রমজান এলেই অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন যে, রোজা রেখে দিনের বেলায় নখ, চুল বা অবাঞ্ছিত পশম কাটা যাবে কি না। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, রমজানে স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ ও বেশি সময় ধরে প্রার্থনার মাধ্যমে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জন সম্ভব। তাই, ধর্মে রোজা সংক্রান্ত নিয়মগুলো তারা মেনে চলেন। এমনই একটি প্রচলিত ধারণা হলো, রোজা রাখা অবস্থায় কিছুতেই নখ ও চুল কাটা যাবে না। বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, সিয়ামরত অবস্থায় কেউ যদি হাতের নখ কাটেন বা অবাঞ্ছিত লোমগুলো কাটেন, তাহলে তার সিয়াম নষ্ট হবে না। এটা জায়েজ রয়েছে। এটি মাকরুহ হবে না। সিয়ামের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। পরিচ্ছন্নতার জন্য এটা অনেক ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। উত্তম হলো, এগুলো কেটে নেয়া। রোজা রেখে চুল ও দাড়ি কাটা যাবে কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে শায়খ মাহমুদুল হাসান বলেছেন, হলো- রোজা অবস্থায় নখ...
রোজায় কি চুল-নখ-দাড়ি কাটা যাবে?
অনলাইন ডেস্ক

রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহারের বিধান
অনলাইন ডেস্ক

রোজা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়। কোনো কোনো চিকিৎসক বলেন, সাহরিতে এক ডোজ ইনহেলার নেওয়ার পর সাধারণত ইফতার পর্যন্ত আর ইনহেলার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। তাই এভাবে ইনহেলার ব্যবহার করে রোজা রাখা যেতে পারে। হ্যাঁ, কারো যদি বক্ষব্যাধি এমন মারাত্মক আকার ধারণ করে যে ইনহেলার নেওয়া ছাড়া ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করা অসম্ভব, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ রয়েছে যে তারা প্রয়োজনভেদে ইনহেলার ব্যবহার করবে ও পরবর্তী সময় রোজা কাজা করে নেবে। আর কখনো সুস্থ হওয়ার আশা না থাকলে ফিদিয়া আদায় করবে। (সূত্র : ইবনে আবিদিন : ২/৩৯৫, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ৫/৪৫৯, হেদায়া : ১/১২০, ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান, পৃ : ৩২৪)...
তারাবিতে কোরআনের বার্তা: পর্ব ১-২
অনলাইন ডেস্ক

সুরা ফাতেহা গোটা কোরআনের অর্থ ও বক্তব্য সংক্ষিপ্তভাবে এই সুরায় উল্লিখিত হয়েছে। ইসলামের মৌলিক ও শাখাগত বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। আকিদা, ইবাদত, শরিয়ত, পরকালে বিশ্বাস এবং আল্লাহর গুণবাচক নাম বিবৃত হয়েছে। শুধু আল্লাহর ইবাদত করতে হবে, তাঁর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে এবং তিনিই হেদায়েতের মালিকএসব বিষয় আলোচিত হয়েছে। এই সুরার মূল বিষয় তিনটি। এক. মহান আল্লাহর প্রশংসা। দুই. ইবাদত শুধু আল্লাহর জন্য এবং প্রার্থনা শুধু আল্লাহর কাছেই। তিন. সরল-সঠিক পথের দিশা লাভ এবং পথভ্রষ্টদের পথ পরিত্যাগ করা। আদেশ-নিষেধ-হেদায়েত ১. পূর্ণাঙ্গ প্রশংসার যোগ্য মহান আল্লাহ। (আয়াত : ১) ২. যেকোনো প্রাপ্তিতে আল্লাহর প্রশংসা করতে হবে। (আয়াত : ২) ৩. শুধু আল্লাহর ইবাদত করতে হবে। (আয়াত : ৪) ৪. আল্লাহর কাছেই সাহায্য চাইতে হবে। (আয়াত : ৪) ৫. হেদায়েতের প্রকৃত মালিক মহান আল্লাহ। (আয়াত : ৫) ৬. যারা...
ইফতারের ফজিলত ও বরকত
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ

রোজা আল্লাহর সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল। এর প্রতিদান স্বয়ং তিনি নিজ হাতে দিবেন বলে হাদিসে কুদসিতে ঘোষণা করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, রোজা আমার জন্য। আমি নিজেই এর প্রতিদান দেবো। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৭৪৯২) সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের সময়টা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ একটা নেয়ামত। এসময় রোজাদারের হূদয়-মনে সীমাহীন আনন্দের সমীরণ বয়ে যায়। এটা সাময়িক আনন্দ। প্রকৃত আনন্দ তো হবে সে দিন, যেদিন রোজাদার ব্যক্তি মহান আল্লাহর সাক্ষাতে ধন্য হবে। হাদিসে এসেছে, রোজাদারের আনন্দ দুটি, যা তাকে আনন্দিত করে। যখন সে ইফতার করে, আনন্দিত হয় এবং যখন সে স্বীয় প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাত্ করবে, তখন রোজার বিনিময়ে আনন্দিত হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৮৩) ইফতারের সময়টা খুবই বরকতপূর্ণ। আল্লাহ তাআলা এসময় রোজাদারের দোয়া কবুল করেন। আবু হুরায়রা (রা.)...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর