বর্তমান এমন কিছু কুসংস্কার প্রবেশ করেছে, যেগুলো মানুষকে ধীরে ধীরে শিরক এবং কুফুরিতে লিপ্ত করাতে পারে। মানুষের ঈমান-আমল বিনষ্টকারী কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। কুসংস্কার হলো নিছক ধারণা ও কল্পনাভিত্তিক প্রমাণহীন বিশ্বাস এবং ওই বিশ্বাস অনুযায়ী ভিত্তিহীন প্রথা ও কর্ম। কোরআন ও সুন্নাহর আলো থেকে বঞ্চিত ব্যক্তিরাই কুসংস্কারে আক্রান্ত। আধুনিক যুগে বহু মানুষ কুসংস্কারের চাদরে আবৃত। কুসংস্কারের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে আসাই ঈমানের দাবি। সমাজে প্রচলিত অনেক ধরনের কুসংস্কার কথা আছে যা আমরা সবসময় বলে থাকি। প্রচলিত এসব কুসংস্কার থেকে মানুষকে সতর্ক করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত বিভিন্ন কুসংস্কারগুলো উল্লেখ করা হলো: ১. পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পূর্বে ডিম খাওয়া যাবে না। তাহলে পরীক্ষায় ডিম (গোল্লা) পাবে। ২. জোড়া কলা খেলে জমজ সন্তান...
যেসব কুসংস্কার থেকে দূরে থাকা উচিত, যা ইসলাম পরিপন্থী
অনলাইন ডেস্ক

এথেন্সে মুসলিম শাসনের পাঁচ স্মৃতি

আধুনিক গ্রিসের প্রায় পুরোটাই মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল। তুরস্কের উসমানীয় শাসকরা ১৪৫৮ থেকে ১৮২১ সাল পর্যন্ত গ্রিস শাসন করে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সও এর বাইরে ছিল না। মুসলিম শাসকরা এ সময় এথেন্সে অসংখ্য স্থাপনা গড়ে তোলে। তবে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে তুর্কি শাসনের অবসান ঘটায় গ্রিকরা এসব স্থাপনার বেশির ভাগই ধ্বংস করে ফেলে। গ্রিকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ও দীর্ঘদিন অতিক্রম করার পরও এখনো এথেন্সে বেশ কিছু মুসলিম স্থাপনা টিকে আছে। যা এথেন্সে গৌরবময় মুসলিম শাসনের স্মৃতি। এথেন্স ছাড়াও উত্তর-পশ্চিম গ্রিসে, যেখানে সংখ্যালঘু মুসলিমরা বসবাস করে সেখানে মুসলিম আমলের কিছু প্রাচীন স্থাপনা টিকে আছে। নিম্নে এথেন্সে টিকে থাকা পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম স্থাপত্যের বর্ণনা তুলে ধরা হলো। ১. তিস্তারাকিজ মসজিদ: এথেন্সের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র...
যেসব কাজে ব্যবসার বরকত নষ্ট হয়
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

রিজিক অনুসন্ধানের জন্য মানুষ যেসব পেশা বেছে নেয়, তার মধ্যে পবিত্র একটি পেশা হলো ব্যবসা। কেউ যদি কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা মোতাবেক সৎভাবে ব্যবসা করে, তবে মহান আল্লাহ দুনিয়া-আখিরাতে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। তার জীবন বরকতময় করেন। আখিরাতকেও সুখময় করবেন ইনশাআল্লাহ। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবী, সত্যবাদী ও শহীদের সঙ্গে থাকবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১২০৯) কিন্তু কিছু কাজ আছে, যেগুলো ব্যবসার বরকত উঠিয়ে নেয়। বাহ্যিকভাবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এগুলো করা যৌক্তিক মনে হলেও, এগুলো মানুষের দুনিয়া-আখিরাত ধ্বংস করে দেয়। নিম্নে এ ধরনের কিছু কাজ তুলে ধরা হলো, মাপে কম দেওয়া শহর থেকে গ্রাম-সবখানে এই সমস্যাটি ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। কিছু নির্দষ্টি ব্যবসার ক্ষেত্রে এ কাজটি ব্যাপকভাবে হওয়ার কারণে মানুষ একে নিয়তি হিসেবে মেনে...
ইসলামের মর্যাদাপূর্ণ কিছু দিবস
মাওলানা হেলাল খান

ইসলামে কোনো রাত-দিন, সর্বোপরি কোনো মুহূর্ত অশুভ কিংবা অকল্যাণকর নয়। মানুষ যে কোনো সময়কে সঠিক কাজের মাধ্যমে ফলপ্রসূ করতে পারে। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ তাআলা কর্তৃক রাত-দিনকে তুলনামূলক বেশি মর্যাদা দিয়েছেন। আজ আমরা আলোচনা করবো, এমন কিছু দিন নিয়ে যে দিনগুলোকে মহান আল্লাহ বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। আশুরা : পৃথিবীর ইতিহাসে এই দিনে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। শুধু ইসলাম ধর্ম নয়, অন্যান্য আসমানি ধর্মেও এই দিনটি সম্মানিত। এ দিন রোজা রাখার ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আমি আশাবাদী যে, আশুরার রোজার উসিলায় আল্লাহ তাআলা অতীতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। (মুসলিম, হাদিস : ১১৬২) দুই ঈদের দিন : আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন হিজরত করে মদিনায় আসেন তখন মদিনাবাসীর দুটি উৎসবের দিবস ছিল। রাসুল (সা.) তাদের জিজ্ঞেস...