এটি সবাই বলতে চাইবে যে একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদাররা হেরে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তারপর আমরা নিজেরা কেবলই হেরে যাচ্ছি। অভিজ্ঞতা থেকেই বলা। বক্তব্যটি ভেতর থেকে উঠে আসে, বড় দুঃখে। কিন্তু কার কাছে হারলাম? কে-ই বা হারল? না, পাকিস্তানিদের কাছে নয়। ওই গৌরব তাদের একেবারেই প্রাপ্য নয়। হার হয়েছে সেই শক্তির কাছে, যার অধীনে পাকিস্তানিরা নিজেরাও ছিল এবং রয়েছে এখনো। এই প্রভুটির নাম পুঁজিবাদ। পরাজয় ঘটেছে তার কাছেই। আশা ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওই প্রভুরও পতন ঘটবে। ঘোড়া পড়ে গেলে ঘোড়সওয়ারও পড়ে যাবে। কিন্তু তা কি হয়? এই সওয়ারটি অনেক বেশি শক্তি রাখে। তার ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী ন্যস্ত; সে কেন পড়ে যাবে খামোখা? একটি ঘোড়া গেছে অন্য ঘোড়া সহজেই পেয়ে যাবে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এই পুঁজিবাদের নতুন ঘোড়া বটে। সওয়ারটি দাবড়ে বেড়াচ্ছে। আর ওই যে আমাদের...
পুঁজিবাদের কাছে হেরে গেছে জনগণ
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে একটি জাতির সম্মিলিত স্লোগান। যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসে হারানো স্বাধীনতা। পুনরুজ্জীবন লাভ করে গণতন্ত্র। মুখ দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষের বুকের ভিতর পুষে রাখা লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শ্লোক। সান্ত্বনা খুঁজে পায় যন্ত্রণাকাতর জনগণ। এর মধ্য দিয়ে বিপথে যাওয়া বাংলাদেশের নিজের কক্ষপথে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। যেই পথ দেখিয়ে গেছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাত্র চার বছরের শাসনামলে তিনি যে বাংলাদেশের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছিলেন, সেটিই ছিল আধুনিক বাংলাদেশের আসল পথ। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আবার তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পা বাড়াবে সেটি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ যখন তার এই পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত...
❝প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নতুন জাতি-রাষ্ট্রের রূপকার❞
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অবঃ)
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বদেশের রাজপথে ট্যাংক, রক্তচক্ষু ঘাতকের জীপ/ মধ্যরাতে অবিরাম সামরিক যানের আনাগোনা/নগরে কারফিউ, সারারাত ভারী বুটের আওয়াজ- যে আবেগ নিয়ে প্রথিতযশা বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি রফিক আজাদ লিখেছিলেন এই আলোচিত কবিতার লাইনগুলো। সেই আবেগ সামরিক পোশাকেও হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন- একজন মেজর জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানী হানাদারদের রুখে দিতে দেশ মাতৃকার টানে তাঁর কন্ঠ উৎসারিত শব্দমালা উই রিভল্ট (We Revolt) হয়ে উঠেছিল- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি কবিতার এক অনাস্বাদিতপূর্ব প্রারম্ভ। যে কোনো বিপ্লব হলো- সামরিকায়ন ও জনতার এক অনির্বচনীয় যুগলবন্দী আর শহীদ জিয়া ছিলেন সেই যুগলবন্দীর এক কুশলী সুরকার। দেশমাতৃকার টানে তিনি উপেক্ষা করেছিলেন অনাগত সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। অকুন্ঠ চিত্তে তিনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ...
কার ওপর এই করের বোঝা
মোফাজ্জল করিম
পৃথিবীতে কেউ অজাতশত্রু নয়। এমনকি সংসারবিবাগি পীর-ফকির-দরবেশ-সন্ন্যাসী, যাঁদের পায়ে তাঁদের ভক্তকুল অহর্নিশ লুটোপুটি খায়, তাঁরাও বলতে পারবেন না তাঁরা শত্রুমুক্ত। আর কেউ না হোক, ওই আধ্যাত্মিক পুরুষের প্রতিদ্বন্দ্বী কিভাবে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি বিনষ্ট করা যায় সেই চেষ্টায় ফন্দিফিকির আঁটতে থাকেন। এমনকি কখনো কখনো হিংসাত্মক কার্যকলাপেরও আশ্রয় গ্রহণ করেন। আর সাধারণ মানুষকে তো তার অস্তিত্বের জন্য উঠতে-বসতে সারাক্ষণ শত্রুর মোকাবেলা করতে হয়। কথাটি বলছি এ জন্য যে বর্তমানে বাংলাদেশ নামক দেশটির শাসনভার যাঁরা গ্রহণ করেছেন, পাঁচ-ছয় মাস ধরে যাঁরা এই দেশের মানুষের ভাগ্যবিধাতা, তাঁরাও মানুষ, তাঁদেরও অগণিত শুভার্থী যেমন আছে সারা দেশে, তেমনি আছে মুখে বেজায় মিঠে, নিমনিশিন্দে পেটে মার্কা গোপন শত্রুর দল। এরা বেশির ভাগই পূর্ববতী সরকারের আমলের সুবিধাভোগীর দল,...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত