ইসলামের দৃষ্টিতে যেসব পাপকে জঘন্যতম বিবেচনা করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো, বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক। এটি মানুষের চরিত্র হরণ করে, বংশের পবিত্র নষ্ট করে এবং দুনিয়া-আখিরাতে বিভিন্ন কঠিন শাস্তির উপযুক্ত করে দেয়। এজন্য মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে এ কাজ থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তোমরা ব্যভিচারের কাছে যেয়ো না, নিশ্চয় তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ। (সুরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩২) এটি এতটাই জঘন্য কাজ যে, নবীজি (সা.) এই কাজকে ঈমানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ব্যভিচারী ব্যক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকাবস্থায় মুমিন থাকে না...। (মুসলিম, হাদিস : ১০৬) নাউজুবিল্লাহ, যদি সেই অবস্থায় কারো মৃত্যু চলে আসে, তাহলে তার দুনিয়া-আখিরাতের কী পরিণতি হবে তা ভাবা উচিত। কেউই জানে না তার...
সমাজে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রভাব
আবু তাশফিন
অনলাইন ডেস্ক
![সমাজে বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রভাব](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/14/1739474221-199bca7304e7df2939f1708a92a2cda8.jpg?w=1920&q=100)
সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ
অনলাইন ডেস্ক
![সালাতুত তাসবিহ পড়ার নিয়ম](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/14/1739473688-2aec503ed87ffc1628a0075210c728ae.jpg?w=1920&q=100)
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আব্বাস ইবনে আব্দিল মুত্তালিব (রা.)-কে বলেছেন, হে চাচা! আমি কি আপনাকে দেব না? আমি কি আপনাকে প্রদান করব না?...আপনি চার রাকাত নামাজ পড়বেন। প্রতি রাকাতে সুরা ফাতিহা ও অন্য একটি সুরা পড়বেন। প্রথম রাকাতে যখন কিরাত পড়া শেষ করবেন তখন দাঁড়ানো অবস্থায় ১৫ বার বলবেন, উচ্চারণ : সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদু লিল্লাহ, ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার। এরপর রুকুতে যাবেন এবং রুকু অবস্থায় দোয়াটি ১০ বার পড়বেন। এরপর রুকু থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদায় যাবেন। সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন অতঃপর ১০ বার পড়বেন। এরপর আবার সিজদায় যাবেন এবং সিজদারত অবস্থায় ১০ বার পড়বেন। এরপর সিজদা থেকে মাথা উঠাবেন এবং ১০ বার পড়বেন। এ হলো প্রতি রাকাতে ৭৫ বার। আপনি চার রাকাতেই অনুরূপ করবেন। যদি...
আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের তাৎপর্য
মো. আলী এরশাদ হোসেন আজাদ
অনলাইন ডেস্ক
![আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের তাৎপর্য](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/14/1739472861-f920c8754ba7deff3f5f933c8c6b7abb.jpg?w=1920&q=100)
তাওহিদ বা আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাসের মাধ্যমেই বান্দা মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌঁছায়। এতে বান্দা তাঁর স্মরণে আনন্দ, ইবাদত, আনুগত্যে পরিতৃপ্তি ও উত্সাহ পায়। মহান আল্লাহর ঘোষণাতার চেয়ে ধর্মে উত্তম কে, যে সত্কর্মপরায়ণ (তওহিদবাদী) হয়ে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে। (সুরা নিসা, আয়াত : ১২৫) পবিত্র কোরআনে আরো আছে আর জেনে রেখো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের অন্তরে যা আছে তা জানেন। কাজেই তাঁকে ভয় করো। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৫) তাওহিদ অর্থ একক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্থির করা বা একত্ববাদ। পারিভাষিক অর্থে মহান আল্লাহকে তাঁর সুমহান জাত (সত্তা) সর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত নাম ও সিফাতে (গুণাবলী, বৈশিষ্ট্যে) এবং তাঁর অধিকার, কর্ম ও কর্তৃত্বে এক, অদ্বিতীয় ও একক ঘোষণা করা এবং এসব ক্ষেত্রে নিজের কথা, কাজ ও আন্তরিক বিশ্বাসের মাধ্যমে মহান আল্লাহর একত্ব সমুন্নত রাখা। তাওহিদ প্রধানত তিন...
শবেবরাতেও যাদের ক্ষমা নেই
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
![শবেবরাতেও যাদের ক্ষমা নেই](https://asset.news24bd.tv/public/news_images/2025/02/14/1739472168-d7ab85b9825193e72ff07037882fa8ba.jpg?w=1920&q=100)
হাদিসের আলোকে শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এ রাতের ইবাদতও ফজিলতপূর্ণ। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ রাতে অনেককে ক্ষমা করা হয়। তবে কিছু দুর্ভাগা ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এই বিশেষ রজনীতেও ক্ষমাপ্রাপ্তির নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে যদি তারা তওবা করেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চান, তাহলে তিনিও তাদের ক্ষমা করবেন। এমন কয়েকজন দুর্ভাগা হলেন মুশরিক: যে ব্যক্তি শিরকের মতো ঘৃণিত পাপে লিপ্ত থাকবে, শবেবরাতেও আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করবেন না। পবিত্র কোরআনে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে তার সঙ্গে শিরক করে। এর চেয়ে নিম্নস্তরের পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সুরা নিসা, আয়াত: ৪৮) মুশাহিন: মুশাহিন অর্থ বিদ্বেষ পোষণকারী। দ্বিনি কোনো কারণ ছাড়া যে ব্যক্তি অন্যের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ লালন করবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এ রাতে ক্ষমা করবেন না।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর