আমরা দৈনন্দিন জীবনে আশপাশে এমন কিছু মানুষকে দেখি, যাদের ত্বক অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তাদের অনেকের ত্বকের আসল রঙের মাঝে ছোপ ছোপ দুধ-সাদা রঙ দেখা যায়। ত্বকের রঙের এমন তারতম্য মূলত ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ, যার নাম শ্বেতী বা ধবল রোগ। শ্বেতী রোগ নিয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক নয়, যার প্রভাব আক্রান্ত ব্যক্তিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। ত্বকের যেসব পরিচিত রোগ আছে, তার মধ্যে শ্বেতী রোগ অন্যতম। এই রোগে যখন কেউ আক্রান্ত হয়, তখন আক্রান্ত স্থানটি সাদা হয়ে ত্বকের স্বাভাবিক রঙ বা পিগমেন্টেশন নষ্ট হয়ে যায়। আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামক একটি কোষ আছে, যার কাজ হচ্ছে মেলানিন উৎপাদন করা। এই মেলানিনের কারণেই আমাদের ত্বকের রঙে র্ফসা, বাদামী কিংবা অন্যান্য তারতম্য দেখা যায়। যখন ত্বকের কোনও অংশের মেলানোসাইট কোষ ধ্বংস হয়ে যায়, তখন সেখানে মেলানিন উৎপন্ন হতে পারে...
শ্বেতী কি ছোঁয়াচে রোগ, নিরাময়যোগ্য সম্ভব?
অনলাইন ডেস্ক
যেসব অভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়
অনলাইন ডেস্ক
হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি এখন যেকোনো বয়সের মানুষেরই থাকে। তবে দৈনন্দিন জীবনে সহজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে পারলেই এড়ানো যেতে পারে এই ঝুঁকি। সম্প্রতি অল্প বয়সীদের মধ্যেও বাড়ছে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়াতে একধরনের চাপা আতঙ্ক বিরাজ করে মানুষের মাঝে। সেজন্যই দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা জরুরি। ছোট ছোট কোনো পরিবর্তনের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারবেন। কীভাবে পরিবর্তন করবেন এসব অভ্যাস? ধূমপান ত্যাগ ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিতেই হবে। তাই আজ থেকে বাদ দিন সিগারেট। হার্ট ভালো রাখতে চাইলে অ্যালকোহলের অভ্যাসও ত্যাগ করা জরুরি। তবেই আপনার হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকবে। ফাইবার ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিন। প্রতিদিনের মেনুতে ফাইবার যুক্ত খাবারই বেশি রাখতে পারলে ভালো। খারাপ...
পা-ঠোঁট ফাটার কারণ ও চিকিৎসা
ডা. মো. মোশাররফ হোসেন
অনলাইন ডেস্ক
শীতকাল ছাড়াও অনেকের সারা বছরই হাত, পা ও ঠোঁটের চামড়া ফেটে যায়। বিশেষ করে শীতকালে এটা তীব্রতর হয় যা কষ্টকর ও বিব্রতকর। ঠোঁটের সমস্যা ঠোঁটের চামড়া পুরু হয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে যায়, ফেটে রক্ত বের হয়ে যায়। কারও ঠোঁট পাতলা হয়ে যায়, লাল হয়ে ব্যথা হয়, ইনফেকশন হয়ে ফুলে যেতে পারে। কারণ: কিছু সাধারণ কারণ এবং কিছু রোগের জন্য হয়। সাধারণ কারণ- ১. অতিরিক্ত শুষ্কতা। ২. অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বাতাস ও পানি ব্যবহার। ৩. অতিরিক্ত রোদ্রে যাওয়া। ৪. দাঁত দিয়ে ঠোঁট কাটা। ৫. এলার্জী হয় এমন কসমেটিকস ব্যবহার ও লিপষ্টিক, লিপ বাম, পমেড ইত্যাদি। ৬. দীর্ঘ দিন Retinoid Therapy নেওয়া। ৭. টুথপেষ্ট, সানস্ক্রিন ব্যবহার ও টুথব্রাশের আঘাত। চর্ম রোগের কারণ ১. একজিমা ২. Atopic Dermatitis ৩. সোরিয়াসিস ৪. লাইকেন প্লেনাস ৫. Actinic Keratosis ৬. ছত্রাক-(Candida) জনিত সংক্রমন। চিকিৎসা ১. অতিরিক্ত ঠাণ্ডা, বাতাস বা রোদ্রে না যাওয়া। ২. দাঁত দিয়ে...
দুশ্চিন্তার পাশাপাশি অবসাদ কমায় গুলঞ্চ
আমাদের এই অঞ্চলে বহু বছর ধরে ঘরোয়া চিকিৎসায় গুলঞ্চের ব্যবহার হয়ে আসছে। আয়ুর্বেদ-শাস্ত্রে গুলঞ্চকে অমৃত হিসেবে উল্লেখ করা হয়। গুল্মটি অন্য উদ্ভিদের ওপর বেয়ে ওঠা লতানো একটি উদ্ভিদ। কাণ্ডের উপরিভাগ খসখসে ফাটলযুক্ত। আবরণ বিস্কুট রঙের। পাতা হৃদয়াকৃতির এবং বোঁটা লম্বা। গুলঞ্চের প্রতিটি অংশে স্বাস্থ্যউপকারিতা থাকলেও সবচেয়ে উপকারী উপাদানগুলো আছে এর কাণ্ডে। দীর্ঘমেয়াদি হাঁপানি, ডায়রিয়া, জ্বর, ডায়াবেটিসসহ নানান সংক্রমণের চিকিৎসায় গুলঞ্চ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেন উপকারী গুলঞ্চ: গুলঞ্চে টারপিনয়েড, অ্যালকালয়েড, লিগন্যান ও স্টেরয়েডের মতো উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। এসব যৌগের মধ্যে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। গুলঞ্চের আরও আট উপকারিতা: ১. গুলঞ্চে আছে অ্যালকালয়েড যৌগ...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর