স্বদেশের রাজপথে ট্যাংক, রক্তচক্ষু ঘাতকের জীপ/ মধ্যরাতে অবিরাম সামরিক যানের আনাগোনা/নগরে কারফিউ, সারারাত ভারী বুটের আওয়াজ- যে আবেগ নিয়ে প্রথিতযশা বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি রফিক আজাদ লিখেছিলেন এই আলোচিত কবিতার লাইনগুলো। সেই আবেগ সামরিক পোশাকেও হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন- একজন মেজর জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানী হানাদারদের রুখে দিতে দেশ মাতৃকার টানে তাঁর কন্ঠ উৎসারিত শব্দমালা উই রিভল্ট (We Revolt) হয়ে উঠেছিল- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি কবিতার এক অনাস্বাদিতপূর্ব প্রারম্ভ। যে কোনো বিপ্লব হলো- সামরিকায়ন ও জনতার এক অনির্বচনীয় যুগলবন্দী আর শহীদ জিয়া ছিলেন সেই যুগলবন্দীর এক কুশলী সুরকার। দেশমাতৃকার টানে তিনি উপেক্ষা করেছিলেন অনাগত সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। অকুন্ঠ চিত্তে তিনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ...
❝প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নতুন জাতি-রাষ্ট্রের রূপকার❞
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অবঃ)
নিজস্ব প্রতিবেদক
কার ওপর এই করের বোঝা
মোফাজ্জল করিম
পৃথিবীতে কেউ অজাতশত্রু নয়। এমনকি সংসারবিবাগি পীর-ফকির-দরবেশ-সন্ন্যাসী, যাঁদের পায়ে তাঁদের ভক্তকুল অহর্নিশ লুটোপুটি খায়, তাঁরাও বলতে পারবেন না তাঁরা শত্রুমুক্ত। আর কেউ না হোক, ওই আধ্যাত্মিক পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী কিভাবে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বিনষ্ট করা যায় সেই চেষ্টায় ফন্দিফিকির আঁটতে থাকেন। এমনকি কখনো কখনো হিংসাত্মক কার্যকলাপেরও আশ্রয় গ্রহণ করেন। আর সাধারণ মানুষকে তো তার অস্তিত্বের জন্য উঠতে-বসতে সারাক্ষণ শত্রুর মোকাবেলা করতে হয়। কথাটি বলছি এ জন্য যে বর্তমানে বাংলাদেশ নামক দেশটির শাসনভার যাঁরা গ্রহণ করেছেন, পাঁচ-ছয় মাস ধরে যাঁরা এই দেশের মানুষের ভাগ্যবিধাতা, তাঁরাও মানুষ, তাঁদেরও অগণিত শুভার্থী যেমন আছে সারা দেশে, তেমনি আছে মুখে বেজায় মিঠে, নিমনিশিন্দে পেটে মার্কা গোপন শত্রুর দল। এরা বেশির ভাগই পূর্ববতী সরকারের আমলের সুবিধাভোগীর দল,...
দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত হোক ক্রীড়াঙ্গন
ইকরামউজ্জমান
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্রীয় জীবনসহ সর্বক্ষেত্রেই সব সময় প্রযোজ্য। দেশে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে সব ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে ভাবা হচ্ছে আর এ ক্ষেত্রে সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে বৃহত্তর স্বার্থ, চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি জোর দাবি রাখছে। তবে এটি ঠিক, সব পরিবর্তন রাতারাতি হয় না। আমাদের বিষয় ক্রীড়াঙ্গন। এর অতীত ও বর্তমান হাল-হকিকত সচেতন মহলের অজানা নয়। দেশের ক্রীড়াঙ্গন অন্য যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র থেকে ভিন্ন। ভিন্ন এর সংস্কৃতি ও জীবনবোধ। গত ৫৩ বছরে আমরা দেখেছি ক্রীড়াঙ্গনে সংস্কার সাধন এবং পরিবর্তনের উদ্যোগ। তবে এগুলোতে কতটুকু বৃহত্তর জনস্বার্থের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে আর কতটুকু সমষ্টি এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেএটি নিয়ে আলোচনা...
বাংলাদেশের অন্য জাতি
মানস চৌধুরী, শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
পণ্ডিতদের কথাবার্তা আমাকে কম ভাবায়। তার সুনির্দিষ্ট কতগুলো কারণ আছে। সারাংশে তাঁদের কাছে আমি প্রায় হাতের তালুর মতো পড়তে পারি। তাঁদের উত্তেজনা-উদ্ভাবনা আমার ডালভাতের মতো সরল লাগে। তাঁদের নিয়ত-অভিপ্রায় বোঝার জন্য আমার আয়াস প্রয়োজন পড়ে না। আবার, যেকোনো পোস্টের ল্যাজে হামলে-পড়া সাইবারপ্রজারাও (নতুন বাংলাদেশে প্রজা বলতে পারব তো?!) আমাকে বিশেষ ভাবান না। তারও স্পষ্ট কারণ আছে। আমাকে তুলনায় বেশি ভাবাতে পারেন গ্রাজুয়েট চাকুরিজীবীবৃন্দের মধ্যকার ফাত্রামি-করা অংশটি। আদিবাসী বলা হবে নাকি হবে না এটা কোনোকালেই পার্বত্য ও সমতলের অন্য-জাতিসমূহের প্রধান সমস্যা ছিল না। প্রধান সমস্যা চিরকালই তাঁদের জনজীবন, উৎপাদন, ও সংস্কৃতির উপর দখলদারিত্ব নিয়ে। উচ্ছেদ-উৎখাত নিয়ে, অবজ্ঞা ও আক্রমণ নিয়ে। মিলিটারি দিয়ে টাইট করানোর রাষ্ট্রীয় পলিসি নিয়ে। নিরাপত্তার উছিলায়...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর