বহু আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে একটি কাহিনি শুনিয়েছিলাম। ২০১৯ সালের কোনো এক সময়ে তাঁর সঙ্গে আমার সুদীর্ঘ আলোচনা হয়, যা শেষ অবধি ব্যক্তিগত আড্ডা বা খোশগল্পে পরিণত হয়। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের পর বিএনপি ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে পড়ে। আর আওয়ামী লীগ সেই সুযোগ নিয়ে যে পাল্টা আক্রমণ, অপপ্রচার, মামলা, হামলা দিয়ে এমন এক ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে, যার কারণে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তৃণমূলের সবাই কনফিউজ হয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলার আগে কনফিউজড শব্দ নিয়ে কিছু বলা অবশ্যক এবং ২০১৯ সালে তারেক রহমানকে শোনানো একটি বড়সড় ঐতিহাসিক কাহিনি কেন ২০২৫ সালে এসে আপনাদের শোনাতে এসেছি, তা-ও ব্যাখ্যা করা জরুরি। কনফিউজড একটি ইংরেজি শব্দ, যার বাংলা প্রতিশব্দ হলো বিভ্রান্ত। এটি একটি ক্রিয়াবাচক পদ। বিভ্রান্তি যখন কোনো প্রাণীকে গ্রাস করে এবং সে...
কনফিউজড! পুরো জাতি কনফিউজড!
গোলাম মাওলা রনি
নিজস্ব প্রতিবেদক
পুঁজিবাদের কাছে হেরে গেছে জনগণ
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
এটি সবাই বলতে চাইবে যে একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদাররা হেরে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তারপর আমরা নিজেরা কেবলই হেরে যাচ্ছি। অভিজ্ঞতা থেকেই বলা। বক্তব্যটি ভেতর থেকে উঠে আসে, বড় দুঃখে। কিন্তু কার কাছে হারলাম? কে-ই বা হারল? না, পাকিস্তানিদের কাছে নয়। ওই গৌরব তাদের একেবারেই প্রাপ্য নয়। হার হয়েছে সেই শক্তির কাছে, যার অধীনে পাকিস্তানিরা নিজেরাও ছিল এবং রয়েছে এখনো। এই প্রভুটির নাম পুঁজিবাদ। পরাজয় ঘটেছে তার কাছেই। আশা ছিল পাকিস্তানি হানাদারদের পতনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওই প্রভুরও পতন ঘটবে। ঘোড়া পড়ে গেলে ঘোড়সওয়ারও পড়ে যাবে। কিন্তু তা কি হয়? এই সওয়ারটি অনেক বেশি শক্তি রাখে। তার ক্ষমতা বিশ্বব্যাপী ন্যস্ত; সে কেন পড়ে যাবে খামোখা? একটি ঘোড়া গেছে অন্য ঘোড়া সহজেই পেয়ে যাবে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি এই পুঁজিবাদের নতুন ঘোড়া বটে। সওয়ারটি দাবড়ে বেড়াচ্ছে। আর ওই যে আমাদের...
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সংযোজন। ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার বিপরীতে একটি জাতির সম্মিলিত স্লোগান। যার মধ্য দিয়ে ফিরে আসে হারানো স্বাধীনতা। পুনরুজ্জীবন লাভ করে গণতন্ত্র। মুখ দিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে মানুষের বুকের ভিতর পুষে রাখা লাঞ্ছনা-বঞ্চনার শ্লোক। সান্ত্বনা খুঁজে পায় যন্ত্রণাকাতর জনগণ। এর মধ্য দিয়ে বিপথে যাওয়া বাংলাদেশের নিজের কক্ষপথে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে আমি মনে করি। যেই পথ দেখিয়ে গেছেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। মাত্র চার বছরের শাসনামলে তিনি যে বাংলাদেশের বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছিলেন, সেটিই ছিল আধুনিক বাংলাদেশের আসল পথ। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আবার তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পা বাড়াবে সেটি এখন কেবল সময়ের ব্যাপার। বাংলাদেশ যখন তার এই পরিবর্তিত রূপে আবির্ভূত...
❝প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নতুন জাতি-রাষ্ট্রের রূপকার❞
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অবঃ)
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বদেশের রাজপথে ট্যাংক, রক্তচক্ষু ঘাতকের জীপ/ মধ্যরাতে অবিরাম সামরিক যানের আনাগোনা/নগরে কারফিউ, সারারাত ভারী বুটের আওয়াজ- যে আবেগ নিয়ে প্রথিতযশা বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি রফিক আজাদ লিখেছিলেন এই আলোচিত কবিতার লাইনগুলো। সেই আবেগ সামরিক পোশাকেও হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন- একজন মেজর জিয়াউর রহমান। পাকিস্তানী হানাদারদের রুখে দিতে দেশ মাতৃকার টানে তাঁর কন্ঠ উৎসারিত শব্দমালা উই রিভল্ট (We Revolt) হয়ে উঠেছিল- ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি কবিতার এক অনাস্বাদিতপূর্ব প্রারম্ভ। যে কোনো বিপ্লব হলো- সামরিকায়ন ও জনতার এক অনির্বচনীয় যুগলবন্দী আর শহীদ জিয়া ছিলেন সেই যুগলবন্দীর এক কুশলী সুরকার। দেশমাতৃকার টানে তিনি উপেক্ষা করেছিলেন অনাগত সমূহ বিপদের সম্ভাবনা। অকুন্ঠ চিত্তে তিনি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর