শিশুদের স্নায়ু বিকাশ জনিত সমস্যাই হচ্ছে অটিজম যেখানে শিশুর ভাষার সমস্যা, অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা এবং আচরণের সমস্যা থাকতে পারে। অটিজম বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন শিশুর প্রথম দিকের উপসর্গ হলো, শিশু কোন কারণ ছাড়াই নিজে নিজে ঘুড়ে, কোন বস্তুকে ঘুড়ায়, বস্তুর প্রতি মনোযোগ কমিয়ে দেয়, সে নিজের মতো করে চলতে পছন্দ করে, কখনো কখনো ১৮-১৯ মাসের দিকে শিশুর পূর্বের কথাগুলো কমে যায়। স্পেশাল শিশুর অভিভাবকদের জন্য পরামর্শ হলো, চিকিৎসক যদি কোন ওষুধের পরামর্শ দেন তাহলে সেই নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ খাওয়ান, নিজে নিজে ওষুধ বন্ধ করবেন না। দিনে তিন থেকে চারবার থেরাপি দিন বা ব্যায়াম করান। দিনে তিন থেকে চারবার খাওয়ান। শিশুদের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন, টিভি দেখা থেকে বিরত রাখুন। রাত্রের বেলায় পরিপূর্ণ ঘুম নিশ্চিত করুন। মনে রাখবেন, ঘুমের সমস্যা হলে কথা বলা এবং আচরণে...

রমজান মাসে সবাই সুস্থতার সঙ্গে রোজাগুলো রাখতে চান। তবে কেউ কেউ সারাদিন তীব্র মাথাব্যথার সঙ্গে লড়াই করেন। যারা অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত বা তৃষ্ণার্ত বোধ করেন না তারাও প্রায়শই মাথাব্যথাকে রোজার সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং অংশ বলে মনে করেন। কিন্তু কেন এটি ঘটে? চলুন জেনে নেওয়া যাক রোজায় কী কারণে মাথাব্যথা হয় আরও পড়ুন যেসব কারণে শরীরে পানি জমে, এখনই সচেতন হোন ০৪ মার্চ, ২০২৫ ঘুমের অভাব রমজান মাসে পরিবর্তিত রুটিনের কারণে প্রায় মানুষেরই পর্যাপ্ত ঘুম হয় না। সেহরির জন্য ভোররাতে ঘুম থেকে উঠা এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম ছাড়াই কাজ ও পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া মাথা ব্যাথার অন্যতম কারণ হতে পারে। নিম্ন রক্তচাপ রক্তাল্পতা বা নিম্ন রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাথা ঘোরা এবং মাথা ব্যথা অনুভব করতে পারেন। কারণ শরীরের অক্সিজেন কার্যকরভাবে সঞ্চালনের ক্ষমতা কমে যায়।...

পেট ও বুকে ভর দিয়ে উপুড় হয়ে শোয়ে বই পড়া, ল্যাপটপ-মোবাইল চালান অনেকে। অনেকে আবার উপুড় হয়ে শোয়ে ঘুমান। সাময়িকভাবে আরামের মনে হলেও এ অভ্যাসের কারণে মেরুদণ্ড, শ্বাসপ্রশ্বাস, শরীরের বিশ্রাম ও ঘুমের ওপরও প্রভাব পড়তে পারে। উপুড় হয়ে শোয়ার যেসব ক্ষতি ১. পেটে ভর দিয়ে শুয়ে বিভিন্ন কাজ করলে ক্ষতির শিকার হতে পারে মেরুদণ্ড এবং অন্ত্র। এ ছাড়াও মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক বাঁক বদলে গিয়ে ঘাড়-পিঠে ব্যথা হতে পারে। ২. পেটের ভরে শোওয়ার সময় ঘাড় প্রসারিত হয়ে দুই কাঁধ কানের কাছাকাছি পৌঁছায়। শরীরের বেশির ভাগ ভর পড়ে দুই হাতের ওপর। এই অবস্থায় বিভিন্ন হাড়ের জোড়ায় অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এটি প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত হলে দীর্ঘ মেয়াদে ভয়ানক ক্ষতি হতে পারে। ৩. শরীরে সব অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যাবলির নিয়ন্ত্রক স্নায়ুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে মেরুদণ্ড। স্নায়ুতন্ত্রে কোনো সমস্যা দেখা দিলে...

হেঁচকি একটি সাধারণ শারীরিক প্রতিক্রিয়া, যা সাধারণত স্বল্প সময়ের জন্য ঘটে এবং কোনো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে রোজা রেখে হেঁচকি উঠলে এটি অনেক সময় অস্বস্তিকর হতে পারে, বিশেষ করে যদি এটি দীর্ঘসময় ধরে চলতে থাকে। এ প্রতিবেদনে রোজা অবস্থায় হেঁচকি ওঠার কারণ ও তা নিরাময়ের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। হেঁচকি ওঠার কারণ হেঁচকি সাধারণত ডায়াফ্রাগম (শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রণকারী পেশি) আকস্মিক সংকুচিত হওয়ার ফলে হয়। রোজা অবস্থায় নিম্নলিখিত কারণগুলো হেঁচকির জন্য দায়ী হতে পারে খালি পেটে অ্যাসিডিটি: দীর্ঘক্ষণ না খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে, যা ভোগাস নার্ভকে (Vagus Nerve) উত্তেজিত করে হেঁচকির সৃষ্টি করতে পারে। পানি ও ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি: রোজায় পানি কম খাওয়ার ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে, যা স্নায়ুতন্ত্রের ওপর প্রভাব ফেলে...