পাথর আমদানিতে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে রেডিমিক্স কংক্রিট খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে প্রতি টনে পাথর আমদানির ব্যয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে, যা রেডিমিক্স কংক্রিটের উৎপাদন ব্যয় সিএফটি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বৃদ্ধি করেছে। তবে, আমদানি ব্যয় বাড়লেও কয়েকটি রেডিমিক্স কোম্পানি দাম না বাড়িয়ে নিম্নমানের পণ্য ব্যবহার করছে, যা গুণগত মানের অবনতি ঘটাতে পারে।
এতে অবকাঠামো খাতে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে বলে খাতসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। মানসম্পন্ন অবকাঠামো নির্মাণে পাথর আমদানিতে আরোপিত সম্পূরক শিল্প প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেডিমিক্স কংক্রিট অ্যাসোসিয়েশন (বিআরএমসিএ)।
বর্তমানে দেশের স্থাপনা নির্মাণ এখন রেডিমিক্স কংক্রিটনির্ভর। পরিবেশবান্ধব, সময় সাশ্রয়ী ও টেকসই বিবেচনায় নির্মাতাদের কাছে এটি যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য।
১৯৯০ সালে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হওয়া এ খাতে বাজার চাহিদা দ্রুত বেড়েছে, যার ফলে অল্প সময়েই বিনিয়োগ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এই খাতে ২২টি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কংক্রিটের শক্তি মূলত মিক্স ডিজাইন, সিমেন্ট, পাথর, বালি ও পানির গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে। যদি উপাদানগুলোর মান ঠিক না থাকে, তাহলে কংক্রিটের শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যেতে পারে।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এমনিতেই দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মেগাপ্রকল্পসহ বেশির ভাগ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যিক ও বেসরকারি আবাসনশিল্পেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে রেডিমিক্স কংক্রিট খাতে ধস নেমেছে। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর মেগাপ্রকল্পসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে সব ধরনের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই গত ৯ জানুয়ারি পাথরসহ শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার।