শবে বরাত একটি অত্যন্ত পবিত্র এবং মর্যাদাপূর্ণ রাত, যা মুসলিম বিশ্বে বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হয়। এটি হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে বলা হয় এবং মুসলমানদের জন্য এটি বিশেষ একটি রজনী হিসেবে চিহ্নিত। শবে বরাত ফারসি ভাষার শব্দ, যেখানে শব অর্থ রাত এবং বরাত অর্থ মুক্তি, শান্তি ও সৌভাগ্য। এর আরবি প্রতিশব্দ লাইলাতুল বরাত অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী। এই রাতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বান্দাদের মাফ করে দেন, বিশেষত যারা এই রাতটিতে ইবাদত ও তওবা করেন, তাদের জন্য। বিশ্বের নানা প্রান্তে মুসলমানরা শবে বরাতের রাতটিকে বিশেষভাবে পালন করে, প্রার্থনা করে, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং দোয়া করতে থাকে। কিছু ইসলামী ঐতিহ্যের মধ্যে এই রাতে কবুল হওয়া দোয়ার প্রতি বিশ্বাস রয়েছে, তাই অনেকেই বিশেষ দোয়া ও ইবাদত পালন করেন। শবে বরাত মুসলিমদের জন্য শুধু এক রাতের...
শবে বরাতে কয়টি রোজা রাখবেন?
অনলাইন ডেস্ক
![শবে বরাতে কয়টি রোজা রাখবেন?](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/13/1739442362-c2cfa5dd6257de693a518a8db4f2da07.jpg?w=1920&q=100)
বাসরঘরে নবদম্পতির যা করণীয় ও বর্জনীয়
শরিফ আহমাদ
![বাসরঘরে নবদম্পতির যা করণীয় ও বর্জনীয়](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/13/1739388766-275d8486207109cbfd343e83976cffe5.jpg?w=1920&q=100)
নবদম্পতির প্রথম রাতটি বাসররাত হিসাবে সুপরিচিত। নারী-পুরুষ সবার জীবনে এ রাত খুব গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের অনেক বসন্ত পেরিয়ে যায় এর প্রতীক্ষায়। এই রাতে দাম্পত্য জীবনের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, এবং সহানুভূতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই রাতের আচার-আচরণ এবং আদর্শের ব্যাপারে ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে। এগুলো নবদম্পতিকে তাদের নতুন জীবনে সঠিক পথে পরিচালিত করে। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা বাসর রাতে স্বামীর মুস্তাহাব আমল হলো স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করা। পরিপাটি নতুন মানুষটির সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করা। ছেড়ে আসা আত্মীয়-স্বজনের অভাব বুঝতে না দেওয়া। প্রিয়তমাকে প্রিয় কিছু উপহার দেওয়া। একে অন্যকে আরও গভীরভাবে জানা এবং বোঝা। দুধ, মিষ্টি ও শরবত ইত্যাদি একত্রে খাওয়া। আসমা বিনতে উমাইস (রা.) বলেন,...
আফগান জাতির মা কবি নাজো তখি
আলেমা হাবিবা আক্তার
![আফগান জাতির মা কবি নাজো তখি](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/13/1739388596-96fb9c770cbd117079b942088f9de795.jpg?w=1920&q=100)
আফগান ইতিহাসের একজন সাহসী নারী কবি ও যোদ্ধা ছিলেন নাজো তখি। তিনি আফগানদের কাছে নাজো আনা (দাদি নাজো) নামে পরিচিত। তাকে আফগান জাতির মাতাও বলা হয়। তিনি পশতু ভাষায় কবিতা লিখতেন। আফগান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদান ছিল। প্রকৃতপক্ষে তিনি ছিলেন আফগান রাষ্ট্রের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা। নাজো তখি ১৬৫১ খ্রিস্টাব্দে আফগানিস্তানের কান্দাহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সুলতান মালাখাই তখি ছিলেন পশতু তকি গোত্রের একজন প্রভাবশালী নেতা ও গজনি প্রদেশের গভর্নর। তিনি শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা ও সংস্কৃতি চর্চার অনুকূল পরিবেশে বেড়ে ওঠেন। পিতার আন্তরিকতার কারণে তিনি ভাষা-সাহিত্য, ধর্মীয় জ্ঞান ও আফগান সংস্কৃতি বিষয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠেন। নাজো তখি সেলিম খান হোতাকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং তাদের ঘরে জন্ম নেন আফগানিস্তানের প্রভাবশালী শাসক মির...
অভিভাবকদের প্রতি কোরআনের নির্দেশ
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
![অভিভাবকদের প্রতি কোরআনের নির্দেশ](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/13/1739388004-356af004b52bc32783a89ba7e6ce93dd.jpg?w=1920&q=100)
প্রতিটি মানুষ তার পরিবার-পরিজনকে ভালো রাখার জন্য প্রাণপন চষ্টা করে। তাদের জীবনকে আনন্দদায়ক করতে কত ত্যাগ করে। জীবনের মূল্যবান সময়, সম্পদ সব ব্যয় করে মানুষ তার প্রিয়জনদের একটি সুখী ও নিরাপদ জীবন উপহার দিতে চয়। মানুষ তার প্রিয়জনদের দুনিয়াবী শান্তি সফলতার জন্য যেমন চিন্তিত হয়, গুরুত্ব দেয়, তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তাদের আখেরাতের জীবনের নিরাপত্তাকে। কারণ দুনিয়ার জীবনের চেয়ে আখেরাতের জীবন অধীক গুরুত্বপূর্ণ। দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী আর আখেরাতের জীবন চিরস্থায়ী। তাই প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব তার ও তার পরিবারের আখেরাতের জীবন সাজাতে সচষ্টে হওয়া। এমন কোনো কাজে লপ্তি হওয়ার সুযোগ না দেওয়া, যা তাদের পরকালকে ধ্বংস করে দেয়। তাদের জাহান্নামের উপযুক্ত করে তোলে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, হে মুমিনরা! তোমরা তোমাদের নিজেদের আর তোমাদের...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর