যে কোনো বয়সের মানুষ নাকের এলার্জি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। অ্যালার্জির কারণে হাঁচির উপদ্রব হয় এবং এক সময় তা শ্বাসকষ্টেও রূপ নিতে পারে। নাকের অ্যালার্জিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় অ্যালার্জিক রাইনাটিস বলা হয়। যার অর্থ হচ্ছে অ্যালার্জিজনিত নাকে প্রদাহ। সাধারণত অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলো মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শ্বাসনালিতে প্রবেশ করলে অ্যালার্জির উদ্ভব হয়। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী এ পদার্থকে অ্যালার্জন বলে। অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের কারণ : নানা ধরেনের অ্যালার্জন যা সচরাচর বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে বাইরে দেখা যায়। ঘরে বা অফিসে জমে থাকা পুরোনো ধুলাবালি, পরাগ রেণু, পোষা প্রাণীর পশম বা চুল। নানা ধরনের ছত্রাক, ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদির কারণেও নাকে অ্যালার্জি হয়। বংশগত কারণে অনেক সময় এ রোগ হয়ে থাকে। কারও বাবা-মা বা ভাই-বোনের এ রোগ...
নাকের অ্যালার্জির কারণ
অধ্যাপক ডা. এ কে এম মোস্তফা হোসেন
অনলাইন ডেস্ক

ব্রেইন ড্যামেজ হচ্ছে কিনা জেনে নিন
অনলাইন ডেস্ক

ব্রেইন ড্যামেজ (Brain Damage) মানে হল মস্তিষ্কের কোষ বা সেলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া, যার কারণে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। মস্তিষ্ক আমাদের সমস্ত শারীরিক এবং মানসিক কাজ পরিচালনা করে, যেমন চিন্তা-ভাবনা, অনুভূতি, সাড়া দেওয়া, হাঁটা, কথা বলা, শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া ইত্যাদি। মস্তিষ্কের কোনও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রভাব শরীরের বিভিন্ন অংশে পড়তে পারে এবং মানুষের আচরণ, স্মৃতি, বা শারীরিক সক্ষমতা পরিবর্তিত হতে পারে। আরও পড়ুন পাইলস কেন হয়, লক্ষণ কী? ০১ মার্চ, ২০২৫ কীভাবে বুঝব ব্রেইন ড্যামজে হচ্ছে কিনা? মস্তিষ্কের ক্ষতি বা ড্যামেজ হলে তা সাধারণত কিছু শারীরিক ও মানসিক লক্ষণের মাধ্যমে প্রকাশ পেতে পারে। মস্তিষ্কের ক্ষতির বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ হতে পারে, যার মধ্যে কিছু সাধারণ লক্ষণ হল: ১. তীব্র মাথাব্যথা মাথাব্যথা যদি একেবারে তীব্র এবং...
রোজায় হৃদরোগীদের করণীয়
ডা. মাহবুবর রহমান
অনলাইন ডেস্ক

রোজার সময় মানুষের দৈনন্দিন কার্যকলাপের পরিবর্তন ঘটে। স্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম, ওষুধ গ্রহণের সময়সূচি, ঘুমের সময় ও পরিমাণ পরিবর্তিত হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক পূর্ণবয়স্ক মানুষ যেভাবে এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তা একজন অসুস্থ মানুষ বা হৃদরোগীর পক্ষে অনেক সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই সচেতন হতে হবে। প্রায়ই দেখা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের অনেকের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, কিডনির অক্ষমতা ইত্যাদি পাশাপাশি অবস্থান করে। ফলে রোজার সময় খাদ্যাভ্যাস ও ওষুধপত্র নতুন করে সময়োপযোগী বা আপডেট করে নিতে হয়। এসব বিষয়ে কিছু বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। রোজা নয় যেসব হৃদরোগীর : যাদের হার্টের পাম্পিং ক্ষমতা কম (LVEF ২৫ ভাগের নিচে) তাদের রোজা না রাখাই শ্রেয়। যাদের হার্ট অতিরিক্ত দুর্বল, যেসব হৃদরোগীর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে,...
রোজার সময় মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে করণীয়
অনলাইন ডেস্ক

শুরু হয়ে গেছে পবিত্র রমজান মাস। ভোর থেকে সারাদিন থাকতে হয় পানাহার ছাড়া। রোজা রেখে দাঁত ব্রাশ করা নিয়ে রয়েছে ভিন্নমত। যার কারণে ব্রাশ করা থেকে সকলেই বিরতে থাকেন। দীর্ঘসময় খাওয়াদাওয়া ছাড়া থাকার কারণে এসময় মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় একে হ্যালিটোসিস বলে। প্রায় ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকায় অনেকেই এই হ্যালিটোসিসের সম্মুখীন হন। দন্ত চিকিৎসকদের মতে, মুখের ভেতর দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে অনেক কারণই থাকতে পারে। এটি বড় কোনো রোগের উপসর্গও হতে পারে। সাধারণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই এই সমস্যা এড়ানো যায়। রোজায় মুখে দুর্গন্ধের কারণ দীর্ঘসময় কিছু না খেয়ে থাকার ফলে শরীরে শর্করা বিপাক কমে গিয়ে চর্বি বা ফ্যাট বিপাক বেড়ে যায়। ফলে মুখে গন্ধ হয়। আর রোজারত অবস্থায় মুখের লালাগ্রন্থি কম সচল থাকার কারণে লালা নিঃসরণ কমে যায়। এভাবে মুখের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর