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কোরআনে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা কোরআন মাজিদে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার গুরুত্ব বহুবার উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা সত্কর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অতি কঠিন। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২) এই আয়াতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ভালো কাজ এবং আল্লাহভীতি অর্জনের...
আজানের সময় কথা বললে ঈমান নষ্ট হয়?
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
আমি আরিম ফাহাদ। আমি ঢাকার বংশালে থাকি। আমি কলেজে পড়ি। আমার নানু আজানের সময় কথা বললে রাগ করেন এবং প্রায় আমাদের বলেন, আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যায়। কথাটি কি ঠিক? প্রাজ্ঞ আলেমরা বলেন, আজানের সময় কথা বলা নিন্দনীয় এবং সুন্নাহ পরিপন্থী কাজ। আজানের সময় তার জবাব দেওয়া এবং আজান শেষে দরুদ ও দোয়া পাঠ করাই নিয়ম। তবে আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যাবে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়। যিনি বলেন আজানের সময় কথা বললে ঈমান চলে যাবে, তিনি সম্ভবত হাদিস হিসেবে প্রচলিত একটি কথার ওপর ভিত্তি করেই তা বলে থাকেন। যাতে বলা হয়েছেযে ব্যক্তি আজানের সময় কথা বলে তার ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। আল্লামা সাগানি (রহ.) বলেছেন, এটি হাদিস নয়, বরং একটি জাল বা বানোয়াট বক্তব্য। (রিসালাতুল মাওদুয়াত, পৃষ্ঠা ১২) আজানের জবাব দেওয়ার নিয়ম হলো মুয়াজ্জিন যে শব্দ উচ্চারণ করবে শ্রোতাও সে শব্দ উচ্চারণ করবে।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর